ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দিরা গান্ধীর ঘাতকের ছেলে আর রাহুল গান্ধী, দুজনেই এবার সংসদে

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের ফরিদকোট আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সরবজিৎ সিং খালসা। তার অন্যতম পরিচয় হল তার বাবার নাম ছিল বিয়ন্ত সিং। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তার যে দুজন দেহরক্ষী গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তাদেরই একজন ছিলেন বিয়ন্ত সিং।তার সঙ্গে একই লোকসভায় বসবেন ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধীও।

সরবজিৎ সিংয়ের মতোই আরেক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংও এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জেলবন্দি অবস্থায় থেকেই। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আছে। ভোটে জেতার পরে তার আইনজীবীরা তার জামিনের ব্যবস্থা শুরু করেছেন।

অমৃতপাল সিংয়ের আইনজীবী রাজদেভ সিং খালসা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে জামিনের আবেদনে মি. সিংয়ের মাদক-বিরোধী অবস্থানটাকেই তুলে ধরবেন তারা। ভোটে জেতার পরে মানুষের সমর্থন যে অমৃতপাল সিংয়ের প্রতি আছে, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাই অমৃতপাল সিং-এর জামিনের বিরোধিতা না করতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন খালসা।

আগেও মুখোমুখি সিং আর গান্ধী পরিবার
বিয়ন্ত সিংয়ের এবং ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারের মুখোমুখি হওয়া অবশ্য এই প্রথম নয়। সরবজিৎ সিংয়ের মা, বিয়ন্ত সিংয়ের স্ত্রী বিমল কউর খালসা ১৯৮৯ সালে পাঞ্জাবের রোপার থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে জিতে সংসদে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র রাজীব গান্ধীও।

বিমল কউর খালসার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ১৯৯১ সালে। বিয়ন্ত সিংয়ের বাবা সুচা সিংও ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হয়েছিলেন ভোটে জিতে।

দাদু এবং মা শিরোমণি আকালি দলের হয়ে ভোটে জিতেছিলেন, সরবজিৎ সিং-ও সেই দলের হয়ে ভোটে লড়াই করে হেরে গিয়েছিলেন।

বার দুয়েক বিধানসভা ভোটেও লড়ে পরাজিত হন তিনি। তবে এবার তিনি জিতেছেন নির্দল (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসাবে। নির্দল প্রার্থী হলেও তিনি খালিস্তানপন্থী হিসাবেই পরিচিত।

আবার আরেক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংও পাঞ্জাব থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি জাতীয় সুরক্ষা আইনে জেলবন্দি হয়ে আছেন আসামের ডিব্রুগড়ে। জেল থেকেই ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছেন মি. সিং।

দুই খালিস্তানপন্থী নেতার ভোটে জয়ী হওয়া নিয়ে পাঞ্জাবে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনি রাজনীতিতে খালিস্তানপন্থীদের উত্থানের বিষয়টি মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে বলে তারা মনে করছেন। সূত্র : বিবিসি।

আরো পড়ুন : নরেন্দ্র মোদি কি জোট সরকার চালাতে পারবেন?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ইন্দিরা গান্ধীর ঘাতকের ছেলে আর রাহুল গান্ধী, দুজনেই এবার সংসদে

আপডেট সময় ১০:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের ফরিদকোট আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সরবজিৎ সিং খালসা। তার অন্যতম পরিচয় হল তার বাবার নাম ছিল বিয়ন্ত সিং। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তার যে দুজন দেহরক্ষী গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তাদেরই একজন ছিলেন বিয়ন্ত সিং।তার সঙ্গে একই লোকসভায় বসবেন ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধীও।

সরবজিৎ সিংয়ের মতোই আরেক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংও এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জেলবন্দি অবস্থায় থেকেই। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আছে। ভোটে জেতার পরে তার আইনজীবীরা তার জামিনের ব্যবস্থা শুরু করেছেন।

অমৃতপাল সিংয়ের আইনজীবী রাজদেভ সিং খালসা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে জামিনের আবেদনে মি. সিংয়ের মাদক-বিরোধী অবস্থানটাকেই তুলে ধরবেন তারা। ভোটে জেতার পরে মানুষের সমর্থন যে অমৃতপাল সিংয়ের প্রতি আছে, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাই অমৃতপাল সিং-এর জামিনের বিরোধিতা না করতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন খালসা।

আগেও মুখোমুখি সিং আর গান্ধী পরিবার
বিয়ন্ত সিংয়ের এবং ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারের মুখোমুখি হওয়া অবশ্য এই প্রথম নয়। সরবজিৎ সিংয়ের মা, বিয়ন্ত সিংয়ের স্ত্রী বিমল কউর খালসা ১৯৮৯ সালে পাঞ্জাবের রোপার থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে জিতে সংসদে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র রাজীব গান্ধীও।

বিমল কউর খালসার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ১৯৯১ সালে। বিয়ন্ত সিংয়ের বাবা সুচা সিংও ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য হয়েছিলেন ভোটে জিতে।

দাদু এবং মা শিরোমণি আকালি দলের হয়ে ভোটে জিতেছিলেন, সরবজিৎ সিং-ও সেই দলের হয়ে ভোটে লড়াই করে হেরে গিয়েছিলেন।

বার দুয়েক বিধানসভা ভোটেও লড়ে পরাজিত হন তিনি। তবে এবার তিনি জিতেছেন নির্দল (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসাবে। নির্দল প্রার্থী হলেও তিনি খালিস্তানপন্থী হিসাবেই পরিচিত।

আবার আরেক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংও পাঞ্জাব থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি জাতীয় সুরক্ষা আইনে জেলবন্দি হয়ে আছেন আসামের ডিব্রুগড়ে। জেল থেকেই ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছেন মি. সিং।

দুই খালিস্তানপন্থী নেতার ভোটে জয়ী হওয়া নিয়ে পাঞ্জাবে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনি রাজনীতিতে খালিস্তানপন্থীদের উত্থানের বিষয়টি মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে বলে তারা মনে করছেন। সূত্র : বিবিসি।

আরো পড়ুন : নরেন্দ্র মোদি কি জোট সরকার চালাতে পারবেন?