ঢাকায় সম্প্রতি ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা- এমন অভিযোগে দলটির ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া বৈঠকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক মেজরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় সেনা সদরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানানো হয়েছে।
গত আটই জুলাই ঢাকার বসুন্ধরাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির ওই গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, এ অভিযোগে ঘটনার পর ঢাকার ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনব্যাপী বৈঠকটিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন।
গোপন ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীর এক মেজর অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সেতাকর্মীদের “প্রশিক্ষণ দিয়েছেন” বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার লক্ষ্যেই ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া মামলা উল্লেখ করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই মেজরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
“তার বিষয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলতে পারবো,” বলেন কর্নেল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরেক সেনা কর্মকর্তা মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ঘটনাটি জানার পর ওই মেজরকে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
“তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে,” বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান