ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুমায় কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (১৯ মে) সকালে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় সেনাবাহিনী-কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাঁরা নিহত হন।

এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা কেএনএফের আস্তানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

তবে গোলাগুলির কথা স্বীকার করলেও এখনও কোনো মরদেহ পুলিশ পায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।

গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। গুলিতে কয়েকজন হতাহতের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহ পুলিশ পায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের টিম ফিরে এলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের আস্তানায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়। থেমে থেমে কয়েক দফার গোলাগুলির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই এবং আরেকজন আহত অবস্থায় মারা যান।

নিহতরা হলেন রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম রনিনপাড়া সংলগ্ন ফিয়াংপিদৌংপাড়ার বাসিন্দা এডিথাং বম (২৪), রুয়ালসাং নুয়াম বম (২৩) এবং রুয়ালমিন লিয়ান বম (২০)। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের মরদেহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রুমা সদরে নিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গোলাগুলিতে তিনজনের মৃত্যুর পর কেএনএফের অন্য সদস্যরা আস্তানা ছেড়ে পাহাড়ের গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক যৌথ বাহিনীর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, কেএনএফ সদস্যরা যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। কৌশলে অভিযানের জাল বিছিয়ে কেএনএফের অস্ত্রধারীদের রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঘিরে ফেলেছে। গোলাগুলিতে কেএনএফের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনাস্থল হলো রনিনপাড়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের খাদে ডেবাছড়া ঝিরি।

গত ৭ মে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিংপাড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফের এক সদস্যের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের জঙ্গলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলিতে জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে গত ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় সেনাবাহিনী সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফের এক সদস্য মারা যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গত ২ ও ৩ মে রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট, ব্যাংকের অর্থ ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা হয়েছে। তারমধ্যে থানচিতে চারটি আর রুমায় পাঁচটি মামলায় কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন নারীও রয়েছে।

আরো পড়ুন : নারীর কপালে ডিবি এসআই’র পিস্তল ও গুলির ঘটনায় তোলপাড়

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রুমায় কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

আপডেট সময় ০৮:০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (১৯ মে) সকালে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় সেনাবাহিনী-কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাঁরা নিহত হন।

এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা কেএনএফের আস্তানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

তবে গোলাগুলির কথা স্বীকার করলেও এখনও কোনো মরদেহ পুলিশ পায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।

গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। গুলিতে কয়েকজন হতাহতের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহ পুলিশ পায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের টিম ফিরে এলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের আস্তানায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়। থেমে থেমে কয়েক দফার গোলাগুলির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই এবং আরেকজন আহত অবস্থায় মারা যান।

নিহতরা হলেন রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম রনিনপাড়া সংলগ্ন ফিয়াংপিদৌংপাড়ার বাসিন্দা এডিথাং বম (২৪), রুয়ালসাং নুয়াম বম (২৩) এবং রুয়ালমিন লিয়ান বম (২০)। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের মরদেহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রুমা সদরে নিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গোলাগুলিতে তিনজনের মৃত্যুর পর কেএনএফের অন্য সদস্যরা আস্তানা ছেড়ে পাহাড়ের গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক যৌথ বাহিনীর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, কেএনএফ সদস্যরা যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। কৌশলে অভিযানের জাল বিছিয়ে কেএনএফের অস্ত্রধারীদের রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঘিরে ফেলেছে। গোলাগুলিতে কেএনএফের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনাস্থল হলো রনিনপাড়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের খাদে ডেবাছড়া ঝিরি।

গত ৭ মে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিংপাড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফের এক সদস্যের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের জঙ্গলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলিতে জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে গত ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় সেনাবাহিনী সঙ্গে গোলাগুলিতে কেএনএফের এক সদস্য মারা যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গত ২ ও ৩ মে রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট, ব্যাংকের অর্থ ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা হয়েছে। তারমধ্যে থানচিতে চারটি আর রুমায় পাঁচটি মামলায় কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন নারীও রয়েছে।

আরো পড়ুন : নারীর কপালে ডিবি এসআই’র পিস্তল ও গুলির ঘটনায় তোলপাড়