ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯৬ মামলার আসামি সাহেদ জামিনে মুক্ত

দুর্নীতি ও করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনাসহ ৯৬ মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। তবে সাহেদ তা জমা দেননি। এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।

আরো পড়ুন : গুমে থাকার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

৯৬ মামলার আসামি সাহেদ জামিনে মুক্ত

আপডেট সময় ১০:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্নীতি ও করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনাসহ ৯৬ মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। তবে সাহেদ তা জমা দেননি। এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।

আরো পড়ুন : গুমে থাকার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী