গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই হতো। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ শুরুটাও করেছিল দুর্দান্ত। লিডও নিয়েছিল তৃষ্ণারা। দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেল। ভুলে ভরা ফুটবলের সঙ্গে রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করল বাংলাদেশি ফুটবলারদের পায়ে। ভুলের উপর ভুল করে হজম করল গোল। যেনো পায়ে ঠেলে সুযোগ হারাল আফঈদা-মুনকিরা।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ ব্যধানে হেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য বাংলাদেশের সামনে এখনো মূলপর্বে খেলার সুযোগ আছে। তবে সেজন্য মেলাতে যদি-কিন্তুর হিসাব। তাহলে তৃতীয় সেরা রানার্সআপ দল হিসেবে খেলবে মূলপর্বে।
শুরুটা বেশ দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন শ্রীমতি তৃষ্ণা। বামপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলে শট নিয়েছিলেন শান্তি মার্ডি। সেটাকে গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন তৃষ্ণা। সেই লিড অবশ্য বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ মিনিট পরই ম্যাচে সমতা ফেরায় কোরিয়া। ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পরে দেখা মেলে ভিন্ন বাংলাদেশের। ভুলে ভরা এই অর্ধে একের পর এক গোল হজম করে বাংলাদেশ। রাজ্যের ক্লান্তি দেখা যায় আফঈদা-নবীরনদের পায়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোলগুলোতে তাদের কৃতিত্বের চেয়ে বরং বাংলাদেশের ভুলগুলোই ছিল বড়।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। বক্সের সামনে সিনহা শিখার দুর্বল পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলের মঞ্চ তৈরি করে কোরিয়া। খুঁজে নেয় জাল।
৬০ মিনিটে তৃতীয় গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডানদিক থেকে আক্রমণে কোরিয়ার ফুটবলারের কোনো মার্কারই ছিল না। গোলরক্ষক স্বর্নাকে একা পেয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
শেষ ১০ মিনিটেই ৩ গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে চতুর্থ গোল আদায় করে কোরিয়া। বক্সে ফাউল করেন নবীরন খাতুন। ৮৯ মিনিটে ফার পোস্টে ফাঁকায় থেকে পঞ্চম গোল আদায় করে নেয় কোরিয়া।
ম্যাচের শেষ মিনিটে ষষ্ঠ গোল পায় কোরিয়া। বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন কোরিয়ান ফুটবলার। আফঈদা-নবীরন-শিখারা চেয়ে চেয়ে সেই গোল দেখছিলেন।