বোলাররা অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ছিল হারের শঙ্কাও। সেই শঙ্কা কাটিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
আগেই দুই দল ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। এই ম্যাচটি তাই বলতে গেলে ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেল। তাতে জিতে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলো আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। জাওয়াদ আবরার ৩, আজিজুল হাকিম ৭, রিজান হোসেন ১ আর কালাম সিদ্দিকী ফেরেন ৬ করেই।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন ওপেনার রিফাত বেগ। তবে সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মিছিল দেখে নিজের হাফসেঞ্চুরিটা আর ধৈর্য ধরে তুলে নিতে পারেননি। ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৩ রানে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
বাংলাদেশ তখন প্রবল চাপে। জিততে তখনও দরকার ৮০ রান। আর একটি-দুটি উইকেট পড়লে হয়তো ম্যাচ হাতছাড়াই হয়ে যেতো।
তবে সেই সুযোগ দেননি অলরাউন্ডার সামিউন বাসির। ৩৪ বলে ঝোড়ো ফিফটি করে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন তিনি, সঙ্গী ছিলেন উইকেটরক্ষক মো. আবদুল্লাহ। ৩৬ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন বাসির। ধরে খেলা আবদুল্লাহ ৪৭ বল খেলে করেন অপরাজিত ২০।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বায়ান্দা মাজুলা ২৯ রানে নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৪৫ রানের মধ্যে তাদের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এরপর বলতে গেলে একাই লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন বান্দিলে এমবাথা। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৩৩ আসে পল জেমসের ব্যাট থেকে। ৩৭.২ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাঁহাতি স্পিনার সঞ্জিত মজুমদার ৩৯ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ আর সামিউন বশির।