ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবার স্বপ্ন পুরণের লড়াইয়ে পুত্র ইকবাল

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাবা মোঃ বদিউজ্জামান রংপুর সদর উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৮ ই জুন। আর ১৯৯০ সালের ১৮ ই জুন পযর্ন্ত এক টানা ৫ বছর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল রংপুর সদর উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। সেই স্বপ্ন যে স্বপ্ন থেকে গেলো ২০০৭ সালের ৭ ই নভেম্বর বদিউজ্জামানের মৃত্যতে। কিন্তু কে জানতো বাবার স্বপ্ন পূরণে বাবার আদর্শের সৈনিক হয়ে জনতার মাঝে ফিরে আসবেন পুত্র ইকবাল হোসেন।

পুত্র ইকবাল হোসেন ২০১৫ এবং ২০২০ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর পর দুইবার বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। রংপুর সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্মার্ট ইউনিয়ন হিসাবে গড়তে সক্ষম হলেও শান্তি পাননি পুত্র ইকবাল।কষ্ট একটাই মৃত বাবার স্বপ্ন পুরণ করতে না পারার। আর সেই কষ্ট যেন ঘুমাতে দিতনা পুত্র ইকবালকে। তাই তো ইউনিয়নের পরিষদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন। মৃত বাবা বদিউজ্জামান এর স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে নেমেছেন পুত্র ইকবাল হোসেন।

বাবার স্বপ্ন পুরণের এক যোদ্ধা এবং রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, আমি আমার মৃত বাবা বদিউজ্জামানের স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে নেমেছি। আমার বাবা রংপুর সদর উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমার বাবা তার সন্তানের মত এই উপজেলাকে ধরে রেখেছিলেন আমার বাবা স্বপ্ন দেখতেন রংপুর সদর উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসাবে গড়ার। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তবে আমিও আমার বাবার সাথে সাথে তার স্বপ্নকে মাঠি চাপা দিতে দেইনি। আমি প্রায় ৩৯ বছর পর আমি আবার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি।

তিনি আরো বলে, আমি ২০১৫ আজ থেকে এখন পযর্ন্ত আমি পর পর দুইবার হরিদেবপুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকাবাসী নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদেরে আমানতের খেয়ানত করিনি। আমি আমার ইউনিয়নকে কাদা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আমার ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়ন হিসাবে গড়ার পরেও আমি শান্তিতে ঘুমাতে পাড়িনি আমাকে সব সময় অপরাধী মনে হত কারণ আমি আমার বাবার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে না পাড়ায় পাড়ি নাই বলে। তাই আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই আমি এবার রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। এবং সেই সিন্ধান্ত থেকে আমি নির্বাচন করছি।

তিনি আরো দাবি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ বন্ধুরা ভোটার ভুল বোঝানোর চেষ্ঠা করছেন। তারা বলছেন আমি রংপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হলে পাগলাপীর নাম স্থানে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবণ এবং রংপুর সদর থানা হরিদেপুর ইউনিয়নে স্থাপিত হবে। এটা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ থানার জন্য জমি লাহিড়ীর হাট নামক বাজারের পাশেই জমি দেখা হয়ে গেছে এবং রংপুর সদর উপজেলা ভবণ লাহিড়ীর হাটে তারাতারি স্থাপনের জন্য রংপুর তিন আসনেরে এমপি এবং জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ডিও দিয়ে দিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে থানা হরিদেবপুর ইউনিয়নে আর উপজেলা ভবণ পাগলাপীরে করার কোন সুযোগি নেই। আর আমি নিজেও চাই এবং এটা আমার প্রাণের দাবী রংপুর সদর উপজেলা ভবণ রংপুর সদরের মাটিরতে আসুক এবং রংপুর সদর থানাসহ উপজেলা ভবণ মনিপুর, হরিদেবপুর, চন্দনপাট, সদ্যপুস্করিনী ও খলেয়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে হউক যেন সবাই সমান ভাবে সেবা পায় কারো কষ্ট না হয়। আর আমি সর্বশেষে একটা কথাই বলব আপনা কেউ গুজবে কান দিবেন না । আপনারা আগে সঠিকটা জানবেন তার আপনারা বিবেচনা করবেন। মনে রাখবেন আমি আপনার ভাই, আমি আপনাদেরি একজন। তাই আপনারা আমাকে ভোট দিবেন আপনাদের শোষক কিংবা শাষক হিসাবে নয় আপনাদের সেবক হিসাবে সেবার করার সুযোগ দিবেন। আমার বাবার স্বপ্ন পূরর্ণ করার সুযোগ দিবেন। আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আর আপনাদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

আরো পড়ুন : হঠাৎ বন্ধ সিএনজি: দুর্ভোগে চার উপজেলার মানুষ, দুশ্চিন্তায় চালকরা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বাবার স্বপ্ন পুরণের লড়াইয়ে পুত্র ইকবাল

আপডেট সময় ১২:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাবা মোঃ বদিউজ্জামান রংপুর সদর উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৮ ই জুন। আর ১৯৯০ সালের ১৮ ই জুন পযর্ন্ত এক টানা ৫ বছর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল রংপুর সদর উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। সেই স্বপ্ন যে স্বপ্ন থেকে গেলো ২০০৭ সালের ৭ ই নভেম্বর বদিউজ্জামানের মৃত্যতে। কিন্তু কে জানতো বাবার স্বপ্ন পূরণে বাবার আদর্শের সৈনিক হয়ে জনতার মাঝে ফিরে আসবেন পুত্র ইকবাল হোসেন।

পুত্র ইকবাল হোসেন ২০১৫ এবং ২০২০ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর পর দুইবার বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সফলতার সাথে। রংপুর সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্মার্ট ইউনিয়ন হিসাবে গড়তে সক্ষম হলেও শান্তি পাননি পুত্র ইকবাল।কষ্ট একটাই মৃত বাবার স্বপ্ন পুরণ করতে না পারার। আর সেই কষ্ট যেন ঘুমাতে দিতনা পুত্র ইকবালকে। তাই তো ইউনিয়নের পরিষদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন। মৃত বাবা বদিউজ্জামান এর স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে নেমেছেন পুত্র ইকবাল হোসেন।

বাবার স্বপ্ন পুরণের এক যোদ্ধা এবং রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, আমি আমার মৃত বাবা বদিউজ্জামানের স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে নেমেছি। আমার বাবা রংপুর সদর উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমার বাবা তার সন্তানের মত এই উপজেলাকে ধরে রেখেছিলেন আমার বাবা স্বপ্ন দেখতেন রংপুর সদর উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসাবে গড়ার। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ায় তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তবে আমিও আমার বাবার সাথে সাথে তার স্বপ্নকে মাঠি চাপা দিতে দেইনি। আমি প্রায় ৩৯ বছর পর আমি আবার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য রংপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি।

তিনি আরো বলে, আমি ২০১৫ আজ থেকে এখন পযর্ন্ত আমি পর পর দুইবার হরিদেবপুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকাবাসী নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদেরে আমানতের খেয়ানত করিনি। আমি আমার ইউনিয়নকে কাদা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আমার ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়ন হিসাবে গড়ার পরেও আমি শান্তিতে ঘুমাতে পাড়িনি আমাকে সব সময় অপরাধী মনে হত কারণ আমি আমার বাবার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে না পাড়ায় পাড়ি নাই বলে। তাই আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই আমি এবার রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। এবং সেই সিন্ধান্ত থেকে আমি নির্বাচন করছি।

তিনি আরো দাবি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ বন্ধুরা ভোটার ভুল বোঝানোর চেষ্ঠা করছেন। তারা বলছেন আমি রংপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হলে পাগলাপীর নাম স্থানে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবণ এবং রংপুর সদর থানা হরিদেপুর ইউনিয়নে স্থাপিত হবে। এটা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ থানার জন্য জমি লাহিড়ীর হাট নামক বাজারের পাশেই জমি দেখা হয়ে গেছে এবং রংপুর সদর উপজেলা ভবণ লাহিড়ীর হাটে তারাতারি স্থাপনের জন্য রংপুর তিন আসনেরে এমপি এবং জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ডিও দিয়ে দিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে থানা হরিদেবপুর ইউনিয়নে আর উপজেলা ভবণ পাগলাপীরে করার কোন সুযোগি নেই। আর আমি নিজেও চাই এবং এটা আমার প্রাণের দাবী রংপুর সদর উপজেলা ভবণ রংপুর সদরের মাটিরতে আসুক এবং রংপুর সদর থানাসহ উপজেলা ভবণ মনিপুর, হরিদেবপুর, চন্দনপাট, সদ্যপুস্করিনী ও খলেয়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে হউক যেন সবাই সমান ভাবে সেবা পায় কারো কষ্ট না হয়। আর আমি সর্বশেষে একটা কথাই বলব আপনা কেউ গুজবে কান দিবেন না । আপনারা আগে সঠিকটা জানবেন তার আপনারা বিবেচনা করবেন। মনে রাখবেন আমি আপনার ভাই, আমি আপনাদেরি একজন। তাই আপনারা আমাকে ভোট দিবেন আপনাদের শোষক কিংবা শাষক হিসাবে নয় আপনাদের সেবক হিসাবে সেবার করার সুযোগ দিবেন। আমার বাবার স্বপ্ন পূরর্ণ করার সুযোগ দিবেন। আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আর আপনাদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

আরো পড়ুন : হঠাৎ বন্ধ সিএনজি: দুর্ভোগে চার উপজেলার মানুষ, দুশ্চিন্তায় চালকরা