ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন : ফারুক খান

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ফারুক খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত পরিদর্শনে যা দেখলাম সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩ ভাগ বাকি আছে। এই তিন ভাগের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন ও টেস্টিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন,‘টার্মিনাল ভবনটির কাজ খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন এই টার্মিনালকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করছে বলে আমি আশাবাদী।

এই বিমানবন্দর কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন,‘এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম টাইম মতো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তবে আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই এটি চালু করতে পারবে।’

নতুন টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে এখানে চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক বড় করা হয়েছে। এখানে ৫৪টা ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। আশা করছি সব বয়সি ও শ্রেণি পেশার লোকজন ভালো সার্ভিস পাবেন।

টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমাদের বর্তমান রানওয়েতে আইএলএস (ইন্সট্রুমেন্ট অব ল্যান্ডিং সিস্টেম) সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। রাডারগুলো উন্নত করা হচ্ছে। তবে, দ্বিতীয় রানওয়ে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেহেতু আশেপাশে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে, আমরা দেখছি, কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করা যায়।’

থার্ড টার্মিনালে লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে ফারুক খান বলেন,‘পৃথিবীর যেকোনো দেশে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে প্রথম লাগেজ পেতে এখন ১৫ মিনিট লাগে, শেষেরটি পেতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। এর উন্নতির জন্য আমরা ইক্যুইপমেন্ট কিনেছি। চেষ্টা করছি আরও দ্রুত দেওয়া যায় কি না।’

গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সাথেগ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চারের কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা নির্দিষ্টভাবে জানায়নি তাদের কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। আশা করছি তারা দ্রুতই এটি জানাবে।’

এর আগে মন্ত্রী নতুন এই টার্মিনালের ভবন ঘুরে দেখেন।

এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো: মফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন : ফারুক খান

আপডেট সময় ১০:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ফারুক খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত পরিদর্শনে যা দেখলাম সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩ ভাগ বাকি আছে। এই তিন ভাগের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন ও টেস্টিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন,‘টার্মিনাল ভবনটির কাজ খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন এই টার্মিনালকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করছে বলে আমি আশাবাদী।

এই বিমানবন্দর কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন,‘এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম টাইম মতো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তবে আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই এটি চালু করতে পারবে।’

নতুন টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে এখানে চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক বড় করা হয়েছে। এখানে ৫৪টা ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। আশা করছি সব বয়সি ও শ্রেণি পেশার লোকজন ভালো সার্ভিস পাবেন।

টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমাদের বর্তমান রানওয়েতে আইএলএস (ইন্সট্রুমেন্ট অব ল্যান্ডিং সিস্টেম) সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। রাডারগুলো উন্নত করা হচ্ছে। তবে, দ্বিতীয় রানওয়ে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেহেতু আশেপাশে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে, আমরা দেখছি, কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করা যায়।’

থার্ড টার্মিনালে লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে ফারুক খান বলেন,‘পৃথিবীর যেকোনো দেশে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে প্রথম লাগেজ পেতে এখন ১৫ মিনিট লাগে, শেষেরটি পেতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। এর উন্নতির জন্য আমরা ইক্যুইপমেন্ট কিনেছি। চেষ্টা করছি আরও দ্রুত দেওয়া যায় কি না।’

গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সাথেগ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চারের কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা নির্দিষ্টভাবে জানায়নি তাদের কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। আশা করছি তারা দ্রুতই এটি জানাবে।’

এর আগে মন্ত্রী নতুন এই টার্মিনালের ভবন ঘুরে দেখেন।

এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো: মফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সূত্র : ইউএনবি