ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ বহুল আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় ইউক্রেনে মস্কোর তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান নিয়ে বৈঠক করবেন। খবর আলজাজিরার।

বৈঠকে দুই দেশের নেতা ‘ভূমি বিনিময়’ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, অর্থাৎ ট্রাম্প এমন একটি চুক্তিকে সমর্থন করতে পারেন—যেখানে রাশিয়া ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে, তবে সবগুলোর নয়।

গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। তারা প্রধান অঞ্চল দখল করেছে। আমরা সেই অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

তবে ভূমি বিনিময়ের ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনকে বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু জমি ছেড়ে দিতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য বারবার বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনীয় ভূমি সমর্পণের বিষয়ে যেকোনো চুক্তি ব্যর্থ হবে।

পুতিন কী চান?
গত মাসে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ না করে, তবে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সেই সময়সীমা এখন পেরিয়ে গেছে, তবে মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয় অব্যাহত রাখায় ভারতকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি ক্রয়কারী অন্যান্য দেশের ওপর আরও শুল্কারোপ এড়াতে শুক্রবারের বৈঠকে পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প।

পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান, যার মধ্যে রয়েছে লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন, যেগুলোর কিছু অংশ রাশিয়া ২০২২ সালে দখল করে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের করে নেয় রাশিয়া। যদি এতে কিয়েভ একমত হয়, তাহলে এর অর্থ হবে লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের কিছু অংশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে তাদের।

গত ৮ আগস্ট ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা একটি চুক্তির বিষয়ে কাজ করছেন, যাতে ‘যুদ্ধ স্থগিত হবে’ এবং মস্কোকে তাদের দখলকৃত অঞ্চল ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া পুতিন ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থাকার দাবি জানিয়েছেন।

ইউক্রেন কি তাদের অঞ্চল ছেড়ে দিতে পারে?
এই যুদ্ধের সময় এবং এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেন তাদের যে ভূমি হারিয়েছে, তা ছেড়ে দেওয়া স্বাগত জানানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নয়। গত শনিবার জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে জমি ‘উপহার’ দেবেন না এবং ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার দখলদারদের কাছে তাদের জমি ছেড়ে দেবে না। এর চেয়েও বড় কথা, ইউক্রেনীয় সংবিধান অনুসারে যেকোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া বেআইনি।

রাশিয়া ইউক্রেনের কত অংশ নিয়ন্ত্রণ করে?
রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ, এক লাখ ১৪ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া ইউক্রেনের খারকিভ, সুমি, মাইকোলাইভ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের ছোট ছোট অংশ রাশিয়ার দখলে। সুমি ও খারকিভ অঞ্চলজুড়ে রাশিয়া প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরোটা এবং দোনেৎস্কের তিন-চতুর্থাংশ দখল করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেন এখনও ডনবাসের প্রায় ৬ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে। রাশিয়া অবশ্য তাদের বেশিরভাগ শক্তি দোনেৎস্কের সম্মুখভাগে সরিয়ে নিয়েছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই এমন শেষের দিকের প্রধান শহরগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধে রাশিয়ার বর্তমান অগ্রগতি কী?
চলতি আগস্ট মাসে রুশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তারা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে দুর্গ অঞ্চল দখলের প্রচেষ্টা তীব্র করার অংশ হিসেবে সম্মুখরেখার দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এগিয়ে গেছে, টোরেস্ক ও পূর্ব পোকরোভস্ক এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে।

যুদ্ধ-পূর্ব পরিস্থিতি কেমন ছিল?
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের আগে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল ২০১৪ সালে। মস্কো ডনবাস অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছিল, যার ফলে স্ব-ঘোষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল। রাশিয়া ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজাতন্ত্রগুলোকে স্বীকৃতি দেয় এবং তিন দিন পর ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। ইউক্রেনের এই যুদ্ধের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রায় এক কোটি ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা দেশটির যুদ্ধ-পূর্ব জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ৩৭ লাখ মানুষ ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত আর ৬৯ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে গেছে।

পুতিনকে কী টলাতে পারবেন ট্রাম্প?

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আজ বহুল আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

আপডেট সময় ১০:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় ইউক্রেনে মস্কোর তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান নিয়ে বৈঠক করবেন। খবর আলজাজিরার।

বৈঠকে দুই দেশের নেতা ‘ভূমি বিনিময়’ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, অর্থাৎ ট্রাম্প এমন একটি চুক্তিকে সমর্থন করতে পারেন—যেখানে রাশিয়া ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে, তবে সবগুলোর নয়।

গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। তারা প্রধান অঞ্চল দখল করেছে। আমরা সেই অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

তবে ভূমি বিনিময়ের ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনকে বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু জমি ছেড়ে দিতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য বারবার বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনীয় ভূমি সমর্পণের বিষয়ে যেকোনো চুক্তি ব্যর্থ হবে।

পুতিন কী চান?
গত মাসে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ না করে, তবে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সেই সময়সীমা এখন পেরিয়ে গেছে, তবে মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয় অব্যাহত রাখায় ভারতকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি ক্রয়কারী অন্যান্য দেশের ওপর আরও শুল্কারোপ এড়াতে শুক্রবারের বৈঠকে পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প।

পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান, যার মধ্যে রয়েছে লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন, যেগুলোর কিছু অংশ রাশিয়া ২০২২ সালে দখল করে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের করে নেয় রাশিয়া। যদি এতে কিয়েভ একমত হয়, তাহলে এর অর্থ হবে লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের কিছু অংশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে তাদের।

গত ৮ আগস্ট ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা একটি চুক্তির বিষয়ে কাজ করছেন, যাতে ‘যুদ্ধ স্থগিত হবে’ এবং মস্কোকে তাদের দখলকৃত অঞ্চল ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া পুতিন ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থাকার দাবি জানিয়েছেন।

ইউক্রেন কি তাদের অঞ্চল ছেড়ে দিতে পারে?
এই যুদ্ধের সময় এবং এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেন তাদের যে ভূমি হারিয়েছে, তা ছেড়ে দেওয়া স্বাগত জানানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নয়। গত শনিবার জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে জমি ‘উপহার’ দেবেন না এবং ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার দখলদারদের কাছে তাদের জমি ছেড়ে দেবে না। এর চেয়েও বড় কথা, ইউক্রেনীয় সংবিধান অনুসারে যেকোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া বেআইনি।

রাশিয়া ইউক্রেনের কত অংশ নিয়ন্ত্রণ করে?
রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ, এক লাখ ১৪ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া ইউক্রেনের খারকিভ, সুমি, মাইকোলাইভ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের ছোট ছোট অংশ রাশিয়ার দখলে। সুমি ও খারকিভ অঞ্চলজুড়ে রাশিয়া প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরোটা এবং দোনেৎস্কের তিন-চতুর্থাংশ দখল করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেন এখনও ডনবাসের প্রায় ৬ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে। রাশিয়া অবশ্য তাদের বেশিরভাগ শক্তি দোনেৎস্কের সম্মুখভাগে সরিয়ে নিয়েছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই এমন শেষের দিকের প্রধান শহরগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধে রাশিয়ার বর্তমান অগ্রগতি কী?
চলতি আগস্ট মাসে রুশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তারা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে দুর্গ অঞ্চল দখলের প্রচেষ্টা তীব্র করার অংশ হিসেবে সম্মুখরেখার দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এগিয়ে গেছে, টোরেস্ক ও পূর্ব পোকরোভস্ক এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে।

যুদ্ধ-পূর্ব পরিস্থিতি কেমন ছিল?
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের আগে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল ২০১৪ সালে। মস্কো ডনবাস অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছিল, যার ফলে স্ব-ঘোষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল। রাশিয়া ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজাতন্ত্রগুলোকে স্বীকৃতি দেয় এবং তিন দিন পর ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। ইউক্রেনের এই যুদ্ধের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রায় এক কোটি ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা দেশটির যুদ্ধ-পূর্ব জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ৩৭ লাখ মানুষ ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত আর ৬৯ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে গেছে।

পুতিনকে কী টলাতে পারবেন ট্রাম্প?