ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে আ’লীগের নেতাদের বাড়ি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও কার্যালয় ভাংচুর

মোঃ মাহাবুব আলম , রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার(৫ আগষ্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা আন্দোলনকারীদের তান্ডবের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। মুহুর্তেই উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
 এ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ীসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এছাড়াও পৌরসভার সরকারি গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিএনপি জামায়াতের উপজেলা পযার্য়ের নেতারা হামলা ভাংচুর ঠেকানোর জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে পৌরসভার সরকারি গাড়ীটি আগুনে পুড়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পৌরসভার সামনে পড়ে রয়েছে। একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হকের পৌরসভার ভান্ডারা এলাকার বাড়ীটিতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের প্রগতি ক্লাব ও সহোদর গ্রামের বাড়ী এবং তার বন্দর এলাকায় অবহত মোটরসাইকেল শোরুমটিতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবলু হোসেন, আ’লীগ নেতা তাপস চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আ’লীগ নেতাকর্মিদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, নির্বাচন অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। বিভিন্ন সরকারী পুকুরে অবৈধভাবে মাছ তোলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদ, ডিগ্রী কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রগতি ক্লাব এলাকায় অবস্থিত আ’লীগের পার্টি অফিস ও সংগীত বিদ্যালয়টি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব হামলার সময় প্রশাসনের ভুমিকা একেবারেই নিরব ছিল।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাণীশংকৈলে আ’লীগের নেতাদের বাড়ি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও কার্যালয় ভাংচুর

আপডেট সময় ০৮:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
মোঃ মাহাবুব আলম , রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার(৫ আগষ্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা আন্দোলনকারীদের তান্ডবের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। মুহুর্তেই উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
 এ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ীসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এছাড়াও পৌরসভার সরকারি গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিএনপি জামায়াতের উপজেলা পযার্য়ের নেতারা হামলা ভাংচুর ঠেকানোর জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে পৌরসভার সরকারি গাড়ীটি আগুনে পুড়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পৌরসভার সামনে পড়ে রয়েছে। একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হকের পৌরসভার ভান্ডারা এলাকার বাড়ীটিতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের প্রগতি ক্লাব ও সহোদর গ্রামের বাড়ী এবং তার বন্দর এলাকায় অবহত মোটরসাইকেল শোরুমটিতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবলু হোসেন, আ’লীগ নেতা তাপস চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আ’লীগ নেতাকর্মিদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, নির্বাচন অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। বিভিন্ন সরকারী পুকুরে অবৈধভাবে মাছ তোলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদ, ডিগ্রী কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রগতি ক্লাব এলাকায় অবস্থিত আ’লীগের পার্টি অফিস ও সংগীত বিদ্যালয়টি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব হামলার সময় প্রশাসনের ভুমিকা একেবারেই নিরব ছিল।
আরো পড়ুন : লালমনিরহাটে পুড়িয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি হতে ৬ লাশ উদ্ধার