রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) দিনগত রাতের এ হামলায় বিস্ফোরণ ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা রাশিয়ার গভীরে চালানো হয়েছে, যেখানে আগে মূলত দক্ষিণ সীমান্ত ও পশ্চিমাঞ্চলে হামলা পরিচালিত হতো।
সারাতভের গভর্নর জানিয়েছেন, হামলায় একজন নিহত এবং কয়েকটি আবাসিক ভবন ও একটি শিল্প কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তিনি তেল শোধনাগার আঘাতের বিষয়ে কিছু বলেননি।
এদিকে ইউক্রেনীয় সেনারা দাবি করেছে, তারা সুমি অঞ্চলের বেজসালিভকা গ্রাম রুশ বাহিনীর দখলমুক্ত করেছে। এতে অন্তত ১৮ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ চতুর্থ বছরে গড়িয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে ইউরোপীয় নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে নিষিদ্ধ সৈকতে সাঁতার কাটতে গিয়ে অবিস্ফোরিত মাইন বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দিন রাশিয়ান ড্রোন হামলায় খেরসন অঞ্চলে একটি বাসে অন্তত দুজন নিহত ও ১৬ জন আহত হন। হামলার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসা পুলিশ সদস্যদের ওপরও ড্রোন আঘাত করে, এতে তিন কর্মকর্তা আহত হন।
জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও রুশ হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতে নিক্ষিপ্ত ৪৭টি রুশ ড্রোনের মধ্যে ১৬টি তারা ভূপাতিত করেছে। অপরদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ৯৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
অপরদিকে, কোনো ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে পুনরায় প্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেছেন, পক্ষগুলি এমন একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে যা সংঘাতের সমাধান করতে পারে।
ইউরোপীয় নেতারা যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ইউক্রেনকে সমর্থন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইউরোপীয় পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে একটি পাল্টা শান্তি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যেখানে যুদ্ধবিরতির আগে অন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে।