গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জাতীয় পার্টিকে অন্যায়ভাবে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া।
ওই সময়ে ভোটে অংশ নেওয়া অপরাধ হয়ে থাকলে বিএনপি সহ ৩২টি দলও অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার নির্বাচন কমিশনে দলের ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব।
“নির্বাচন করার কারণে আমাদের যে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা দেওয়া হচ্ছে, এ কথার সাথে আমরা একমত নই,” বলেন রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া।
“তিন নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামী ঐক্যজোট সহ, ইভেন মান্না ভাই, রব ভাই, ড. কামাল হোসেন, তারা সবাই ‘১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ যদি অপরাধ হয়, তাহলে ৩১টি দলই অপরাধী,” সাংবাদিকদের বলেন রেজাউল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে সংসদে প্রধান বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি।
সেই সময়ের ভূমিকার জন্য ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি তুলতে দেখা যাচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের একাধিক দল ও সংগঠনকে।
সবশেষ গত মঙ্গলবার গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটে থাকা দলগুলোর নিবন্ধন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব মি. ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে তাহলে (অংশ) নেবো। আমরা এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখছি না। আমরা দেখছি একটি অংশকে সরকার বেশি পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ওই অবস্থা বিরাজমান যদি থাকে, তাহলে আমরা দলগতভাবে প্রেসিডিয়াম সভায় যখন সিদ্ধান্ত হবে, তফসিল ঘোষণা হলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।”