ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন সহ ১১ দফা দাবি বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করতে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে। ব্যাংক খাত শক্তিশালী করা, অর্থ পাচার রোধ এবং দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে তারা এই দাবিসহ একটি স্মারকলিপি অর্থ উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছে বলে জানা গেছে

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নেতারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানভীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুম বিল্লাহ ছাড়াও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অধিকতর শক্তিশালীকরণ, অর্থ পাচার রোধ এবং দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবসমূহ অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানায়।

১১ দফা-
১। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন তথা প্রশাসনিক, অপারেশনাল ও অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন।
২। স্বার্থের সংঘাত ও ব্যাংকিং খাতে দ্বৈতশাসন রোধকল্পে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্তি।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাঠামোগত সংস্কার।
৪। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও অন্যান্য সংস্কার।
৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদকে সাংবিধানিক পদে অন্তর্ভুক্তকরণ, পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান, ভবিষ্যতে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা থেকে গভর্নর নিয়োগ।
৬। ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধানের পদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পদে রূপান্তর এবং সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা প্রদান।
৭। বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ (সুদ হার, বিনিময় হার, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি) প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্তকরণ।
৮। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের পদকে গ্রেড-১, পরিচালকের পদকে গ্রেড-২ ও অতিরিক্ত পরিচালকের পদকে গ্রেড-৩ এ উন্নীতকরণ এবং ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তকরণ।
৯। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন।
১০। বিগত বছরসমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যেসব সুবিধা বাতিল বা হ্রাস করা হয়েছে তা পুনর্বহাল করা।
১১। অন্তর্মুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসগুলোতে ব্যাংকিং এটাচি পদ সৃষ্টি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদায়ন।

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন সহ ১১ দফা দাবি বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের

আপডেট সময় ০৩:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করতে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে। ব্যাংক খাত শক্তিশালী করা, অর্থ পাচার রোধ এবং দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে তারা এই দাবিসহ একটি স্মারকলিপি অর্থ উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছে বলে জানা গেছে

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নেতারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানভীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুম বিল্লাহ ছাড়াও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অধিকতর শক্তিশালীকরণ, অর্থ পাচার রোধ এবং দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবসমূহ অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানায়।

১১ দফা-
১। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন তথা প্রশাসনিক, অপারেশনাল ও অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন।
২। স্বার্থের সংঘাত ও ব্যাংকিং খাতে দ্বৈতশাসন রোধকল্পে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্তি।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাঠামোগত সংস্কার।
৪। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও অন্যান্য সংস্কার।
৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদকে সাংবিধানিক পদে অন্তর্ভুক্তকরণ, পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান, ভবিষ্যতে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা থেকে গভর্নর নিয়োগ।
৬। ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধানের পদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পদে রূপান্তর এবং সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা প্রদান।
৭। বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ (সুদ হার, বিনিময় হার, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি) প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্তকরণ।
৮। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের পদকে গ্রেড-১, পরিচালকের পদকে গ্রেড-২ ও অতিরিক্ত পরিচালকের পদকে গ্রেড-৩ এ উন্নীতকরণ এবং ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তকরণ।
৯। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন।
১০। বিগত বছরসমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যেসব সুবিধা বাতিল বা হ্রাস করা হয়েছে তা পুনর্বহাল করা।
১১। অন্তর্মুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসগুলোতে ব্যাংকিং এটাচি পদ সৃষ্টি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদায়ন।