ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যান্ড্রয়েডের মাইক্রোফোন ঠিক করার সহজ উপায়

চলমান বার্তা অনলাইন ডেস্ক :
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এখন সবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকার একটি অপরিহার্য উপাদান। হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস এসএমএস পাঠানো, কল করা বা ভিডিও রেকর্ডের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ডিভাইস। তবে কখনো কখনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাইক্রোফোন ঠিকমতো কাজ করে না। সে সময় অপরিষ্কার অডিও, ধীর সাউন্ড বা কোনো শব্দ না আসার মতো বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা সমাধানে করণীয় কিছু বিষয় রয়েছে। টেকটাইমসের প্রতিবেদনে এগুলো জানানো হয়েছে।

ফোনের কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর পরীক্ষা
যদি কোনো ফোন কভার বা স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা হয় তাহলে সেগুলো মাইক্রোফোনের ক্ষতি করতে পারে। সস্তায় নন-অফিশিয়াল ফোন কভার ফোনের ডিজাইনের সঙ্গে ঠিকমতো বসে না। ফলে সেগুলো মাইক্রোফোনের ছিদ্র পুরোপুরি বা আংশিক ঢেকে ফেলতে পারে। এছাড়া স্ক্রিন প্রটেক্টর যেন ঠিকঠাক মতো বসানো হয় এবং তা যেন মাইক্রোফোনকে পুরোপুরি ঢেকে না ফেলে সেটিও খেয়াল করতে হবে।

ফোন রিস্টার্ট এবং আপডেট দেয়া
কখনো খুব ছোট সমাধানও বেশ কাজ করতে পারে। স্মার্টফোন রিস্টার্ট করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার করে ফেলতে পারে এবং কোনো কারণে যদি মাইক্রোফোনে প্রভাব ফেলে তা সমাধান করতে পারে। সেজন্য মাইক্রোফোনের পাওয়ার বন্ধ করে ১ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবার চালু করে দেখতে হবে। তার পরও সমস্যা থেকে গেলে পেন্ডিং থাকা সফটওয়্যার আপডেট পরীক্ষা করতে হবে। আপডেটের মাধ্যমে অনেক বাগ বা ত্রুটির সমাধান পাওয়া যায়।

মাইক্রোফোন অ্যাকসেস পারমিশন যাচাই
কখনো অ্যাপের পারমিশনের কারণে মাইক্রোফোনের সমস্যা বেড়ে যায়। কিছু অ্যাপ ব্যবহার করলে মাইক্রোফোন এনাবল বা ডিজেবল করতে হয়। তাই মাইক্রোফোন ঠিকমতো কাজ করলেও সফটওয়্যার নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু অ্যাপ এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। সমস্যা সমাধানে সেটিংসের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি সেগমেন্টে থেকে প্রাইভেসিতে প্রবেশ করে মাইক্রোফোন অ্যাকসেস চালু কিনা দেখতে হবে।

সাউন্ড সেটিংস যাচাই
অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে নয়েজ ক্যানসেলেশনের মতো ফিচার থাকে, তাতে কল এবং রেকর্ডিংয়ের সময় মাইক্রোফোনের কোয়ালিটি অনেকটাই অবনমনের শিকার হয়। ফিচারটি মাইক্রোফোনে প্রভাব ফেলছে কিনা তা চেক করে দেখতে হবে। সেজন্য কল সেটিংসে গিয়ে সাউন্ড সেটিংস থেকে নয়েজ রিডাকশন ডিজেবল করতে হবে। এরপর ফোন রিস্টার্ট করে সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা দেখতে হবে।

থার্ড পার্টি কোনো অ্যাপ
তৃতীয় কোনো অ্যাপে যদি মাইক্রোফোন অ্যাকসেস থাকে তাহলে তা ফোনের সেটিংসে প্রভাব ফেলতে পারে। কোনো অ্যাপে সমস্যা করছে কিনা চিহ্নিত করার জন্য ফোন সেফ মোডে পরীক্ষা করে নিতে হবে। তাতে করে এমন অ্যাপগুলো সাময়িকভাবে ডিজেবল হয়ে যাবে। সেজন্য পাওয়ার অফ মেনু না আসা পর্যন্ত পাওয়ার বাটনটি চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে। এরপর সেফ মোড নির্বাচন করতে হবে। এ সময় কল দিয়ে বা ভয়েস রেকর্ড করে পরীক্ষা করতে হবে। যদি সব ঠিকমতো কাজ করে তখন সেটিংসের অ্যাপলিকেশনে গিয়ে অ্যাপলিকেশন ম্যানেজার থেকে মাইক্রোফোন নির্বাচন করতে হবে। যদি কোনো নতুন অ্যাপ এ সমস্যা করছে বলে মনে হয় তাহলে সেটির মাইক্রোফোন অ্যাকসেস বন্ধ বা অ্যাপ ডিলিট করে দিতে হবে।

মাইক্রোফোন পরিষ্কার করুন
নরম ব্রাশ দিয়ে মাইক্রোফোন পরিষ্কার করে নিন। অনেক সময় ময়লা জমেও মাইক্রোফোনে সাউন্ড কম আসে। তবে এসবের পরও যদি সেলফোনের মাইক্রোফোন ঠিকঠাক কাজ না করে, তাহলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আপলোডকারীর তথ্য

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অ্যান্ড্রয়েডের মাইক্রোফোন ঠিক করার সহজ উপায়

আপডেট সময় ০৪:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলমান বার্তা অনলাইন ডেস্ক :
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এখন সবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকার একটি অপরিহার্য উপাদান। হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস এসএমএস পাঠানো, কল করা বা ভিডিও রেকর্ডের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ডিভাইস। তবে কখনো কখনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাইক্রোফোন ঠিকমতো কাজ করে না। সে সময় অপরিষ্কার অডিও, ধীর সাউন্ড বা কোনো শব্দ না আসার মতো বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা সমাধানে করণীয় কিছু বিষয় রয়েছে। টেকটাইমসের প্রতিবেদনে এগুলো জানানো হয়েছে।

ফোনের কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর পরীক্ষা
যদি কোনো ফোন কভার বা স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা হয় তাহলে সেগুলো মাইক্রোফোনের ক্ষতি করতে পারে। সস্তায় নন-অফিশিয়াল ফোন কভার ফোনের ডিজাইনের সঙ্গে ঠিকমতো বসে না। ফলে সেগুলো মাইক্রোফোনের ছিদ্র পুরোপুরি বা আংশিক ঢেকে ফেলতে পারে। এছাড়া স্ক্রিন প্রটেক্টর যেন ঠিকঠাক মতো বসানো হয় এবং তা যেন মাইক্রোফোনকে পুরোপুরি ঢেকে না ফেলে সেটিও খেয়াল করতে হবে।

ফোন রিস্টার্ট এবং আপডেট দেয়া
কখনো খুব ছোট সমাধানও বেশ কাজ করতে পারে। স্মার্টফোন রিস্টার্ট করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার করে ফেলতে পারে এবং কোনো কারণে যদি মাইক্রোফোনে প্রভাব ফেলে তা সমাধান করতে পারে। সেজন্য মাইক্রোফোনের পাওয়ার বন্ধ করে ১ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবার চালু করে দেখতে হবে। তার পরও সমস্যা থেকে গেলে পেন্ডিং থাকা সফটওয়্যার আপডেট পরীক্ষা করতে হবে। আপডেটের মাধ্যমে অনেক বাগ বা ত্রুটির সমাধান পাওয়া যায়।

মাইক্রোফোন অ্যাকসেস পারমিশন যাচাই
কখনো অ্যাপের পারমিশনের কারণে মাইক্রোফোনের সমস্যা বেড়ে যায়। কিছু অ্যাপ ব্যবহার করলে মাইক্রোফোন এনাবল বা ডিজেবল করতে হয়। তাই মাইক্রোফোন ঠিকমতো কাজ করলেও সফটওয়্যার নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু অ্যাপ এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। সমস্যা সমাধানে সেটিংসের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি সেগমেন্টে থেকে প্রাইভেসিতে প্রবেশ করে মাইক্রোফোন অ্যাকসেস চালু কিনা দেখতে হবে।

সাউন্ড সেটিংস যাচাই
অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে নয়েজ ক্যানসেলেশনের মতো ফিচার থাকে, তাতে কল এবং রেকর্ডিংয়ের সময় মাইক্রোফোনের কোয়ালিটি অনেকটাই অবনমনের শিকার হয়। ফিচারটি মাইক্রোফোনে প্রভাব ফেলছে কিনা তা চেক করে দেখতে হবে। সেজন্য কল সেটিংসে গিয়ে সাউন্ড সেটিংস থেকে নয়েজ রিডাকশন ডিজেবল করতে হবে। এরপর ফোন রিস্টার্ট করে সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা দেখতে হবে।

থার্ড পার্টি কোনো অ্যাপ
তৃতীয় কোনো অ্যাপে যদি মাইক্রোফোন অ্যাকসেস থাকে তাহলে তা ফোনের সেটিংসে প্রভাব ফেলতে পারে। কোনো অ্যাপে সমস্যা করছে কিনা চিহ্নিত করার জন্য ফোন সেফ মোডে পরীক্ষা করে নিতে হবে। তাতে করে এমন অ্যাপগুলো সাময়িকভাবে ডিজেবল হয়ে যাবে। সেজন্য পাওয়ার অফ মেনু না আসা পর্যন্ত পাওয়ার বাটনটি চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে। এরপর সেফ মোড নির্বাচন করতে হবে। এ সময় কল দিয়ে বা ভয়েস রেকর্ড করে পরীক্ষা করতে হবে। যদি সব ঠিকমতো কাজ করে তখন সেটিংসের অ্যাপলিকেশনে গিয়ে অ্যাপলিকেশন ম্যানেজার থেকে মাইক্রোফোন নির্বাচন করতে হবে। যদি কোনো নতুন অ্যাপ এ সমস্যা করছে বলে মনে হয় তাহলে সেটির মাইক্রোফোন অ্যাকসেস বন্ধ বা অ্যাপ ডিলিট করে দিতে হবে।

মাইক্রোফোন পরিষ্কার করুন
নরম ব্রাশ দিয়ে মাইক্রোফোন পরিষ্কার করে নিন। অনেক সময় ময়লা জমেও মাইক্রোফোনে সাউন্ড কম আসে। তবে এসবের পরও যদি সেলফোনের মাইক্রোফোন ঠিকঠাক কাজ না করে, তাহলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।