ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাড়া চাওয়ায় বিএনপি কর্মীদের হাতে দোকান মালিক খুন, আতঙ্কে মৃতের পরিবার মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের গাজা সফর রুশ সাবেক প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ উদ্ধার, ধরাছোঁয়ার বাইরে চক্রের সদস্যরা

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের নিষ্ঠুরতা যেন কোনোভাবেই থামছে না। একের পর এক অভিযানে শত শত ফাঁদ উদ্ধার হলেও শিকারি চক্রের সদস্যরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি ও টিয়ারচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারু। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী  বলেন, ফুট প্যাট্রোলের আওতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় গোপন অভিযানে নামেন। এ সময় বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা ছয় শতাধিক মালা ফাঁদ ও ১৬টি চারু জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের খবর পেয়ে শিকারিরা আগেভাগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিজেদের রক্ষা করতে ফাঁদগুলো মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায় তারা। উদ্ধার করা সরঞ্জাম বর্তমানে কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে, ১৩ জুন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন এলাকায় বন প্রহরীরা গোপন অভিযানে আরও ১৩৫টি মালা ফাঁদ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে হুলার ভারানী সংলগ্ন খাল থেকে ৮২টি ও সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে এসব ফাঁদ পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

অভিযান নিয়মিত হলেও শিকারিরা বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বন বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বনের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা আগাম খবর পেয়ে নিরাপদে সরে পড়ে।

পরিবেশবীদরা বলছেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারিও এখন সময়ের দাবি।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, যেকোনও ধরনের বন অপরাধ দমনে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি বন বিভাগের এ কঠোরতার মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ উদ্ধার, ধরাছোঁয়ার বাইরে চক্রের সদস্যরা

আপডেট সময় ০৬:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের নিষ্ঠুরতা যেন কোনোভাবেই থামছে না। একের পর এক অভিযানে শত শত ফাঁদ উদ্ধার হলেও শিকারি চক্রের সদস্যরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি ও টিয়ারচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হরিণ শিকারের ছয় শতাধিক ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারু। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী  বলেন, ফুট প্যাট্রোলের আওতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় গোপন অভিযানে নামেন। এ সময় বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা ছয় শতাধিক মালা ফাঁদ ও ১৬টি চারু জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের খবর পেয়ে শিকারিরা আগেভাগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিজেদের রক্ষা করতে ফাঁদগুলো মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায় তারা। উদ্ধার করা সরঞ্জাম বর্তমানে কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে, ১৩ জুন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন এলাকায় বন প্রহরীরা গোপন অভিযানে আরও ১৩৫টি মালা ফাঁদ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে হুলার ভারানী সংলগ্ন খাল থেকে ৮২টি ও সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে এসব ফাঁদ পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

অভিযান নিয়মিত হলেও শিকারিরা বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বন বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বনের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা আগাম খবর পেয়ে নিরাপদে সরে পড়ে।

পরিবেশবীদরা বলছেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারিও এখন সময়ের দাবি।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, যেকোনও ধরনের বন অপরাধ দমনে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি বন বিভাগের এ কঠোরতার মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।