ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪, ২ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবাধ,অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে হচ্ছে আলাদা ইউনিট নদীবন্দর সমূহে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় সরকারের, বিল না নেওয়ার আহ্বান পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগে এক দফা দাবি বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল কমেছে সড়কে লাগামছাড়া চালের বাজার,মুরগি-সবজিতে স্বস্তি সকল ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষদের নিয়ে আকাঙ্ক্ষার রেইনবো জাতি গড়ে তুলতে চাই: ফখরুল উপদেষ্টাদের দপ্তর পুন:বন্টন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই সাখাওয়াত হোসেন

মোংলায় বিধবা নারীর ২ কোটি টাকার জমি দুই প্রতারক দালালের কব্জায় !

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি:
প্রতারণা করে বিধবা এক নারীর এক একর ২০ শতক কৃষি জমি নিজেদের কব্জায় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোংলার চিহ্নিত দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকিরের বিরুদ্ধে। ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার নামে এই দুই দালাল কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। মোংলা উপজেলার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ এলাকার জমি ফিরে পেতে আদালতের স্মরনাপন্ন হন বিধবা নারী রেনুয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই দালাল চক্রটি।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২ টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম এই অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকদের এসময় তিনি বলেন, তার মায়ের নামে প্রয়াত বাবা পেয়ার আহম্মেদের দেয়া ১ একর ২০ শতক কৃষি জমি দীর্ঘদিন দিগরাজ এলাকায় পড়ে থাকে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে দিগরাজ এলাকার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ মৌজার এই জমিটি বিক্রির উদ্যেগ নেয় তার মা। এজন্য এলাকার চিহ্নিত জমি বিক্রির দালাল ফরাজি আলম ওরফে হাজী আলম এবং গাউছ ফকিরের সাথে তার মা কথা বলেন। পরে তার মা রেনুয়ারা বেগম তাদের কথামতো গত ২০২৩ সালের ১১ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩১২০ এবং ৩২৫৭ দাগের জমিটি সেল পাওয়ার রেজিস্ট্রি করে দেয়।

কিন্তু এই দুই দালাল তার মায়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র করে নিজেদের নামে ওই জমিটি দলিল করে নেয়। প্রতারণার এই খবর জানতে পেরে পরে তার মা বাগেরহাটের যুগ্ন জেলা জজ আদালতে সেল পাওয়ার বাতিলের দেওয়ানি ৯/২৪ মামলা করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই প্রতারক দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকির। বিভিন্নভাবে তার মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম।

এ বিষয়ে জমির দালাল গাউছ ফকিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। তবে অপর দালাল ফরাজি আলম এ বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তার মাধ্যমে রেনুয়ারা বেগম জনৈক মাহমুদ হাসান ও সারাফাত হাসান শাকিল নামে দুই ব্যক্তিকে এই জমি সেল পাওয়ার দেয়। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সাড়ে ৫ শতক, গাউছ ফকির ৫১ শতক এবং সেলিম মোল্লার নামে এক ব্যক্তি সাড়ে ৫ শতক জমি কিনে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন ফরাজি আলম।

আরো পড়ুন : দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আবু তাহেরকে শাস্তিমূলক বদলি 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মোংলায় বিধবা নারীর জাল-নৌকা লুট

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় বিধবা নারীর ২ কোটি টাকার জমি দুই প্রতারক দালালের কব্জায় !

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি:
প্রতারণা করে বিধবা এক নারীর এক একর ২০ শতক কৃষি জমি নিজেদের কব্জায় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোংলার চিহ্নিত দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকিরের বিরুদ্ধে। ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার নামে এই দুই দালাল কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। মোংলা উপজেলার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ এলাকার জমি ফিরে পেতে আদালতের স্মরনাপন্ন হন বিধবা নারী রেনুয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই দালাল চক্রটি।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২ টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম এই অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকদের এসময় তিনি বলেন, তার মায়ের নামে প্রয়াত বাবা পেয়ার আহম্মেদের দেয়া ১ একর ২০ শতক কৃষি জমি দীর্ঘদিন দিগরাজ এলাকায় পড়ে থাকে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে দিগরাজ এলাকার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ মৌজার এই জমিটি বিক্রির উদ্যেগ নেয় তার মা। এজন্য এলাকার চিহ্নিত জমি বিক্রির দালাল ফরাজি আলম ওরফে হাজী আলম এবং গাউছ ফকিরের সাথে তার মা কথা বলেন। পরে তার মা রেনুয়ারা বেগম তাদের কথামতো গত ২০২৩ সালের ১১ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩১২০ এবং ৩২৫৭ দাগের জমিটি সেল পাওয়ার রেজিস্ট্রি করে দেয়।

কিন্তু এই দুই দালাল তার মায়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র করে নিজেদের নামে ওই জমিটি দলিল করে নেয়। প্রতারণার এই খবর জানতে পেরে পরে তার মা বাগেরহাটের যুগ্ন জেলা জজ আদালতে সেল পাওয়ার বাতিলের দেওয়ানি ৯/২৪ মামলা করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই প্রতারক দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকির। বিভিন্নভাবে তার মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম।

এ বিষয়ে জমির দালাল গাউছ ফকিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। তবে অপর দালাল ফরাজি আলম এ বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তার মাধ্যমে রেনুয়ারা বেগম জনৈক মাহমুদ হাসান ও সারাফাত হাসান শাকিল নামে দুই ব্যক্তিকে এই জমি সেল পাওয়ার দেয়। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সাড়ে ৫ শতক, গাউছ ফকির ৫১ শতক এবং সেলিম মোল্লার নামে এক ব্যক্তি সাড়ে ৫ শতক জমি কিনে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন ফরাজি আলম।

আরো পড়ুন : দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আবু তাহেরকে শাস্তিমূলক বদলি