ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বুধবার ( ৮ই মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে “কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রবাসী সেবা ডেস্কের সমন্বয়ক আইয়ুব আল আনসারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা না থাকলে বাংলাদেশের সরকারেরও নিরাপত্তা থাকবে না।প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের।

তিনি আরো বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গার্মেন্টস রপ্তানিতে ১ম না, কারণ তাদের কাঁচামাল আমদানিতে অর্ধেক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। তাই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ১ম হচ্ছে প্রবাসী কর্মীগণের পরিশ্রমে পাঠানো রেমিট্যান্স। তাই সরকার ও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের উচিত প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধান করা।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর।

নুরুল হক নুর বলে, প্রবাসীরা রক্ত মাংস এক করে পরিশ্রম করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায় আর বাংলাদেশের অবৈধ এমপি, মন্ত্রীর, আলমারা সেগুলো বিদেশে পাচার করে।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি পূরণ হলে দেশে রেমিট্যান্সের বন্যা বয়ে যাবে।

নুরুল হক নুর আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয়রা খাদ্যপণ্য রপ্তানীতে শীর্ষ স্থানে আছে। অথচ মুসলিম দেশ হয়েও বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্যপণ্য রপ্তানীর বাজার ধরতে পারছে না সরকারের ব্যার্থতার কারণে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান খোকন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা শাকিল উজ্জামান।

আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও পূর্ণবাসণ সম্পাদক মো:শাহাব উদ্দীন শিহাব।সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জনাব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মাহফুজ আহমেদ, মনজুর মোর্শেদ, বিন ইয়ামিন মোল্লা, নাজিম উদ্দীন সুমন কবীর, মো: ইমরান সহ অনেকেই।

সভায় বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: কবীর হোসেনের সভাপতি প্রবাসীদের যৌক্তিক ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন:

১। অনিয়মিত, আনডকুমেন্টেড, দুস্থ এবং অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীর মরদেহ পরিবহন ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২২ দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

২। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার চাই।

৩। বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ চাই।

৪। প্রবাসীদের জন্য যুগপোযোগী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা চাই।

৫। পাসপোর্ট সংশোধনের সুযোগসহ দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস সেবা চাই।

৬। প্রবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চাই।

৭। জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের জন্য (৫%) বিশেষ বরাদ্দ চাই।

৮। বিদেশে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের বৈধকরণে সরকারের সহযোগিতা চাই।

৯। বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাংলাদেশী দূতাবাস ও শ্রম কল্যাণ উইং চাই।

১০। অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ও প্রবাস ফেরতদের কর্মসংস্থান, সুদমুক্ত পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা চাই।

আরো পড়ুন :  চিকিৎসা বাণিজ্যের প্রভাবে ব্যাপক হুমকির মুখে দেশের স্বাস্থ্য খাত

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় ১১:১৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বুধবার ( ৮ই মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে “কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রবাসী সেবা ডেস্কের সমন্বয়ক আইয়ুব আল আনসারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা না থাকলে বাংলাদেশের সরকারেরও নিরাপত্তা থাকবে না।প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রের।

তিনি আরো বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গার্মেন্টস রপ্তানিতে ১ম না, কারণ তাদের কাঁচামাল আমদানিতে অর্ধেক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। তাই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ১ম হচ্ছে প্রবাসী কর্মীগণের পরিশ্রমে পাঠানো রেমিট্যান্স। তাই সরকার ও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের উচিত প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধান করা।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর।

নুরুল হক নুর বলে, প্রবাসীরা রক্ত মাংস এক করে পরিশ্রম করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায় আর বাংলাদেশের অবৈধ এমপি, মন্ত্রীর, আলমারা সেগুলো বিদেশে পাচার করে।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি পূরণ হলে দেশে রেমিট্যান্সের বন্যা বয়ে যাবে।

নুরুল হক নুর আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয়রা খাদ্যপণ্য রপ্তানীতে শীর্ষ স্থানে আছে। অথচ মুসলিম দেশ হয়েও বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্যপণ্য রপ্তানীর বাজার ধরতে পারছে না সরকারের ব্যার্থতার কারণে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান খোকন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা শাকিল উজ্জামান।

আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও পূর্ণবাসণ সম্পাদক মো:শাহাব উদ্দীন শিহাব।সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জনাব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মাহফুজ আহমেদ, মনজুর মোর্শেদ, বিন ইয়ামিন মোল্লা, নাজিম উদ্দীন সুমন কবীর, মো: ইমরান সহ অনেকেই।

সভায় বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: কবীর হোসেনের সভাপতি প্রবাসীদের যৌক্তিক ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন:

১। অনিয়মিত, আনডকুমেন্টেড, দুস্থ এবং অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীর মরদেহ পরিবহন ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২২ দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

২। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার চাই।

৩। বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ চাই।

৪। প্রবাসীদের জন্য যুগপোযোগী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা চাই।

৫। পাসপোর্ট সংশোধনের সুযোগসহ দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস সেবা চাই।

৬। প্রবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চাই।

৭। জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের জন্য (৫%) বিশেষ বরাদ্দ চাই।

৮। বিদেশে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের বৈধকরণে সরকারের সহযোগিতা চাই।

৯। বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাংলাদেশী দূতাবাস ও শ্রম কল্যাণ উইং চাই।

১০। অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ও প্রবাস ফেরতদের কর্মসংস্থান, সুদমুক্ত পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা চাই।

আরো পড়ুন :  চিকিৎসা বাণিজ্যের প্রভাবে ব্যাপক হুমকির মুখে দেশের স্বাস্থ্য খাত