ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার বড় হার, বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমে এই সংস্করণে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেল লঙ্কানরা। সেই সঙ্গে যুক্ত হলো ৬ উইকেটের বড় হার। আনরিখ নরখিয়ার তোপে স্রেফ ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। পরে বোলিংয়ে তারা কিছুটা লড়াই করলেও ২২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বড় ব্যবধানে হারের পর বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের মূল সমস্যা ভেন্যু ও তাদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে। গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলতে হবে হাসারাঙ্গাদের। শুধু তাই নয় হোটেল থেকে ভেন্যুর দূরত্বও বেশ। যা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছে লঙ্কান ক্রিকেট দল।

গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর তড়িঘড়ি করেই সারতে হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। কারণ নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে তাদের টিম হোটেলের দূরত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টার। সেখান থেকে চেক আউট করে ডালাসের বিমান ধরতে হয়েছে লঙ্কানদের। সেখানেই ৮ জুন বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে দলটি। শুধু ম্যাচ শেষের এই তাড়াহুড়োই নয়, শ্রীলঙ্কা ভুগেছে ম্যাচের আগেও। নিউ ইয়র্কে ম্যাচ খেলার জন্য মায়ামি এয়ারপোর্টে লঙ্কানদের অপেক্ষা করতে হয় ৮ ঘণ্টা। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে আরও দুইবার দুই ভেন্যুতে গিয়ে শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে ভ্রমণের ক্লান্তির সঙ্গেও লড়তে হবে লঙ্কানদের।

এ নিয়ে স্পিনার মাহিশ থিকশানা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচের পর স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এটি অন্যায়। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলব। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে, মায়ামি থেকে আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।’

ব্যস্ত সূচির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের অনুশীলনও বাতিল করতে হয়েছে তাদের। সকালে ম্যাচ হওয়ায় ভোরে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে রওনা দিতে হয়েছে তাদের। নাম না বললেও থিকশানা জানিয়েছেন অন্য দলগুলো এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গাও অন্যায্য সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা দিন খুব কঠিন ছিল। চার ভেন্যুতে চার ম্যাচ। এটা কঠিনই। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা ছিল না। নিউইয়র্কে তো এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ডালাসে, সেখানকার কিছুও জানা নেই আমাদের। পরের ম্যাচটা ফ্লোরিডায়, সেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য একমাত্র ভালো খবর এটিই।’

এছাড়া দলটির ম্যানেজার মাহিন্দ হালানগোদা বলেছেন, আইসিসির কাছে এ নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে শ্রীলঙ্কা দল। তবে শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার এটাও বলেছেন, অভিযোগ করতে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। এ নিয়ে এখন আর কিছু করার নেই বলেই মনে করছেন হালানগোদা।

আরো পড়ুন : অভিষেকটা স্মরণীয় হলো না উগান্ডার

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

শ্রীলঙ্কার বড় হার, বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমে এই সংস্করণে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেল লঙ্কানরা। সেই সঙ্গে যুক্ত হলো ৬ উইকেটের বড় হার। আনরিখ নরখিয়ার তোপে স্রেফ ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। পরে বোলিংয়ে তারা কিছুটা লড়াই করলেও ২২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বড় ব্যবধানে হারের পর বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের মূল সমস্যা ভেন্যু ও তাদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে। গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলতে হবে হাসারাঙ্গাদের। শুধু তাই নয় হোটেল থেকে ভেন্যুর দূরত্বও বেশ। যা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছে লঙ্কান ক্রিকেট দল।

গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর তড়িঘড়ি করেই সারতে হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। কারণ নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে তাদের টিম হোটেলের দূরত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টার। সেখান থেকে চেক আউট করে ডালাসের বিমান ধরতে হয়েছে লঙ্কানদের। সেখানেই ৮ জুন বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে দলটি। শুধু ম্যাচ শেষের এই তাড়াহুড়োই নয়, শ্রীলঙ্কা ভুগেছে ম্যাচের আগেও। নিউ ইয়র্কে ম্যাচ খেলার জন্য মায়ামি এয়ারপোর্টে লঙ্কানদের অপেক্ষা করতে হয় ৮ ঘণ্টা। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে আরও দুইবার দুই ভেন্যুতে গিয়ে শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে ভ্রমণের ক্লান্তির সঙ্গেও লড়তে হবে লঙ্কানদের।

এ নিয়ে স্পিনার মাহিশ থিকশানা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচের পর স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এটি অন্যায়। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলব। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে, মায়ামি থেকে আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।’

ব্যস্ত সূচির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের অনুশীলনও বাতিল করতে হয়েছে তাদের। সকালে ম্যাচ হওয়ায় ভোরে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে রওনা দিতে হয়েছে তাদের। নাম না বললেও থিকশানা জানিয়েছেন অন্য দলগুলো এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গাও অন্যায্য সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা দিন খুব কঠিন ছিল। চার ভেন্যুতে চার ম্যাচ। এটা কঠিনই। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা ছিল না। নিউইয়র্কে তো এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ডালাসে, সেখানকার কিছুও জানা নেই আমাদের। পরের ম্যাচটা ফ্লোরিডায়, সেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য একমাত্র ভালো খবর এটিই।’

এছাড়া দলটির ম্যানেজার মাহিন্দ হালানগোদা বলেছেন, আইসিসির কাছে এ নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে শ্রীলঙ্কা দল। তবে শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার এটাও বলেছেন, অভিযোগ করতে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। এ নিয়ে এখন আর কিছু করার নেই বলেই মনে করছেন হালানগোদা।

আরো পড়ুন : অভিষেকটা স্মরণীয় হলো না উগান্ডার