ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবসেবার নামে এ কেমন বর্বরতা?

মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন
দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত ও আলোচিত ব্যক্তি বাংলাদেশের মিল্টন সমাদ্দার। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
কে এই মিল্টন সমাদ্দার?

মিল্টন সমাদ্দারের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। জানা যায়, বাবা-মাকে মারধরে কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া তিনি। ২০০৯ সালে রাঙ্গামাটির চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পরিচয়ে তুলে ধরেন তিনি। ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় মিল্টন সমাদ্দার নিজের পরিচয় সম্পর্কে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন ও মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথম দুইটি প্রতিষ্ঠানকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

মিল্টন খন্দকার ফেসবুকে দাবি করেন, রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় ও আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের খুঁজে বেড়ানো তার নেশা ও পেশা হয়ে গেছে। মানুষের দান আর নিজের ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করেন তিনি।

শুরু থেকেই মিল্টন সমাদ্দার নানা মানবিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও করে নিজের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করেন। তার পেইজগুলোতে সড়কে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের অনেক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা রয়েছে। এসব ভিডিওতে এ ধরনের ব্যক্তিদের রাস্তাঘাট থেকে উদ্ধার করা, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি যেসব ব্যক্তিদের পরিবার রয়েছে তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের নিয়ে যাওয়া বা মৃত ব্যক্তিদের লাশ নিতে অনুরোধ করার ভিডিও রয়েছে। ফেসবুকে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে এসব অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সময়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।

এসব ভিডিওর পাশাপাশি তার ফেসবুক পেইজে ১০টির বেশি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করা হয়। মানুষের অনুদানেই এসব কেন্দ্র পরিচালনা করা হয় বলে নিজের পেইজে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে বলেছেন মিল্টন।

সামাজিক মাধ্যমে এসব ভিডিও প্রকাশের পর ব্যাপক প্রশংসিত হন মিল্টন। দুস্থদের স্থায়ী আবাসনের জন্য সাভারে ২৫ শতাংশ জমিতে ছয়তলা ভবন নির্মাণের কথাও ফেসবুকে বলা হয়েছে। চারশো থেকে পাঁচশ ব্যক্তি এখানে স্থান পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বছরের পহেলা মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ তাকে অনুসরণ করে। বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারী যাদের, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই অবস্থান এই মিল্টন সমাদ্দারের। মানবিক কাজের জন্য তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে আছে মানবিক কাজের আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগও। এছাড়া সাভারে জমি দখল, আর্থিক হিসাবে অস্বচ্ছতা, আশ্রিতদের হিসাবে গড়মিল, বরিশালে চার্চ দখলের চেষ্টা, বৃদ্ধদের চিকিৎসা না দেয়া, ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, নিজের বাবা-মাকে মারধরের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে এসব সংবাদে।

গ্রেপ্তারের আগের দিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিল্টন সমাদ্দার ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। ডেথ সার্টিফিকেট জাল করা অন্যায় হয়েছে স্বীকার করে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মিল্টন।

গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে বলেছেন, “তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।”

বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানব পাচার, হত্যার উদ্দেশ্যে মানুষকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিন মঞ্জুর করে।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশের অসহায় মানুষদের জন্য গড়ে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রম বা আশ্রয়কেন্দ্র সম্পর্কে মানুষের মনে যে সন্দেহ বাড়বে- তাতে সন্দেহ নেই। তাই অপরাধ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে আর কেহ এমন অমানবিক কর্মে লিপ্ত হতে না পারে।

আরো পড়ুন : জনস্বার্থে বন্ধ করতে হবে অবৈধ ফার্মেসী

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মানবসেবার নামে এ কেমন বর্বরতা?

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন
দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত ও আলোচিত ব্যক্তি বাংলাদেশের মিল্টন সমাদ্দার। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
কে এই মিল্টন সমাদ্দার?

মিল্টন সমাদ্দারের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। জানা যায়, বাবা-মাকে মারধরে কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া তিনি। ২০০৯ সালে রাঙ্গামাটির চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পরিচয়ে তুলে ধরেন তিনি। ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় মিল্টন সমাদ্দার নিজের পরিচয় সম্পর্কে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন ও মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথম দুইটি প্রতিষ্ঠানকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

মিল্টন খন্দকার ফেসবুকে দাবি করেন, রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় ও আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের খুঁজে বেড়ানো তার নেশা ও পেশা হয়ে গেছে। মানুষের দান আর নিজের ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করেন তিনি।

শুরু থেকেই মিল্টন সমাদ্দার নানা মানবিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও করে নিজের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করেন। তার পেইজগুলোতে সড়কে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের অনেক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা রয়েছে। এসব ভিডিওতে এ ধরনের ব্যক্তিদের রাস্তাঘাট থেকে উদ্ধার করা, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি যেসব ব্যক্তিদের পরিবার রয়েছে তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের নিয়ে যাওয়া বা মৃত ব্যক্তিদের লাশ নিতে অনুরোধ করার ভিডিও রয়েছে। ফেসবুকে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে এসব অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সময়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।

এসব ভিডিওর পাশাপাশি তার ফেসবুক পেইজে ১০টির বেশি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করা হয়। মানুষের অনুদানেই এসব কেন্দ্র পরিচালনা করা হয় বলে নিজের পেইজে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে বলেছেন মিল্টন।

সামাজিক মাধ্যমে এসব ভিডিও প্রকাশের পর ব্যাপক প্রশংসিত হন মিল্টন। দুস্থদের স্থায়ী আবাসনের জন্য সাভারে ২৫ শতাংশ জমিতে ছয়তলা ভবন নির্মাণের কথাও ফেসবুকে বলা হয়েছে। চারশো থেকে পাঁচশ ব্যক্তি এখানে স্থান পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বছরের পহেলা মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ তাকে অনুসরণ করে। বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারী যাদের, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই অবস্থান এই মিল্টন সমাদ্দারের। মানবিক কাজের জন্য তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে আছে মানবিক কাজের আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগও। এছাড়া সাভারে জমি দখল, আর্থিক হিসাবে অস্বচ্ছতা, আশ্রিতদের হিসাবে গড়মিল, বরিশালে চার্চ দখলের চেষ্টা, বৃদ্ধদের চিকিৎসা না দেয়া, ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, নিজের বাবা-মাকে মারধরের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে এসব সংবাদে।

গ্রেপ্তারের আগের দিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিল্টন সমাদ্দার ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। ডেথ সার্টিফিকেট জাল করা অন্যায় হয়েছে স্বীকার করে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মিল্টন।

গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে বলেছেন, “তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।”

বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানব পাচার, হত্যার উদ্দেশ্যে মানুষকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাত দিন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিন মঞ্জুর করে।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশের অসহায় মানুষদের জন্য গড়ে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রম বা আশ্রয়কেন্দ্র সম্পর্কে মানুষের মনে যে সন্দেহ বাড়বে- তাতে সন্দেহ নেই। তাই অপরাধ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে আর কেহ এমন অমানবিক কর্মে লিপ্ত হতে না পারে।

আরো পড়ুন : জনস্বার্থে বন্ধ করতে হবে অবৈধ ফার্মেসী