ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাল তালিকা’ থেকে মুক্ত হলো পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন নিরাপত্তা অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘রেড লেন’ ভুক্ত করেছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তানের অনুরোধে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলো ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

যার ফলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে: বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির “রেড লেন” থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ “রেড লেন” এ ছিল। ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পণ্যগুলোকে “রেড লেন” থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে: মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর। এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো রকম জটিলতা থাকবে না। পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য চালান ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া বহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় ওই দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্য ভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট চালু রাখার বিষয়ে কাস্টমস হাউজগুলো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ওই সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন :ইলিশ স্বল্পতার মাঝেও রেকর্ড দামে ভারতে রফতানির কারণ কী?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

লাল তালিকা’ থেকে মুক্ত হলো পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন নিরাপত্তা অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘রেড লেন’ ভুক্ত করেছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তানের অনুরোধে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলো ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

যার ফলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে: বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির “রেড লেন” থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ “রেড লেন” এ ছিল। ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পণ্যগুলোকে “রেড লেন” থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে: মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর। এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো রকম জটিলতা থাকবে না। পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য চালান ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া বহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় ওই দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্য ভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট চালু রাখার বিষয়ে কাস্টমস হাউজগুলো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ওই সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন :ইলিশ স্বল্পতার মাঝেও রেকর্ড দামে ভারতে রফতানির কারণ কী?