ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’, গ্রেপ্তার ২২, এক সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন

অতিরিক্ত লবণের কারণে যে সব রোগ হতে পারে

রান্নায় লবণ ছাড়া যেন স্বাদই আসে না। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সহায়তা করে। তবে যেমন বলা হয়, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়; ঠিক তেমনই বেশি লবণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনার প্রতিদিনের খাবারে একটু বেশি লবণ যোগ করার অভ্যাস থাকে, তবে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পাঁচটি সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব—

শরীরে পানি জমে যাওয়া
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের কোষে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ায়। এর ফলে শরীরে ফোলাভাব, ভারী অনুভূতি ও অস্বস্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে লবণাক্ত খাবার খাওয়ার পর পেট ভার লাগার অনুভূতিই এর প্রমাণ।

অস্বাভাবিক ক্লান্তি
লবণের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়, যা ক্লান্তি ও শক্তিহীনতার অন্যতম কারণ হতে পারে। যদি খাবার খাওয়ার পর প্রায়ই দুর্বলতা বা অলসতা অনুভব করেন, একবার খাবারে লবণের মাত্রা যাচাই করে দেখুন।

হজমে সমস্যা ও পেট ফাঁপা
লবণ বেশি খেলে শরীরে পানি জমে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে হজম ব্যবস্থায়। পেট ফাঁপা, অস্বস্তি, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও হতে পারে। যাদের পেট সংবেদনশীল, তাদের জন্য এটি আরও বেশি কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।

মাথাব্যথার প্রবণতা
অনিয়ন্ত্রিত লবণ গ্রহণ শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে, যার ফলে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে না, তখন মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়, যা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি
লবণ বেশি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো উচ্চ রক্তচাপ। সোডিয়াম রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

চুল পড়া রোধ করা কী সম্ভব?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অতিরিক্ত লবণের কারণে যে সব রোগ হতে পারে

আপডেট সময় ১২:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

রান্নায় লবণ ছাড়া যেন স্বাদই আসে না। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সহায়তা করে। তবে যেমন বলা হয়, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়; ঠিক তেমনই বেশি লবণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনার প্রতিদিনের খাবারে একটু বেশি লবণ যোগ করার অভ্যাস থাকে, তবে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার। চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পাঁচটি সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব—

শরীরে পানি জমে যাওয়া
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের কোষে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ায়। এর ফলে শরীরে ফোলাভাব, ভারী অনুভূতি ও অস্বস্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে লবণাক্ত খাবার খাওয়ার পর পেট ভার লাগার অনুভূতিই এর প্রমাণ।

অস্বাভাবিক ক্লান্তি
লবণের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়, যা ক্লান্তি ও শক্তিহীনতার অন্যতম কারণ হতে পারে। যদি খাবার খাওয়ার পর প্রায়ই দুর্বলতা বা অলসতা অনুভব করেন, একবার খাবারে লবণের মাত্রা যাচাই করে দেখুন।

হজমে সমস্যা ও পেট ফাঁপা
লবণ বেশি খেলে শরীরে পানি জমে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে হজম ব্যবস্থায়। পেট ফাঁপা, অস্বস্তি, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও হতে পারে। যাদের পেট সংবেদনশীল, তাদের জন্য এটি আরও বেশি কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।

মাথাব্যথার প্রবণতা
অনিয়ন্ত্রিত লবণ গ্রহণ শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে, যার ফলে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে না, তখন মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়, যা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি
লবণ বেশি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো উচ্চ রক্তচাপ। সোডিয়াম রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

চুল পড়া রোধ করা কী সম্ভব?