ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাফনের ১৬ মাস পর নারীর অক্ষত লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা গঞ্জ (মনোহরখালী) এলাকায় ১৬ মাস আগে দাফন করা ভাটু বেগম নামে এক নারীর লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে পায়রা নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধের বাইরে একটি কবর স্থানের মাটি সরে গিয়ে অক্ষত অবস্থায় লাশটি ভেসে উঠে।

লাশের নারী মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মনোহরখালী এলাকার রিকশাচালক শাহ আলম ভূইয়ার স্ত্রী ভাটু বেগম (৫৫)।

জানা যায়, প্রথমে লাশটি দেখে জনমনে ভীত সঞ্চয় হলেও নদীর পানি কমে গেলে ভ্রান্ত দূর হয়। রোববার দুপুরে ওই লাশটি বাঁধের ভেতরে অন্য স্থানে দাফন করা হয়েছে।

আরো জানা যায়, ১৬ মাস আগে ব্রেন টিউমার রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মারা গেলে বাড়ির পূর্ব পাশে পায়রা নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের বাইরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পায়রা নদীর প্রবল ভাঙনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতে তোড়ে কবরের মাটি সরে গিয়ে লাশ বেরিয়ে এসে পানিতে ভাসতে থাকে। এ সময় এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভীড় করেন কবরের পাশে।

পরে লাশটি উদ্ধার করে ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

মরহুো ভাটু বেগমের মামাত ভাই মো: শাহাদাত হোসেন জানান, ভাটু বেগমের বয়স যখন দুই বছর তখন তার মা মারা যান। তখন সে অসহায় অবস্থায় পড়ে। পরে উপজেলার মনারখালি গ্রামের শাহ আলম ভূইয়ার সাথে বিবাহ হয়। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। হঠাৎ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ১৬ মাস আগে সে মারা গেলে পায়রা নদীর পাড়ে লাশ দাফন করা হয়। তবে আমার বোনের লাশটি দাফনের ১৬ মাস পরও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু লাশের গায়ে কোনো রকম দুর্গন্ধ তো দূরের কথা কাফনের কাপড়েও কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ১৬ মাস পরে এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত।

মনোহরখালী এলাকার মো: সোহেল হোসেন বলেন, এ রকম অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি কিন্তু আজ আমি নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি তিনি অত্যন্ত ভালো একজন মহিলা ছিলেন।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তেন মং বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। কোনোরূপ সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচে যাবার কথা।

আরো পড়ুন : আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

দাফনের ১৬ মাস পর নারীর অক্ষত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা গঞ্জ (মনোহরখালী) এলাকায় ১৬ মাস আগে দাফন করা ভাটু বেগম নামে এক নারীর লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে পায়রা নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধের বাইরে একটি কবর স্থানের মাটি সরে গিয়ে অক্ষত অবস্থায় লাশটি ভেসে উঠে।

লাশের নারী মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মনোহরখালী এলাকার রিকশাচালক শাহ আলম ভূইয়ার স্ত্রী ভাটু বেগম (৫৫)।

জানা যায়, প্রথমে লাশটি দেখে জনমনে ভীত সঞ্চয় হলেও নদীর পানি কমে গেলে ভ্রান্ত দূর হয়। রোববার দুপুরে ওই লাশটি বাঁধের ভেতরে অন্য স্থানে দাফন করা হয়েছে।

আরো জানা যায়, ১৬ মাস আগে ব্রেন টিউমার রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মারা গেলে বাড়ির পূর্ব পাশে পায়রা নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের বাইরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পায়রা নদীর প্রবল ভাঙনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতে তোড়ে কবরের মাটি সরে গিয়ে লাশ বেরিয়ে এসে পানিতে ভাসতে থাকে। এ সময় এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভীড় করেন কবরের পাশে।

পরে লাশটি উদ্ধার করে ধর্মীয় রীতি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

মরহুো ভাটু বেগমের মামাত ভাই মো: শাহাদাত হোসেন জানান, ভাটু বেগমের বয়স যখন দুই বছর তখন তার মা মারা যান। তখন সে অসহায় অবস্থায় পড়ে। পরে উপজেলার মনারখালি গ্রামের শাহ আলম ভূইয়ার সাথে বিবাহ হয়। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। হঠাৎ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ১৬ মাস আগে সে মারা গেলে পায়রা নদীর পাড়ে লাশ দাফন করা হয়। তবে আমার বোনের লাশটি দাফনের ১৬ মাস পরও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু লাশের গায়ে কোনো রকম দুর্গন্ধ তো দূরের কথা কাফনের কাপড়েও কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ১৬ মাস পরে এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত।

মনোহরখালী এলাকার মো: সোহেল হোসেন বলেন, এ রকম অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি কিন্তু আজ আমি নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি তিনি অত্যন্ত ভালো একজন মহিলা ছিলেন।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তেন মং বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। কোনোরূপ সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচে যাবার কথা।

আরো পড়ুন : আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’