ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ১৮ দফা দাবী

মাসুদ রানা, মোংল প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহিন রহমান’র সাথে সৌজন্য সাাৎ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলায় অংশ গ্রহনকারী ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার (২১ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে বন্দরের সভা কে ১০ সদস্যের একটি দল চেয়ারম্যান সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় দুর্নীতি মুক্ত বন্দর উন্নয়নে ৭ দফা চিহ্ণিত করে ১৮টি দাবী নামা প্রদান করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দরে নানা রকম বৈষম্য, দুর্নীতি দুরীকরণ ও পুন্নসংস্কারে বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলা উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের একটি দল। তারা দুপুরে বন্দরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলোনের ছাত্র-ছাত্রীরা।
চেয়ারম্যানকে দেয়া দাবীর মধ্যে মোংলা বন্দর শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্রগ্রাম বন্দরের শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরনে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া, বিগত ১৬ বছরের প্রদানকৃত ও নবায়নকৃত সকল লাইসেন্স পুনঃ মূল্যায়ন করে অবৈধ সকল লাইসেন্স তদন্তের মাধ্যমে বাতিল করা, বন্দরের ভূমি বরাদ্দ ও ইজারা নানা প্রকার দূর্নীতি বন্ধ করা, গত ১৬ বছর ধরে আইন বহিরভূত সকল প্রকার বরাদ্দকৃত ভূমির বরাদ্ধ বাতিল করা, বন্দরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বন্দরের সম্পদ দখলমূক্ত করা এবং উদ্ধার পরবর্তী রক্ষনাবেক্ষনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, মাস্টার প্লানের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সম্প্রতি মোংলা বন্দরের ১৩ (তেরো) একর ভূমি বে-আইনি ভাবে একটি কোম্পানীকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, তা তদন্ত পূর্বক উক্ত বরাদ্ধ বাতিল করা, বন্দর এলাকায় সকল শীল্প কল-কারখানার বন্দরের বকেয়া পাওয়া টাকা আদায় করা, মোংলা বন্দরের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দূর্নীতি দূরীকরনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, মোংলা পশুর চ্যানেল ইনারবার ও আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্পে অনিয়ম দূরি করনের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া,  নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সহায়তায় ঘষিয়াখালি চ্যানেলের দুইপাড়ের অবৈধ স্থাপনা ও চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ জেটি নির্মান বন্ধ ও এ সকল অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করা, কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার মাধ্যমে জেটিতে আমদানিকৃত পন্য ছাড়ে কাষ্টমস কিয়ারেন্স প্রক্রিয়ায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধের ব্যাবস্থা নেয়া, আমদানিকৃত কন্টেনিয়ার পন্যের চুরি বন্ধে জেটিতে প্রবেশকালে এবং বহির্গমনের সময় সকল কাষ্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তল্লাশী নিশ্চিত করা, গাড়ি নিলামের ক্ষেত্রে নিলামে অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র গ্রহনের ক্ষেত্রে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়রানি দুর করা এবং পরবর্তীতে পূনঃ নিলামের মাধ্যমে ঐ সকল গাড়ি নামে বেনামে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরনে পরিহার করা। এছাড়া নিলামের ক্ষেত্রে নিলামকৃত পন্য ছাড়ে কাষ্টমস এর হয়রানী ও দুর্নীতি বন্ধ করা, মোংলা বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পাওনা টাকা পরিশোধে সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা, বন্দরের ডেপুটি- ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগকে ২০২২ সালে মুজিব শতবর্ষের লগো কাটাকাটির মিথ্যা অভিযোগ এনে তৎকালিন কতিপয় সৈরাচার আওয়ামীপন্থি অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মোংলা বন্দরের নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা মোঃ সোহাগকে হয়রানি ও সাময়িক বরখাস্ত করে। তদন্ত পূর্বক ঐ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে তার যোগ্যতা অনুযায়ী পদন্নতি সহ স্ব-পদে বহাল করা, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রোটকল মানা এবং বরাদ্দকৃত সকল বাসা পুনঃ মূল্যায়ন করা। যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নীতিমালা ভঙ্গ করে অবৈধ উপায়ে বাসা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা, বন্দরে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করা এবং বিগত ১৬ বছরে বন্দরের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দূর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিএ এর প্রভাবমূক্ত ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এসকল দাবি সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বমন্ময়ে প্রতিটি সেক্টরে পৃথক-পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীদের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল  শাহিন রহমান, ভারপ্রাপ্ত সচিব মাকরুজ্জামান সহ বন্দরের অন্যান্য দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বন্দর জেটি এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা গুরে দেখেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে আজও আমাদেরকে সমাজের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরের নানান প্রকার বৈষম্য ও দুর্নীতি দূরী করনের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবী সমূহ বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। আমাদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলোনে বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত। বিগত স্বৈরাচার সরকার আমাদের রাষ্ট্রিয় সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে। বর্তমানে দেশকে পুনঃগঠন ও সংস্কারের দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। এরই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরকে বৈষম্য ও দূর্নীতি মুক্ত করতে উপরে উল্লেখিত আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগীতা আহবান জানান বন্দর চেয়ারম্যান সহ সকল কর্মকর্তাদের। মোংলা বন্দরকে দুর্নীতি ও বৈসম্য মুক্ত বন্দর গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে জানায় বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলা ছাত্র-ছাত্রীরা।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ১৮ দফা দাবী

আপডেট সময় ১১:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
মাসুদ রানা, মোংল প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহিন রহমান’র সাথে সৌজন্য সাাৎ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলায় অংশ গ্রহনকারী ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার (২১ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে বন্দরের সভা কে ১০ সদস্যের একটি দল চেয়ারম্যান সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় দুর্নীতি মুক্ত বন্দর উন্নয়নে ৭ দফা চিহ্ণিত করে ১৮টি দাবী নামা প্রদান করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দরে নানা রকম বৈষম্য, দুর্নীতি দুরীকরণ ও পুন্নসংস্কারে বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলা উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের একটি দল। তারা দুপুরে বন্দরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলোনের ছাত্র-ছাত্রীরা।
চেয়ারম্যানকে দেয়া দাবীর মধ্যে মোংলা বন্দর শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্রগ্রাম বন্দরের শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরনে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া, বিগত ১৬ বছরের প্রদানকৃত ও নবায়নকৃত সকল লাইসেন্স পুনঃ মূল্যায়ন করে অবৈধ সকল লাইসেন্স তদন্তের মাধ্যমে বাতিল করা, বন্দরের ভূমি বরাদ্দ ও ইজারা নানা প্রকার দূর্নীতি বন্ধ করা, গত ১৬ বছর ধরে আইন বহিরভূত সকল প্রকার বরাদ্দকৃত ভূমির বরাদ্ধ বাতিল করা, বন্দরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বন্দরের সম্পদ দখলমূক্ত করা এবং উদ্ধার পরবর্তী রক্ষনাবেক্ষনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, মাস্টার প্লানের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সম্প্রতি মোংলা বন্দরের ১৩ (তেরো) একর ভূমি বে-আইনি ভাবে একটি কোম্পানীকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, তা তদন্ত পূর্বক উক্ত বরাদ্ধ বাতিল করা, বন্দর এলাকায় সকল শীল্প কল-কারখানার বন্দরের বকেয়া পাওয়া টাকা আদায় করা, মোংলা বন্দরের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দূর্নীতি দূরীকরনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, মোংলা পশুর চ্যানেল ইনারবার ও আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্পে অনিয়ম দূরি করনের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া,  নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সহায়তায় ঘষিয়াখালি চ্যানেলের দুইপাড়ের অবৈধ স্থাপনা ও চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ জেটি নির্মান বন্ধ ও এ সকল অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করা, কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার মাধ্যমে জেটিতে আমদানিকৃত পন্য ছাড়ে কাষ্টমস কিয়ারেন্স প্রক্রিয়ায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধের ব্যাবস্থা নেয়া, আমদানিকৃত কন্টেনিয়ার পন্যের চুরি বন্ধে জেটিতে প্রবেশকালে এবং বহির্গমনের সময় সকল কাষ্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তল্লাশী নিশ্চিত করা, গাড়ি নিলামের ক্ষেত্রে নিলামে অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র গ্রহনের ক্ষেত্রে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়রানি দুর করা এবং পরবর্তীতে পূনঃ নিলামের মাধ্যমে ঐ সকল গাড়ি নামে বেনামে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরনে পরিহার করা। এছাড়া নিলামের ক্ষেত্রে নিলামকৃত পন্য ছাড়ে কাষ্টমস এর হয়রানী ও দুর্নীতি বন্ধ করা, মোংলা বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পাওনা টাকা পরিশোধে সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা, বন্দরের ডেপুটি- ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগকে ২০২২ সালে মুজিব শতবর্ষের লগো কাটাকাটির মিথ্যা অভিযোগ এনে তৎকালিন কতিপয় সৈরাচার আওয়ামীপন্থি অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মোংলা বন্দরের নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা মোঃ সোহাগকে হয়রানি ও সাময়িক বরখাস্ত করে। তদন্ত পূর্বক ঐ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে তার যোগ্যতা অনুযায়ী পদন্নতি সহ স্ব-পদে বহাল করা, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রোটকল মানা এবং বরাদ্দকৃত সকল বাসা পুনঃ মূল্যায়ন করা। যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নীতিমালা ভঙ্গ করে অবৈধ উপায়ে বাসা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা, বন্দরে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করা এবং বিগত ১৬ বছরে বন্দরের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দূর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিএ এর প্রভাবমূক্ত ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এসকল দাবি সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বমন্ময়ে প্রতিটি সেক্টরে পৃথক-পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীদের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল  শাহিন রহমান, ভারপ্রাপ্ত সচিব মাকরুজ্জামান সহ বন্দরের অন্যান্য দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বন্দর জেটি এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা গুরে দেখেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে আজও আমাদেরকে সমাজের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরের নানান প্রকার বৈষম্য ও দুর্নীতি দূরী করনের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবী সমূহ বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। আমাদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলোনে বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত। বিগত স্বৈরাচার সরকার আমাদের রাষ্ট্রিয় সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে। বর্তমানে দেশকে পুনঃগঠন ও সংস্কারের দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। এরই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরকে বৈষম্য ও দূর্নীতি মুক্ত করতে উপরে উল্লেখিত আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগীতা আহবান জানান বন্দর চেয়ারম্যান সহ সকল কর্মকর্তাদের। মোংলা বন্দরকে দুর্নীতি ও বৈসম্য মুক্ত বন্দর গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে জানায় বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোংলা ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরো পড়ুন : মোংলা বন্দরের ডিটিএম সোহাগকে পদোন্নতিসহ স্বপদে পুনর্বহালের দাবি ছাত্রদের