ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন : আপিল বিভাগ

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতির বৈধতার হাইকোর্টের রায় স্থগিত আবেদনের শুনানিকালে আর্টনি জেনারেলের উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন, রাস্তায় এত কিসের আন্দোলন শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানিকালে আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। পরে শুনানি ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আজ মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম এক দিনের সময়ের প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক দেশের বাইরে রয়েছেন। তাই শুনানির জন্য সময় প্রয়োজন।

এ সময় শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগে কোটা ছিল। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়। এটা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, চেম্বার আদালত কী আদেশ দিয়েছিলেন? তখন মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।

এ সময় আদালত বলেন, নট টুডে (আজ নয়)। আপনারা সিপি (লিভ টু আপিল) ফাইল করেন। আমরা এখন ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করব না।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রায়টা (হাইকোর্ট) পাইনি। আদালত বলেন, পাবেন।

একপর্যায়ে আদালত বলেন, কিসের এত আন্দোলন রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘নো, নো’ (না, না)।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে।

১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের স্মারক সংশোধন করে জারি করা পরিপত্রের ভাষ্য, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) ও ১০ ম-১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) ও ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

পরে পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ওই পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

আরো পড়ুন : ৪৪০ বছরের পুরনো মুঘলদের নিয়ম বাতিল

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন : আপিল বিভাগ

আপডেট সময় ০৪:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতির বৈধতার হাইকোর্টের রায় স্থগিত আবেদনের শুনানিকালে আর্টনি জেনারেলের উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন, রাস্তায় এত কিসের আন্দোলন শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানিকালে আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। পরে শুনানি ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আজ মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম এক দিনের সময়ের প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক দেশের বাইরে রয়েছেন। তাই শুনানির জন্য সময় প্রয়োজন।

এ সময় শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগে কোটা ছিল। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়। এটা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, চেম্বার আদালত কী আদেশ দিয়েছিলেন? তখন মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।

এ সময় আদালত বলেন, নট টুডে (আজ নয়)। আপনারা সিপি (লিভ টু আপিল) ফাইল করেন। আমরা এখন ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করব না।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রায়টা (হাইকোর্ট) পাইনি। আদালত বলেন, পাবেন।

একপর্যায়ে আদালত বলেন, কিসের এত আন্দোলন রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘নো, নো’ (না, না)।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে।

১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের স্মারক সংশোধন করে জারি করা পরিপত্রের ভাষ্য, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) ও ১০ ম-১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) ও ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

পরে পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ওই পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

আরো পড়ুন : ৪৪০ বছরের পুরনো মুঘলদের নিয়ম বাতিল