ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল গেম-এ আসক্ত শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনায় অমনোযোগী

মোঃ মুনছুর হেলাল
৯০ দশকের আগের মত গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীগুলো এখন আর সন্ধ্যার  পরে বই নিয়ে পড়তে বসে না, একটু সময় পেলেই বসে যায় মোবাইলে গেমস খেলার জন্য। আগের মত সন্তানদের প্রতি নেই  মা–বাবার শাসন।  এ যুগের মা-বাবারা তাদের সন্তানকে ডিজিটাল স্মার্টফোনের দিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কিনে দেন বেশি দামি স্মার্ট ফোন।
অথচ আজ থেকে দশ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত, পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হতো, সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো ।
যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই । এই পড়াশোনা করার  জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিলো। প্রতিদিন বিকেল হলেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা থেকে শুরু করে  নাচ,গান বা তবলার সুর ভেসে আাসতো।
তখনকার সময়ে যারা  আগের বছর পাশ করতো তাদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ করে তাদের পুরনো  বই সংগ্রহ করে চলতো পড়াশোনা। মাত্র আট থেকে দশ বছরের ব্যবধানে সব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে । সন্ধ্যার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বাজারে তো দূরের কথা ঘরের বাইরে দেখলেই সবাই অবাক হতো, শাসন করতো। আর এখন বাড়ী গেলে দেখি অনেক রাত পর্যন্ত ছেলেরা বাজারে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। কোথাও শুনতে পাওয়া যায়না পড়ার শব্দ।
গ্রুপ চ্যাটিং, অনলাইন/অফলাইন গেমস, পাব্জি, ফ্রী ফায়ার, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা, শিক্ষা গুরুর সাথে বেয়াদবী, শিক্ষকের নামে মিথ্যাচার করা, নিয়ম ভাঙ্গা, বেয়াদবী এগুলোই এখন তাদের পছন্দের তালিকা । এভাবে বাবার টাকা নষ্ট করে স্মার্ট মোবাইল ব্যবহার করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ দেশের ছাত্র সমাজ । ছাত্র সমাজকে বাঁচাতে হলে সন্ধ্যা ছয়টা  থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা জরুরী বলে মনে করেন অভিবাবকেরা ।
লেখক: সাংবাদিক।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোবাইল গেম-এ আসক্ত শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনায় অমনোযোগী

আপডেট সময় ১১:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
মোঃ মুনছুর হেলাল
৯০ দশকের আগের মত গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীগুলো এখন আর সন্ধ্যার  পরে বই নিয়ে পড়তে বসে না, একটু সময় পেলেই বসে যায় মোবাইলে গেমস খেলার জন্য। আগের মত সন্তানদের প্রতি নেই  মা–বাবার শাসন।  এ যুগের মা-বাবারা তাদের সন্তানকে ডিজিটাল স্মার্টফোনের দিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কিনে দেন বেশি দামি স্মার্ট ফোন।
অথচ আজ থেকে দশ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত, পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হতো, সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো ।
যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই । এই পড়াশোনা করার  জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিলো। প্রতিদিন বিকেল হলেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা থেকে শুরু করে  নাচ,গান বা তবলার সুর ভেসে আাসতো।
তখনকার সময়ে যারা  আগের বছর পাশ করতো তাদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ করে তাদের পুরনো  বই সংগ্রহ করে চলতো পড়াশোনা। মাত্র আট থেকে দশ বছরের ব্যবধানে সব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে । সন্ধ্যার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বাজারে তো দূরের কথা ঘরের বাইরে দেখলেই সবাই অবাক হতো, শাসন করতো। আর এখন বাড়ী গেলে দেখি অনেক রাত পর্যন্ত ছেলেরা বাজারে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। কোথাও শুনতে পাওয়া যায়না পড়ার শব্দ।
গ্রুপ চ্যাটিং, অনলাইন/অফলাইন গেমস, পাব্জি, ফ্রী ফায়ার, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা, শিক্ষা গুরুর সাথে বেয়াদবী, শিক্ষকের নামে মিথ্যাচার করা, নিয়ম ভাঙ্গা, বেয়াদবী এগুলোই এখন তাদের পছন্দের তালিকা । এভাবে বাবার টাকা নষ্ট করে স্মার্ট মোবাইল ব্যবহার করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ দেশের ছাত্র সমাজ । ছাত্র সমাজকে বাঁচাতে হলে সন্ধ্যা ছয়টা  থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা জরুরী বলে মনে করেন অভিবাবকেরা ।
লেখক: সাংবাদিক।
আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগের নীতি কি পাল্টে গেছে?