ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ব তিমুরের জালে বাংলাদেশের মেয়েদের ৮ গোল

প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর শক্তিমত্তায় দুর্বল হলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল ভিন্ন। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করতে বড় ব্যবধানে জিততে হত বাংলাদেশকে। কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা হয় তার বিপরীত। নড়বড়ে শুরুতে বেঁচে গেছে গোল হজম করা থেকে। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে সাগরিকা-শান্তি-মুনকিরা। এরপর ম্যাচের আধিপত্য নিয়ে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে প্রতিপক্ষকে। আশা বাঁচিয়ে রেখেছে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার।

আজ শুক্রবার এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৮-০ গোলে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে সাগরিকা-শান্তিরা।

১৯ মিনিটে জোড়া কর্নার পায় বাংলাদেশ। সেখানে থেকে ডেডলক ভাঙেন সিনহা শিখা। দ্বিতীয় কর্নার নেন স্বপ্না রানী। নিজের মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে ফাঁকায় চলে আসেন শিখা। সেখান থেকে হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।

ম্যাচের ৩২ মিনিটে আরেক কর্নার থেকে দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশ। তবে, এবারের গোলটি ছিল বেশ দৃষ্টিনন্দন। সরাসরি কর্নার থেকে গোল করেন শান্তি মার্ডি। তার নেওয়া কর্নার দূরের পোস্টে লেগে খুঁজে নেয় জাল। কর্নার থেকে নেওয়া শট কোনো খেলোয়াড় স্পর্শ না করে বল জালে জড়ালে সেটাকে বলা হয় অলিম্পিক গোল। সেই গোলেই নাম লেখান শান্তি।

তিন মিনিট পরে আরেক কর্নার থেকে আরও একটি গোল আদায় করে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। শান্তি মার্ডির নেওয়া কর্নার থেকে বল চলে যায় ঠিক ছয় গজ বক্সের মাঝখানে। সেখানে নিচের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে হেডে বল জালে জড়ান নবীরন খাতুন।

যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এক হালি গোল পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে বল নিয়ে বক্সের কাছে চলে যান মোসাম্মৎ সাগরিকা। সেখান থেকে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান স্বপ্না রানীর উদ্দেশ্যে। সঙ্গে থাকা মার্কারকে পেছনে ফেলে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন স্বপ্না।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ গোল পেতেও সময় লাগেনি। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করেন তৃষ্ণা রানি সরকার। শিখার চিপ শট গোলরক্ষক আটকে দিলেও ফিরতি বল পেয়ে জাল কাঁপান তৃষ্ণা।

৭২ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান মোসাম্মৎ সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে শিখার বাড়নো থ্রু-বল ধরে বল নিয়ে বক্সের সামনে চলে যান সাগরিকা। পূর্ব তিমুরের গোলরক্ষক বেড়িয়ে আসেন গোল পোস্ট থেকে। তাকে পায়ের কারিকুরি দিয়ে হারিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

৭৮ মিনিটে মুনকি আক্তারের হেড আটকে দেন তিমুরের গোলরক্ষক। তবে, তিন মিনিট পরে আর আটকে রাখতে পারেননি তিনি। মাঝমাঠ থেকে তিনজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সাগরিকা। সেখান থেকে পাস থেকে ফাঁকায় থাকা তৃষ্ণাকে। ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে ব্যবধান ৭-০ করেন তিনি।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে স্কোরশিটে নাম লেখান মুনকি। বক্সের মধ্যে পাওয়া বলে কিক নিয়েছিলেন তৃষ্ণা। কিন্তু তিমুরের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেই বল চলে যায় মুনকির কাছে। দারুণ প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

সাগরিকার জোড়া গোলে লাওসকে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পূর্ব তিমুরের জালে বাংলাদেশের মেয়েদের ৮ গোল

আপডেট সময় ০৫:৪৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর শক্তিমত্তায় দুর্বল হলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল ভিন্ন। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করতে বড় ব্যবধানে জিততে হত বাংলাদেশকে। কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা হয় তার বিপরীত। নড়বড়ে শুরুতে বেঁচে গেছে গোল হজম করা থেকে। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে সাগরিকা-শান্তি-মুনকিরা। এরপর ম্যাচের আধিপত্য নিয়ে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে প্রতিপক্ষকে। আশা বাঁচিয়ে রেখেছে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার।

আজ শুক্রবার এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৮-০ গোলে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে সাগরিকা-শান্তিরা।

১৯ মিনিটে জোড়া কর্নার পায় বাংলাদেশ। সেখানে থেকে ডেডলক ভাঙেন সিনহা শিখা। দ্বিতীয় কর্নার নেন স্বপ্না রানী। নিজের মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে ফাঁকায় চলে আসেন শিখা। সেখান থেকে হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।

ম্যাচের ৩২ মিনিটে আরেক কর্নার থেকে দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশ। তবে, এবারের গোলটি ছিল বেশ দৃষ্টিনন্দন। সরাসরি কর্নার থেকে গোল করেন শান্তি মার্ডি। তার নেওয়া কর্নার দূরের পোস্টে লেগে খুঁজে নেয় জাল। কর্নার থেকে নেওয়া শট কোনো খেলোয়াড় স্পর্শ না করে বল জালে জড়ালে সেটাকে বলা হয় অলিম্পিক গোল। সেই গোলেই নাম লেখান শান্তি।

তিন মিনিট পরে আরেক কর্নার থেকে আরও একটি গোল আদায় করে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। শান্তি মার্ডির নেওয়া কর্নার থেকে বল চলে যায় ঠিক ছয় গজ বক্সের মাঝখানে। সেখানে নিচের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে হেডে বল জালে জড়ান নবীরন খাতুন।

যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এক হালি গোল পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে বল নিয়ে বক্সের কাছে চলে যান মোসাম্মৎ সাগরিকা। সেখান থেকে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান স্বপ্না রানীর উদ্দেশ্যে। সঙ্গে থাকা মার্কারকে পেছনে ফেলে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন স্বপ্না।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ গোল পেতেও সময় লাগেনি। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করেন তৃষ্ণা রানি সরকার। শিখার চিপ শট গোলরক্ষক আটকে দিলেও ফিরতি বল পেয়ে জাল কাঁপান তৃষ্ণা।

৭২ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান মোসাম্মৎ সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে শিখার বাড়নো থ্রু-বল ধরে বল নিয়ে বক্সের সামনে চলে যান সাগরিকা। পূর্ব তিমুরের গোলরক্ষক বেড়িয়ে আসেন গোল পোস্ট থেকে। তাকে পায়ের কারিকুরি দিয়ে হারিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

৭৮ মিনিটে মুনকি আক্তারের হেড আটকে দেন তিমুরের গোলরক্ষক। তবে, তিন মিনিট পরে আর আটকে রাখতে পারেননি তিনি। মাঝমাঠ থেকে তিনজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সাগরিকা। সেখান থেকে পাস থেকে ফাঁকায় থাকা তৃষ্ণাকে। ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে ব্যবধান ৭-০ করেন তিনি।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে স্কোরশিটে নাম লেখান মুনকি। বক্সের মধ্যে পাওয়া বলে কিক নিয়েছিলেন তৃষ্ণা। কিন্তু তিমুরের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেই বল চলে যায় মুনকির কাছে। দারুণ প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

সাগরিকার জোড়া গোলে লাওসকে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা