ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণ পরিশোধে চ্যালেঞ্জ,দাতাদের পাশে থাকার আশ্বাস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ছিল নানান প্রশ্ন। তবে উন্নয়ন সহযোগীরা আশ্বস্ত করেছে প্রকল্পের আওতায় ঋণ, অনুদানসহ সব ধরনের সহায়তা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের ব্যত্যয় হবে না। তারপরও বিশাল অংকের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা

বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, চীন, জাইকা, ভারত, রাশিয়া, ইউরোপীয় উন্নয়নসহ উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সেখানে আশ্বস্ত করেন দাতারা।

ইআরডির এশিয়া, জেইসি ও এফঅ্যান্ডএফ শাখার প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মিরানা মাহরুখ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পরে আমরা জাপান, এআইবি, চীন ও ভারতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেছি। আগে যেভাবে তারা আমাদের পাশে ছিল এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কোনো কিছুতে ব্যত্যয় হবে না। কোরিয়া, জাপানের ঋণে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে মিটিং করেছি। তারাও আমাদের সাধারণভাবে ঋণ-অনুদান দিচ্ছে।’

সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের দায় (আউটস্ট্যান্ডিং বা বকেয়া) বেড়ে হয়েছে ৬৯ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬ বা ৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০২৬ সালের পরে অনেক মেগা প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হবে। তখন বড় অংকের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এসময় এমন কোনো প্রকল্প চালু হবে না যা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঋণ সুদের ব্যয় বেশি, বাজেটের রাজস্ব আদায়ও কম। সরকারি যে আয় তাতে সুদের ব্যয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে বেশি টাকা থাকে না, যা দিয়ে অন্য জায়গায় খরচ করা যায়। ফলে বিনিয়োগ ধার করে করতে হবে।’

‘২০২৬ সালে পরে এমন কোনো প্রকল্প অবদান রাখবে না যা দিয়ে সরকারের আয় বাড়বে। ২০২৭ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ বড় অংকে বাড়বে। বেশ কিছু প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে অথবা ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বোঝা বাড়বে করদাতার ওপর। বিশেষ করে দেশের সব মানুষের ওপর।’

২০২৬ সালে পরে এমন কোনো প্রকল্প অবদান রাখবে না যা দিয়ে সরকারের আয় বাড়বে। ২০২৭ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ বড় অংকে বাড়বে। বেশ কিছু প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে অথবা ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বোঝা বাড়বে করদাতার ওপর। বিশেষ করে দেশের সব মানুষের ওপর।- ড. জাহিদ হোসেন

ঋণ-অনুদান দিয়ে পাশে থাকার প্রত্যয় উন্নয়ন সহযোগীদের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৯২ দশমিক ৩৬৭ বিলিয়ন ডলার। এসময় বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়েছে ৩০ দশমিক ১০৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মোট উন্নয়ন সহযোগিতা পেয়েছে ১২২ দশমিক ৪৭২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তা বাবদ ৭ দশমিক ০৩১ বিলিয়ন ডলার, পণ্য সহায়তা বাবদ ১০ দশমিক ৯০৮ বিলিয়ন ও প্রকল্প সহায়তা বাবদ এসেছে ১০৪ দশমিক ৫৩৩ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন :২৮ দিনে রেমিটেন্স এলো ২০৭ কোটি ১০ লাখ ডলার

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ঋণ পরিশোধে চ্যালেঞ্জ,দাতাদের পাশে থাকার আশ্বাস

আপডেট সময় ১০:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ছিল নানান প্রশ্ন। তবে উন্নয়ন সহযোগীরা আশ্বস্ত করেছে প্রকল্পের আওতায় ঋণ, অনুদানসহ সব ধরনের সহায়তা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের ব্যত্যয় হবে না। তারপরও বিশাল অংকের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা

বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, চীন, জাইকা, ভারত, রাশিয়া, ইউরোপীয় উন্নয়নসহ উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সেখানে আশ্বস্ত করেন দাতারা।

ইআরডির এশিয়া, জেইসি ও এফঅ্যান্ডএফ শাখার প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মিরানা মাহরুখ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পরে আমরা জাপান, এআইবি, চীন ও ভারতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেছি। আগে যেভাবে তারা আমাদের পাশে ছিল এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কোনো কিছুতে ব্যত্যয় হবে না। কোরিয়া, জাপানের ঋণে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে মিটিং করেছি। তারাও আমাদের সাধারণভাবে ঋণ-অনুদান দিচ্ছে।’

সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের দায় (আউটস্ট্যান্ডিং বা বকেয়া) বেড়ে হয়েছে ৬৯ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬ বা ৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০২৬ সালের পরে অনেক মেগা প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হবে। তখন বড় অংকের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এসময় এমন কোনো প্রকল্প চালু হবে না যা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঋণ সুদের ব্যয় বেশি, বাজেটের রাজস্ব আদায়ও কম। সরকারি যে আয় তাতে সুদের ব্যয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দিয়ে বেশি টাকা থাকে না, যা দিয়ে অন্য জায়গায় খরচ করা যায়। ফলে বিনিয়োগ ধার করে করতে হবে।’

‘২০২৬ সালে পরে এমন কোনো প্রকল্প অবদান রাখবে না যা দিয়ে সরকারের আয় বাড়বে। ২০২৭ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ বড় অংকে বাড়বে। বেশ কিছু প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে অথবা ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বোঝা বাড়বে করদাতার ওপর। বিশেষ করে দেশের সব মানুষের ওপর।’

২০২৬ সালে পরে এমন কোনো প্রকল্প অবদান রাখবে না যা দিয়ে সরকারের আয় বাড়বে। ২০২৭ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ বড় অংকে বাড়বে। বেশ কিছু প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে অথবা ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বোঝা বাড়বে করদাতার ওপর। বিশেষ করে দেশের সব মানুষের ওপর।- ড. জাহিদ হোসেন

ঋণ-অনুদান দিয়ে পাশে থাকার প্রত্যয় উন্নয়ন সহযোগীদের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৯২ দশমিক ৩৬৭ বিলিয়ন ডলার। এসময় বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়েছে ৩০ দশমিক ১০৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মোট উন্নয়ন সহযোগিতা পেয়েছে ১২২ দশমিক ৪৭২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তা বাবদ ৭ দশমিক ০৩১ বিলিয়ন ডলার, পণ্য সহায়তা বাবদ ১০ দশমিক ৯০৮ বিলিয়ন ও প্রকল্প সহায়তা বাবদ এসেছে ১০৪ দশমিক ৫৩৩ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন :২৮ দিনে রেমিটেন্স এলো ২০৭ কোটি ১০ লাখ ডলার