ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজি না থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ায় এবং গত কয়েকদিন রাস্তায় কোথাও কোনো চাঁদাবাজি না থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে এখনও যেসব সবজির দাম বেশি সেটির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু কিছু সবজির এখন মৌসুম নেই, সে কারণে সেগুলোর দাম কিছুটা বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার এবং খিলগাঁও বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর মুখি কেজি ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাল বেগুন ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০, ধুন্দল ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা। অন্যদিকে মৌসুম না হওয়ার কারণে যেসব সবজির দাম বাড়তি সেই তালিকায় আছে টমেটোর কেজি ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা এবং করলা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আশিক আহসান। তিনি বলেন, বাজারে আজ সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম। মনে হচ্ছে সবজির দাম কমে আসতে শুরু করেছে। তবে কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তি রয়ে গেছে। মাঝখানে কিছুদিন সবজির দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল, বলতে গেলে ৮০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজিই ছিল না। সেই তুলনায় আজকে বাজারে দেখা যাচ্ছে কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে সবজির দাম।

কাঁচা বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা জানান, বেশ কয়েকদিনের টানা আন্দোলনের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এখন রাস্তায় ও বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। সে জন্য খরচ কমেছে। পাশাপাশি ন্যায্য দরে পণ্য বিক্রি করতে শিক্ষার্থীদের তদারকি চলছে। এসব কারণে পাইকারি পর্যায়ে সবজির দর অনেকটা কমেছে।

সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা আলম বলেন, আগের চেয়ে সবজির দাম কমেছে। আগে থেকেই সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছিল তবে কয়েকদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, কারফিউ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি পরিবহন করা যাচ্ছিল না। সে সময় আরও বেড়ে গিয়েছিল সব ধরনের সবজির দাম। সেই তুলনায় কমে আসতে শুরু করেছে সবজির দাম। এছাড়া আরও একটি বড় কারণ হলো আগে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো, দোকান বসলে টাকা দিতে হতো, পিকআপে করে সবজি আনার সময় ট্রাফিকসহ বিভিন্ন জায়গায় খরচ হতো। বর্তমানে সেই খরচটি নেই সে কারণে আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে আমরা সবজি বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে সরবরাহ বাড়লেও মাছের দামে হেরফের নেই। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ মাছ। তবে ইলিশের দাম কিছুটা বাড়তি। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। খুচরা বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট ইলিশ (৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪০০ টাকায়।

এছাড়া প্রতি কেজিতে পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২৪০-২৬০ টাকায়, শিং ৫০০-৬০০ টাকায়, রুই (দেড়-দুই কেজি) ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর পাবদা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ঝুলে আছে বেসরকারি খাতে ১০ গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র আহ্বান

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

চাঁদাবাজি না থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

আপডেট সময় ০১:১১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ায় এবং গত কয়েকদিন রাস্তায় কোথাও কোনো চাঁদাবাজি না থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে এখনও যেসব সবজির দাম বেশি সেটির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু কিছু সবজির এখন মৌসুম নেই, সে কারণে সেগুলোর দাম কিছুটা বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার এবং খিলগাঁও বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর মুখি কেজি ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাল বেগুন ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০, ধুন্দল ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা। অন্যদিকে মৌসুম না হওয়ার কারণে যেসব সবজির দাম বাড়তি সেই তালিকায় আছে টমেটোর কেজি ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা এবং করলা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আশিক আহসান। তিনি বলেন, বাজারে আজ সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম। মনে হচ্ছে সবজির দাম কমে আসতে শুরু করেছে। তবে কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তি রয়ে গেছে। মাঝখানে কিছুদিন সবজির দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল, বলতে গেলে ৮০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজিই ছিল না। সেই তুলনায় আজকে বাজারে দেখা যাচ্ছে কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে সবজির দাম।

কাঁচা বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা জানান, বেশ কয়েকদিনের টানা আন্দোলনের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এখন রাস্তায় ও বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। সে জন্য খরচ কমেছে। পাশাপাশি ন্যায্য দরে পণ্য বিক্রি করতে শিক্ষার্থীদের তদারকি চলছে। এসব কারণে পাইকারি পর্যায়ে সবজির দর অনেকটা কমেছে।

সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা আলম বলেন, আগের চেয়ে সবজির দাম কমেছে। আগে থেকেই সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছিল তবে কয়েকদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, কারফিউ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি পরিবহন করা যাচ্ছিল না। সে সময় আরও বেড়ে গিয়েছিল সব ধরনের সবজির দাম। সেই তুলনায় কমে আসতে শুরু করেছে সবজির দাম। এছাড়া আরও একটি বড় কারণ হলো আগে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো, দোকান বসলে টাকা দিতে হতো, পিকআপে করে সবজি আনার সময় ট্রাফিকসহ বিভিন্ন জায়গায় খরচ হতো। বর্তমানে সেই খরচটি নেই সে কারণে আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে আমরা সবজি বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে সরবরাহ বাড়লেও মাছের দামে হেরফের নেই। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ মাছ। তবে ইলিশের দাম কিছুটা বাড়তি। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। খুচরা বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট ইলিশ (৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪০০ টাকায়।

এছাড়া প্রতি কেজিতে পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২৪০-২৬০ টাকায়, শিং ৫০০-৬০০ টাকায়, রুই (দেড়-দুই কেজি) ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর পাবদা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।