ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস 

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট)। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বব্যাপী গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি প্রস্তাব আন্তর্জাতিক সনদ হিসেবে গৃহীত হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ শীর্ষক সম্মেলনের আন্তর্জাতিক সনদে ৩০ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাতশর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক নয়টি সনদের মধ্যে আটটিতে সই করে, কিন্তু জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও বিগত সরকার গুমবিরোধী সনদে সই করেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

এদিকে, আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আজ শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।

আরো পড়ুন : সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ এমপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস 

আপডেট সময় ১০:৫২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট)। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বব্যাপী গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি প্রস্তাব আন্তর্জাতিক সনদ হিসেবে গৃহীত হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ শীর্ষক সম্মেলনের আন্তর্জাতিক সনদে ৩০ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাতশর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক নয়টি সনদের মধ্যে আটটিতে সই করে, কিন্তু জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও বিগত সরকার গুমবিরোধী সনদে সই করেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

এদিকে, আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আজ শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।

আরো পড়ুন : সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ এমপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা