ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল

ইরানে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের পর থেকেই দেশটির পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারিতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ছিল ইরান।

শুক্রবার ভোরে ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে। রাজধানী তেহরান থেকে প্রদেশটি দূরত্ব সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। ইসফাহানেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে।

প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। তবে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “নির্ভরযোগ্য সূত্রের” কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “পুরোপুরি নিরাপদেই” আছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি “নির্ভরযোগ্য” সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

“প্রতিরক্ষা কাঠামো থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে,” বলে জানাচ্ছে আইআরএনএ।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানাচ্ছে, ইসফাহান, সিরাজ ও তেহরানের মত বড় শহরগুলো থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল ইতিমধ্যেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস্ এবং ফ্লাই দুবাই ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তাদের ফ্লাইট প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।

একদিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরনকে বলেছিলেন, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেয়া হবে ইসরায়েল ‘নিজেই তার সেই সিদ্ধান্ত’ নেবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের সরকার ‘আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে’।

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর থেকেই মি. নেতানিয়াহু বারবার পাল্টা জবাব দেয়ার কথা বলে আসছিলেন।

শনিবার মধ্যরাতে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান।

ইরানি হামলার মুখে সক্রিয় হয়ে ওঠে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে হয় ইসরায়েলের বাসিন্দাদের।

মুহুর্মুহু আক্রমণ আর সেসব আক্রমণ প্রতিহত করা বা ‘ইন্টারসেপশন’-এর সময়টাতে আলোর ঝলকানি রাতের আকাশকে আলোকিত করে তুলছিল।

ইসরায়েলের মিত্ররাও অবশ্য সক্রিয় ছিল। ইসরায়েলের সীমানায় প্রবেশের আগেই অনেক ড্রোন এবং মিসাইল ভূপাতিত করে তারা।

অন্তত নয়টি দেশ সম্পৃক্ত ছিল শনিবার রাতের সামরিক তৎপরতায়। ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলোকে ভূপাতিত বা প্রতিহত করেছিল ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান। সূত্র : বিবিসি।

আরো পড়ুন : আপাতত ইরানে হামলা চালাবে না ইসরাইল

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল

আপডেট সময় ১০:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইরানে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের পর থেকেই দেশটির পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারিতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ছিল ইরান।

শুক্রবার ভোরে ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে। রাজধানী তেহরান থেকে প্রদেশটি দূরত্ব সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। ইসফাহানেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে।

প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। তবে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “নির্ভরযোগ্য সূত্রের” কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “পুরোপুরি নিরাপদেই” আছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি “নির্ভরযোগ্য” সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

“প্রতিরক্ষা কাঠামো থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে,” বলে জানাচ্ছে আইআরএনএ।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানাচ্ছে, ইসফাহান, সিরাজ ও তেহরানের মত বড় শহরগুলো থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল ইতিমধ্যেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস্ এবং ফ্লাই দুবাই ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তাদের ফ্লাইট প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।

একদিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরনকে বলেছিলেন, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেয়া হবে ইসরায়েল ‘নিজেই তার সেই সিদ্ধান্ত’ নেবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের সরকার ‘আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে’।

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর থেকেই মি. নেতানিয়াহু বারবার পাল্টা জবাব দেয়ার কথা বলে আসছিলেন।

শনিবার মধ্যরাতে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান।

ইরানি হামলার মুখে সক্রিয় হয়ে ওঠে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে হয় ইসরায়েলের বাসিন্দাদের।

মুহুর্মুহু আক্রমণ আর সেসব আক্রমণ প্রতিহত করা বা ‘ইন্টারসেপশন’-এর সময়টাতে আলোর ঝলকানি রাতের আকাশকে আলোকিত করে তুলছিল।

ইসরায়েলের মিত্ররাও অবশ্য সক্রিয় ছিল। ইসরায়েলের সীমানায় প্রবেশের আগেই অনেক ড্রোন এবং মিসাইল ভূপাতিত করে তারা।

অন্তত নয়টি দেশ সম্পৃক্ত ছিল শনিবার রাতের সামরিক তৎপরতায়। ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলোকে ভূপাতিত বা প্রতিহত করেছিল ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান। সূত্র : বিবিসি।

আরো পড়ুন : আপাতত ইরানে হামলা চালাবে না ইসরাইল