ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র দেওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবে ‘পূর্ণ ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতির’ শর্তাবলি উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া এবং বিনিময়ে ইসরায়েলের কারগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোও রয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। হামাসকেও এতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

গত ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির এ পরিকল্পনাকে প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে এটি পাস হলো।

ফিলিস্তিনের স্বাধিনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এর আগে জানিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে ‘স্বাগত’ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। হামাসের দাবি, গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পরিকল্পনার নিশ্চয়তা।

পাস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের প্রথম ধাপে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে ‘শত্রুতার চিরস্থায়ী সমাপ্তি’ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। এ ছাড়া প্রস্তাবটির শেষ ধাপে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার জন্য একটি বড় পুনর্গঠন পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণার ১০ দিন পর সোমবার (১০ জুন) রেজুলেশনটি পাস হলো। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলিরা এ পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও মার্কিন প্রস্তাবকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন করেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্ট বাইডেন রেজুলেশনের পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হামাস বলেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এটি প্রমাণ করতে এই চুক্তিটি তাদের জন্য একটি সুযোগ।’

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আজ আমরা শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছি।’

যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড গাজার পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুর্ভোগ অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে একই ধরনের পদক্ষেপে ভেটো দিয়েছিল, তবে মার্চের ওই রেজুলেশনে ভেটো দেয়নি। তবে ওই প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছিল।

গাজায় সংঘাত শুরু হয়েছিল গতবছরের ৭ অক্টোবর। হামাস ওইদিন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল আক্রমণ করে প্রায় এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা এবং প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে।

আরো পড়ুন : ইইউ ভোটে অতি-ডানপন্থিদের উত্থান, ফ্রান্সে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জাতিসংঘে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস

আপডেট সময় ১০:৫৫:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র দেওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবে ‘পূর্ণ ও সামগ্রিক যুদ্ধবিরতির’ শর্তাবলি উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া এবং বিনিময়ে ইসরায়েলের কারগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোও রয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। হামাসকেও এতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

গত ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির এ পরিকল্পনাকে প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে এটি পাস হলো।

ফিলিস্তিনের স্বাধিনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এর আগে জানিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে ‘স্বাগত’ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। হামাসের দাবি, গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পরিকল্পনার নিশ্চয়তা।

পাস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের প্রথম ধাপে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে ‘শত্রুতার চিরস্থায়ী সমাপ্তি’ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। এ ছাড়া প্রস্তাবটির শেষ ধাপে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার জন্য একটি বড় পুনর্গঠন পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণার ১০ দিন পর সোমবার (১০ জুন) রেজুলেশনটি পাস হলো। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলিরা এ পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও মার্কিন প্রস্তাবকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন করেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্ট বাইডেন রেজুলেশনের পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হামাস বলেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এটি প্রমাণ করতে এই চুক্তিটি তাদের জন্য একটি সুযোগ।’

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আজ আমরা শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছি।’

যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড গাজার পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুর্ভোগ অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে একই ধরনের পদক্ষেপে ভেটো দিয়েছিল, তবে মার্চের ওই রেজুলেশনে ভেটো দেয়নি। তবে ওই প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছিল।

গাজায় সংঘাত শুরু হয়েছিল গতবছরের ৭ অক্টোবর। হামাস ওইদিন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল আক্রমণ করে প্রায় এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা এবং প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে।

আরো পড়ুন : ইইউ ভোটে অতি-ডানপন্থিদের উত্থান, ফ্রান্সে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা