ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাইবার নিরাপত্তাসহ সকল কালো আইন অবশ্যই বাতিল হবে : আসিফ নজরুল ১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল টাইম ম্যাগাজিনের উদীয়মান ১০০ বিশ্বনেতার তালিকায় নাহিদ ইসলাম সরকারের সর্বত্র শেখ হাসিনার ভূতরা সক্রিয় : রিজভী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে বসে এখনও ষড়যন্ত্র করছেন : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ১০ কোটিতে ডিসি নিয়োগ, কেলেঙ্কারির স্ক্রিনশট ফাঁস ড. ইউনূসের ৬৬৬ কোটি টাকা করের রায়ে বিব্রত হাইকোর্ট, নথি গেলো প্রধান বিচারপতির কাছে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান অস্কারে লড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের যে সিনেমা

তেঁতুলিয়ায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বি হচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের তরুন-তরুরীরা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট -এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের শিক্ষিত তরুন-তরুণীরা স্বাবলম্বি হচ্ছে।  তিন দিকে সীমান্তঘেঁষা উপজেলা তেঁতুলিয়ায় ২০০০ সালে একটি মাত্র পিসি দিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু করে।  বর্তমানে প্রায় ১০টি ল্যাপটপ ও ১০টি পিসি দিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত হয়ে বেসিক ট্রেড (৩৬০ ঘন্টা) শর্ট কোর্স পরিচালনা করছে আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছরে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের গরীব কৃষকের ছেলে-মেয়েদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির  আলো ছড়াচ্ছে।  প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ২০০২-০৩ সালে পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক ৬ মার্স কোর্সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরহাদ হোসেন উপজেলা পরিষদে পল্লী বিআরডিবি হলরুমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালুর জন্য একটি রুম প্রদান করেন। সেখানে পঞ্চগড় বিসিই-এর পরিচালক বাবুল হোসেন এর সহযোগিতায় দু’টো কম্পিউটার দিয়ে জাকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালু করেন।  প্রথম ব্যাচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য বিশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পঞ্চগড় শাখা বিসিই’র  বাবুল হোসেন এবং বিসিই’র শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন কম্পিউটার ক্লাস নেন। এভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকে।
২০০১ সালে ঘড়ি ব্যবসায়ী এমদাদুল হক ও আনছারী কমার্শিয়াল ইনিস্টিটিউট এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম আনছারী সহযোগিতায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কলেবর বৃদ্ধি করেন। তখন প্রতিষ্ঠানটি আনছারী কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট উলিপুর, শাখা হিসেবে ‘‘জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স ট্রেনিং এন্ড কম্পোজিং সেন্টার’’ নামে পরিচালিত হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শর্টকোর্স পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হলে ‘‘জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স’’ নামটি পরিবর্তন করে ‘‘আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’’ নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করে।
দীর্ঘ কযেক বছরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারে প্রায় ৫ হাজার বেকার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পর শিক্ষিত বেকারা যুবক ও যুবরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করছে।
বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. রহমত আলী বলেন, উপজেলার সর্বপ্রথম কম্পিউটার তথা ডিজিটালের ছোঁয়া আহনাফ সিটিআই এর পরিচালকের হাতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার মত এলাকার কয়েক শতাধিক শিক্ষিত বেকার যুবক ও নারীদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছে। তিনি নিজ হাতে হ্যান্ডনোট তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন।
তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের লাইব্রেরিয়ান (অব:) মো. শাহাদৎ হোসেন রঞ্জু বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু হলে এলাকার অন্যান্য গরীব কৃষকের ছেলে-মেয়ের প্রশিক্ষণে আগ্রহী হবে।
আহনাফ সিটিআই এর পরিচালক এম এ বাসেত বলেন, কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে অনেকটা রকম চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের শিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আত্ম-নির্ভরশীল হিসেবে গড়া তোলার ভূমিকা পালন করছি। সরকারিভাবে আইসিটি কোন প্রজেক্ট অত্র প্রতিষ্ঠানের অধীনে গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্টমার্ট বাংলাদেশ গড়ার দক্ষ নাগরিক তৈরি হবে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

বিশেষ প্রশিক্ষণে ২১ দেশের সেনাবাহিনীর ৭৫ কর্মকর্তার সুন্দরবন সফর

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

তেঁতুলিয়ায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বি হচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের তরুন-তরুরীরা

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট -এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের শিক্ষিত তরুন-তরুণীরা স্বাবলম্বি হচ্ছে।  তিন দিকে সীমান্তঘেঁষা উপজেলা তেঁতুলিয়ায় ২০০০ সালে একটি মাত্র পিসি দিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু করে।  বর্তমানে প্রায় ১০টি ল্যাপটপ ও ১০টি পিসি দিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত হয়ে বেসিক ট্রেড (৩৬০ ঘন্টা) শর্ট কোর্স পরিচালনা করছে আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছরে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের গরীব কৃষকের ছেলে-মেয়েদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির  আলো ছড়াচ্ছে।  প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ২০০২-০৩ সালে পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক ৬ মার্স কোর্সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরহাদ হোসেন উপজেলা পরিষদে পল্লী বিআরডিবি হলরুমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালুর জন্য একটি রুম প্রদান করেন। সেখানে পঞ্চগড় বিসিই-এর পরিচালক বাবুল হোসেন এর সহযোগিতায় দু’টো কম্পিউটার দিয়ে জাকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালু করেন।  প্রথম ব্যাচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য বিশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পঞ্চগড় শাখা বিসিই’র  বাবুল হোসেন এবং বিসিই’র শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন কম্পিউটার ক্লাস নেন। এভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকে।
২০০১ সালে ঘড়ি ব্যবসায়ী এমদাদুল হক ও আনছারী কমার্শিয়াল ইনিস্টিটিউট এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম আনছারী সহযোগিতায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কলেবর বৃদ্ধি করেন। তখন প্রতিষ্ঠানটি আনছারী কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট উলিপুর, শাখা হিসেবে ‘‘জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স ট্রেনিং এন্ড কম্পোজিং সেন্টার’’ নামে পরিচালিত হয়।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শর্টকোর্স পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হলে ‘‘জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স’’ নামটি পরিবর্তন করে ‘‘আহনাফ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’’ নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করে।
দীর্ঘ কযেক বছরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারে প্রায় ৫ হাজার বেকার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পর শিক্ষিত বেকারা যুবক ও যুবরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করছে।
বোয়ালমারী বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. রহমত আলী বলেন, উপজেলার সর্বপ্রথম কম্পিউটার তথা ডিজিটালের ছোঁয়া আহনাফ সিটিআই এর পরিচালকের হাতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার মত এলাকার কয়েক শতাধিক শিক্ষিত বেকার যুবক ও নারীদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছে। তিনি নিজ হাতে হ্যান্ডনোট তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন।
তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের লাইব্রেরিয়ান (অব:) মো. শাহাদৎ হোসেন রঞ্জু বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু হলে এলাকার অন্যান্য গরীব কৃষকের ছেলে-মেয়ের প্রশিক্ষণে আগ্রহী হবে।
আহনাফ সিটিআই এর পরিচালক এম এ বাসেত বলেন, কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে অনেকটা রকম চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের শিক্ষিত কিশোর-কিশোরীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আত্ম-নির্ভরশীল হিসেবে গড়া তোলার ভূমিকা পালন করছি। সরকারিভাবে আইসিটি কোন প্রজেক্ট অত্র প্রতিষ্ঠানের অধীনে গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্টমার্ট বাংলাদেশ গড়ার দক্ষ নাগরিক তৈরি হবে।
আরো পড়ুন : আটোয়ারীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা