ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাসপারস্কির সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দিল

কোনো সফটওয়্যারের সোর্স কোড হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এটি উন্মুক্ত করার ফলে ওই সফটওয়্যার কী কী কাজ করে ও কীভাবে করে তা জানার সুযোগ তৈরি হয়। থার্ড পার্টি রিভিউয়ের সুযোগ করে দিতে নিজেদের সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। এর ফলে গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক ও অংশীদাররা থ্রেট ডিটেকশন রুলস, সফটওয়্যার আপডেট এবং সোর্স কোড পরীক্ষা করতে পারবে।

রোববার গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই) চালুর ঘোষণা দেয় রাশিয়াভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিটি। এরই অংশ হিসাবে উন্মুক্ত হল এর সোর্স কোড।

কোনো সফটওয়্যারের সোর্স কোড হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এটি উন্মুক্ত করার ফলে ওই সফটওয়্যার কী কী কাজ করে ও কীভাবে করে তা জানার সুযোগ তৈরি হয়।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে ক্যাসপারস্কির পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করে। সে সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে দেশটি। চীন ও রাশিয়ার পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল অভিযোগ হচ্ছে, কোম্পানিগুলো নিজ নিজ দেশের সরকারের প্রতি নতজানু ও এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চীন ও রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে।

ক্যাসপারস্কি বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। গত জুলাইতে সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ইউজিন ক্যাসপারস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “দেশটির হয় তাদের অভিযোগের প্রমাণ দেওয়া উচিৎ, নয়তো এ বিষয়ে চুপ থাকা প্রয়োজন”।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্যাসপারস্কির চতুর্থ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিন স্তরের রিভিউ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি মৌলিক ওভারভিউ (ব্লু পিস্ট), একটি বিশদ সোর্স কোড অ্যানালাইসিস (রেড পিস্ট) এবং একটি পূর্ণাঙ্গ রিভিউ (ব্ল্যাক পিস্ট)।

ব্যবহারকারীরা এখন থ্রেট অ্যানালাইসিস ও সিকিউরিটি টেস্টিং প্রসেসের মতো নিরাপদ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ডকুমেন্টগুলোও রিভিউ করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে ক্যাসপারস্কির ডিরেক্টর অফ গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ফর এশিয়া-প্যাসিফিক-জাপান অ্যান্ড মেটা জিনি সুজিন গান বলেন “সাইবার সিকিউরিটিতে আস্থা তৈরিতে আমাদের চেষ্টার প্রমাণ এই ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারগুলো। নতুন সিউল সেন্টারের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি সবার আস্থা তৈরি এবং বিশ্বব্যাপি সাইবার হামলা বন্ধে আমরা সাহায্য করতে চাই।”

ক্যাসপারস্কি’র জিটিআই চালুর ফলে সুইজারল্যান্ডে ডেটা স্থানান্তর, তৃতীয় পক্ষের স্বতন্ত্র পর্যালোচনা, সাইবার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম, বাগ বাউন্টি পুরষ্কার বৃদ্ধি এবং সরকার ও ব্যবহারকারীর ডেটা রিকোয়েস্টের নিয়মিত ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট মিলবে বলে উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি।

আরো পড়ুন : জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক

হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ কলে নতুন ফিচার

যেকোনো অ্যাঙ্গেলেই স্মার্টফোনে হবে কার্ড রিড

আসছে আইফোন ১৬, কি কি নতুনত্ব আনতে পারে?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ক্যাসপারস্কির সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দিল

আপডেট সময় ০৬:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোনো সফটওয়্যারের সোর্স কোড হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এটি উন্মুক্ত করার ফলে ওই সফটওয়্যার কী কী কাজ করে ও কীভাবে করে তা জানার সুযোগ তৈরি হয়। থার্ড পার্টি রিভিউয়ের সুযোগ করে দিতে নিজেদের সোর্স কোড উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। এর ফলে গ্রাহক, নিয়ন্ত্রক ও অংশীদাররা থ্রেট ডিটেকশন রুলস, সফটওয়্যার আপডেট এবং সোর্স কোড পরীক্ষা করতে পারবে।

রোববার গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই) চালুর ঘোষণা দেয় রাশিয়াভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিটি। এরই অংশ হিসাবে উন্মুক্ত হল এর সোর্স কোড।

কোনো সফটওয়্যারের সোর্স কোড হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এটি উন্মুক্ত করার ফলে ওই সফটওয়্যার কী কী কাজ করে ও কীভাবে করে তা জানার সুযোগ তৈরি হয়।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে ক্যাসপারস্কির পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করে। সে সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে দেশটি। চীন ও রাশিয়ার পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল অভিযোগ হচ্ছে, কোম্পানিগুলো নিজ নিজ দেশের সরকারের প্রতি নতজানু ও এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চীন ও রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে।

ক্যাসপারস্কি বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। গত জুলাইতে সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ইউজিন ক্যাসপারস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “দেশটির হয় তাদের অভিযোগের প্রমাণ দেওয়া উচিৎ, নয়তো এ বিষয়ে চুপ থাকা প্রয়োজন”।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অবস্থিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্যাসপারস্কির চতুর্থ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিন স্তরের রিভিউ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি মৌলিক ওভারভিউ (ব্লু পিস্ট), একটি বিশদ সোর্স কোড অ্যানালাইসিস (রেড পিস্ট) এবং একটি পূর্ণাঙ্গ রিভিউ (ব্ল্যাক পিস্ট)।

ব্যবহারকারীরা এখন থ্রেট অ্যানালাইসিস ও সিকিউরিটি টেস্টিং প্রসেসের মতো নিরাপদ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ডকুমেন্টগুলোও রিভিউ করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে ক্যাসপারস্কির ডিরেক্টর অফ গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ফর এশিয়া-প্যাসিফিক-জাপান অ্যান্ড মেটা জিনি সুজিন গান বলেন “সাইবার সিকিউরিটিতে আস্থা তৈরিতে আমাদের চেষ্টার প্রমাণ এই ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারগুলো। নতুন সিউল সেন্টারের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রতি সবার আস্থা তৈরি এবং বিশ্বব্যাপি সাইবার হামলা বন্ধে আমরা সাহায্য করতে চাই।”

ক্যাসপারস্কি’র জিটিআই চালুর ফলে সুইজারল্যান্ডে ডেটা স্থানান্তর, তৃতীয় পক্ষের স্বতন্ত্র পর্যালোচনা, সাইবার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম, বাগ বাউন্টি পুরষ্কার বৃদ্ধি এবং সরকার ও ব্যবহারকারীর ডেটা রিকোয়েস্টের নিয়মিত ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট মিলবে বলে উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি।

আরো পড়ুন : জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক

হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ কলে নতুন ফিচার

যেকোনো অ্যাঙ্গেলেই স্মার্টফোনে হবে কার্ড রিড

আসছে আইফোন ১৬, কি কি নতুনত্ব আনতে পারে?