ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর জানাজা সম্পন্ন

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি থাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এরপর ডিআরইউতে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা এ জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা পূর্ব সমাবেশে কবি আব্দুল হাই সিকদার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

জমায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী একজন সাহসী সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কারাবরণ করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি দেশের জন্য, জাতির জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষের পক্ষে সবসময় কথা বলেছেন। জাতি সারা জীবন তাকে মনে রাখবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভালো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিন রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী দেশের একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সবসময় দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবসময় লড়াই করেছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তিনি কারা নির্যাতিত ছিলেন। আমরা গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করব।’

এ সময় রুহুল আমিন গাজীর ছেলে বলেন, ‘তিনি বাবা সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন সবসময় এ কথা বলতেন। আমি গতকাল বাবাকে দেখে অনেকে কষ্ট পেয়েছি। আর কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করবেন।

ডিআরইউয়ের জানাজায় অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি শুক্কর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহী উদ্দিনসহ সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা।

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ঝুলে আছে বেসরকারি খাতে ১০ গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র আহ্বান

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর জানাজা সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৪:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি থাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এরপর ডিআরইউতে রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা এ জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা পূর্ব সমাবেশে কবি আব্দুল হাই সিকদার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

জমায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী একজন সাহসী সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কারাবরণ করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি দেশের জন্য, জাতির জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষের পক্ষে সবসময় কথা বলেছেন। জাতি সারা জীবন তাকে মনে রাখবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভালো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মহান রাব্বুল আলামিন রুহুল আমিন গাজী ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী দেশের একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সবসময় দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবসময় লড়াই করেছেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তিনি কারা নির্যাতিত ছিলেন। আমরা গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করব।’

এ সময় রুহুল আমিন গাজীর ছেলে বলেন, ‘তিনি বাবা সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন সবসময় এ কথা বলতেন। আমি গতকাল বাবাকে দেখে অনেকে কষ্ট পেয়েছি। আর কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করবেন।

ডিআরইউয়ের জানাজায় অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি শুক্কর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহী উদ্দিনসহ সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা।