ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনবিআর ৮২ ধারা বাতিলের দাবীতে মোংলা বন্দরে সিএন্ডএফ এর বিক্ষোভ

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক আরোপিত কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবীতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে ব্যাবসায়িদের একটি সংগঠন। মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন (সিএন্ড এফ)  এর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মোংলা বন্দরের প্রশাসনিক বভনের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে।
সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীরা জানায়, এনবিআর কর্তৃক কয়েকটি ধারায় আমদানীকারকদে সাথে আমাদের ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সি এন্ড এফ) ব্যাবসায়ীদেরও জড়িয়ে আইন প্রনয়ন করেছে। এর প্রতিবাদে এবং এ ধারার মধ্যে ৮২ নম্বর ধারা বাতিলের দাবীতে নেতৃবৃন্দরা সোমবার দুপুরে মিছিল সহকারে বন্দরের প্রশাসনিক বভনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করেন নেতৃবৃন্দরা।
এসময় নেতারা এন বি আর কর্তৃক আরোপিত ৮২ ধারা বাতিলের দাবি জানায়।
মোংলা সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী সংগঠনের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বলেন, বিদেশ থেকে আমদানীকারকরা যে পন্য দেশে আমদানী করে আনে তা কাস্টমস ছাড় করানো মধ্যস্থ্যতা করে আসছে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সিএন্ডএফ) ব্যাবসায়ীরা। কিন্ত আমদানীকারকরা তাদের আমদানীকৃত কি পন্য এনেছে তার দায়ভার সিএন্ডএফ কেন নিবে?, তাতে যদি ঘোষনা বর্হিভুন কোন পন্য আমদানী করে থাকে কাস্টমস এর কাছে তার জবাব আমদানীকারকই দিবে।
এছাড়া আমদানীকারক কর্তৃক ঘোষিত পন্য এর সাথে ঘোষনা পত্রের মিল না থাকলে তার জবাব আমদানীকারকই দিবেন। সিএন্ড এফ  এজেন্ট এর কোন দায় নিবেননা। এ জন্য সিএন্ডএফ এর লাইসেন্স কেন বাতিল হবে।
এ জন্য এনবিআর নতুন আইন তৈরী করে আমদানীকৃত পন্যের কোন ত্রুটি বা শুল্ক ফকিঁ দিয়ে কোন পন্য আমদানী করলে অথবা ঘোষনা বর্হিভুত পন্য আমদানী করলে এর জবাব আমদানীকারকদের পাশাপাশী সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীদের জড়িত থাকবে বলে একটি কালো আইন তৈরী করেছে এনরবিআর৷
এছাড়া কাস্টমস এর সিদ্ধান্তে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য খালাসে নতুন কার্যক্রম চালু করারও সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি চালু হলে চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাবে। আর সরকার হারাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। পক্ষান্তরে দীর্ঘ দিনের প্রচলিত পদ্ধতি প্রথা বাতিল হলে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং কর্মরত (সিএন্ড এফ) ব্যাবসার সাথে জড়িতরা হারাবে তাদের কর্ম। তাই (এনবিআর) কর্তৃক ৮২ ধারা বাতিল না করলে দেশের বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বন্দরকে অচল করে দেয়ার হুমিয়ারী প্রদান করেন মোংলা সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ৷
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

এনবিআর ৮২ ধারা বাতিলের দাবীতে মোংলা বন্দরে সিএন্ডএফ এর বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৯:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক আরোপিত কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবীতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে ব্যাবসায়িদের একটি সংগঠন। মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন (সিএন্ড এফ)  এর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মোংলা বন্দরের প্রশাসনিক বভনের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে।
সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীরা জানায়, এনবিআর কর্তৃক কয়েকটি ধারায় আমদানীকারকদে সাথে আমাদের ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সি এন্ড এফ) ব্যাবসায়ীদেরও জড়িয়ে আইন প্রনয়ন করেছে। এর প্রতিবাদে এবং এ ধারার মধ্যে ৮২ নম্বর ধারা বাতিলের দাবীতে নেতৃবৃন্দরা সোমবার দুপুরে মিছিল সহকারে বন্দরের প্রশাসনিক বভনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করেন নেতৃবৃন্দরা।
এসময় নেতারা এন বি আর কর্তৃক আরোপিত ৮২ ধারা বাতিলের দাবি জানায়।
মোংলা সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী সংগঠনের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বলেন, বিদেশ থেকে আমদানীকারকরা যে পন্য দেশে আমদানী করে আনে তা কাস্টমস ছাড় করানো মধ্যস্থ্যতা করে আসছে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সিএন্ডএফ) ব্যাবসায়ীরা। কিন্ত আমদানীকারকরা তাদের আমদানীকৃত কি পন্য এনেছে তার দায়ভার সিএন্ডএফ কেন নিবে?, তাতে যদি ঘোষনা বর্হিভুন কোন পন্য আমদানী করে থাকে কাস্টমস এর কাছে তার জবাব আমদানীকারকই দিবে।
এছাড়া আমদানীকারক কর্তৃক ঘোষিত পন্য এর সাথে ঘোষনা পত্রের মিল না থাকলে তার জবাব আমদানীকারকই দিবেন। সিএন্ড এফ  এজেন্ট এর কোন দায় নিবেননা। এ জন্য সিএন্ডএফ এর লাইসেন্স কেন বাতিল হবে।
এ জন্য এনবিআর নতুন আইন তৈরী করে আমদানীকৃত পন্যের কোন ত্রুটি বা শুল্ক ফকিঁ দিয়ে কোন পন্য আমদানী করলে অথবা ঘোষনা বর্হিভুত পন্য আমদানী করলে এর জবাব আমদানীকারকদের পাশাপাশী সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীদের জড়িত থাকবে বলে একটি কালো আইন তৈরী করেছে এনরবিআর৷
এছাড়া কাস্টমস এর সিদ্ধান্তে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য খালাসে নতুন কার্যক্রম চালু করারও সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি চালু হলে চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাবে। আর সরকার হারাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। পক্ষান্তরে দীর্ঘ দিনের প্রচলিত পদ্ধতি প্রথা বাতিল হলে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং কর্মরত (সিএন্ড এফ) ব্যাবসার সাথে জড়িতরা হারাবে তাদের কর্ম। তাই (এনবিআর) কর্তৃক ৮২ ধারা বাতিল না করলে দেশের বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বন্দরকে অচল করে দেয়ার হুমিয়ারী প্রদান করেন মোংলা সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ৷
আরো পড়ুন : বিনামুল্যে সাড়ে ৫ শতাধিক রোগীর চোখের অপারেশন সম্পন্ন