ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোদায় সব প্রার্থীই সরব, হিসাব-নিকাশ ‘খুব জটিল’

মোঃ আব্দুল খালেক বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির এক নেতা (সদ্য বহিষ্কৃত)। পাশাপাশি দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একজন শিল্পপতি, আর একজন সংখ্যালঘু প্রার্থী। এই সাত প্রার্থীই ভোটের মাঠে সবর করে রেখেছেন। প্রচারণার শেষ রাতে ভোটাররা রাজীব কুমার বক্সী (টেলিফোন) প্রতীকের প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন।

বোদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন, বর্তমান বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি (ঘোড়া) মার্কা প্রতীক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বোদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল (কাপপিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেদ প্রধান (হেলিকপ্টার), উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ (মটরসাইকেল)। বিএনপির নেতা মো. হাবিব আল আমিন ফেরদৌস (আনারস) এবং নির্দলীয় প্রার্থী মো. মহি উদ্দীন (দোয়াত কলম) ও রাজীব কুমার বক্সী (টেলিফোন)।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ বোদা উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। হাটবাজারে, চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে নির্বাচনী আলোচনাসহ পছন্দের প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে নানা সমীকরণ।

সোমবার (১৯ মে) রাতে বোদা উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিনিধিকের।

পাঁচপীর এলাকার বাসিন্দা ভাপেন্দ্র রায় (৫০) বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। নতুন ও তরুণ-যুবক ভোটাররাও ঝুঁকছে টেলিফোনের দিকে। তা ছাড়া তাঁর ভাই (মুকুল বক্সী) সাকোয়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি মাড়েয়া বদেশ্বরী মন্দিরের সভাপতি। সেদিক বিবেচনায় মাঠ কিছুটা গোছানোই আছে তাঁর। এদিকে বিএনপির এক নেতা (সদ্য বহিষ্কৃত)। মো. হাবিব আল আমিন ফেরদৌস (আনারস) প্রার্থী হয়েছেন। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। কিন্তু মাঠে দেখা যাচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও ভোটে নেমেছেন। সেদিক থেকে তিনি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।

আবার বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন অধিকাংশ আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে বিএনপি’র ভোটটা হয়তো ঘোড়া প্রতীকে একটু বেশিই পড়বে।

অন্যদিকে নির্দলীয় প্রার্থী শিল্পপতি মো. মহি উদ্দীন (দোয়াত কলম) মার্কার প্রতীক। সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ মোটরসাইকেল, রবিউল আলম সাবুল কাপপিরিচ ও রাসেদ প্রধান হেলিকপ্টার মার্কার প্রতীকে সমানতালে প্রচারণা চালিছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কোন দিকে যাব, কার ভোট করব। নিজের দলেই চার প্রার্থী। দুইজন সতন্ত্র ও একজন বিএনপি। বিএনপির প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কর্মী-সমর্থকেরা যদি ভোট দিতে আসেন বা কোনো হুমকির মুখে না পড়েন, তাহলে ফলাফলটা অন্য রকম হতে পারে।

মাড়েয়া বামন হাট এলাকায় ময়নুল নামের একজন বলেন, কায় জিতিলো, কায় হারিলো তাতে হামার কী? ভোটের দিন মন চাহিলে ভোট দিবার যামো, মন না-চাহিলে যাম নাই। একজনের তানে চিল্লাইয়া আরেকজনের শত্রু হবার দরকারটা কী। দুই দিন চিল্লাইবেন, কয়ডা টাকা পাইবেন? ভোট শেষ হইলে কাহো পুছিবে নাই।

আরো পড়ুন : বোদা উপজেলা নির্বাচন; সুরে সুরে প্রার্থীদের প্রচারণা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বোদায় সব প্রার্থীই সরব, হিসাব-নিকাশ ‘খুব জটিল’

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

মোঃ আব্দুল খালেক বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির এক নেতা (সদ্য বহিষ্কৃত)। পাশাপাশি দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একজন শিল্পপতি, আর একজন সংখ্যালঘু প্রার্থী। এই সাত প্রার্থীই ভোটের মাঠে সবর করে রেখেছেন। প্রচারণার শেষ রাতে ভোটাররা রাজীব কুমার বক্সী (টেলিফোন) প্রতীকের প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন।

বোদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন, বর্তমান বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি (ঘোড়া) মার্কা প্রতীক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বোদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল (কাপপিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেদ প্রধান (হেলিকপ্টার), উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ (মটরসাইকেল)। বিএনপির নেতা মো. হাবিব আল আমিন ফেরদৌস (আনারস) এবং নির্দলীয় প্রার্থী মো. মহি উদ্দীন (দোয়াত কলম) ও রাজীব কুমার বক্সী (টেলিফোন)।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ বোদা উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। হাটবাজারে, চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে নির্বাচনী আলোচনাসহ পছন্দের প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে নানা সমীকরণ।

সোমবার (১৯ মে) রাতে বোদা উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিনিধিকের।

পাঁচপীর এলাকার বাসিন্দা ভাপেন্দ্র রায় (৫০) বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। নতুন ও তরুণ-যুবক ভোটাররাও ঝুঁকছে টেলিফোনের দিকে। তা ছাড়া তাঁর ভাই (মুকুল বক্সী) সাকোয়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি মাড়েয়া বদেশ্বরী মন্দিরের সভাপতি। সেদিক বিবেচনায় মাঠ কিছুটা গোছানোই আছে তাঁর। এদিকে বিএনপির এক নেতা (সদ্য বহিষ্কৃত)। মো. হাবিব আল আমিন ফেরদৌস (আনারস) প্রার্থী হয়েছেন। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। কিন্তু মাঠে দেখা যাচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও ভোটে নেমেছেন। সেদিক থেকে তিনি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।

আবার বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন অধিকাংশ আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে বিএনপি’র ভোটটা হয়তো ঘোড়া প্রতীকে একটু বেশিই পড়বে।

অন্যদিকে নির্দলীয় প্রার্থী শিল্পপতি মো. মহি উদ্দীন (দোয়াত কলম) মার্কার প্রতীক। সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ মোটরসাইকেল, রবিউল আলম সাবুল কাপপিরিচ ও রাসেদ প্রধান হেলিকপ্টার মার্কার প্রতীকে সমানতালে প্রচারণা চালিছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কোন দিকে যাব, কার ভোট করব। নিজের দলেই চার প্রার্থী। দুইজন সতন্ত্র ও একজন বিএনপি। বিএনপির প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কর্মী-সমর্থকেরা যদি ভোট দিতে আসেন বা কোনো হুমকির মুখে না পড়েন, তাহলে ফলাফলটা অন্য রকম হতে পারে।

মাড়েয়া বামন হাট এলাকায় ময়নুল নামের একজন বলেন, কায় জিতিলো, কায় হারিলো তাতে হামার কী? ভোটের দিন মন চাহিলে ভোট দিবার যামো, মন না-চাহিলে যাম নাই। একজনের তানে চিল্লাইয়া আরেকজনের শত্রু হবার দরকারটা কী। দুই দিন চিল্লাইবেন, কয়ডা টাকা পাইবেন? ভোট শেষ হইলে কাহো পুছিবে নাই।

আরো পড়ুন : বোদা উপজেলা নির্বাচন; সুরে সুরে প্রার্থীদের প্রচারণা