ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে স্বর্ণের খনি ইটভাটায় ভূতত্ত্ব বিভাগ টিমের অনুসন্ধান ও মাটির নমুনা সংগ্রহ 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ব্যাপক আলোচিত সেই সোনার খনি খ্যাত আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তুপে সোনা পাওয়ার প্রচারিত সংবাদ ও হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর একটি টিম সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছেন। মঙ্গলবার ও বুধবার ৪ ও ৫ জুন সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকদের নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, এবং যে স্থান থেকে মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল সেই শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন।
অনুসন্ধান শেষে টিমের সদস্যরা এদিন দুপুরে এ প্রতিবেদনকে জানান, আমরা এ এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং চোখে দেখে এ মাটি পরীক্ষা করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে  পরীক্ষার জন্য জমা দেবো।
সংগৃহীত মাটি অনুযায়ী এসব স্থানে সোনা থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে সোনা ইত্যাদি থাকতে পারে। বিষয়টি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত: গত একমাস ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার মোহরসহ বিভিন্ন স্বর্ণের জিনিষ পেয়েছিল বলে অনেক মাধ্যমে জানা গেছে। বর্তমানে ওই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাণীশংকৈলে স্বর্ণের খনি ইটভাটায় ভূতত্ত্ব বিভাগ টিমের অনুসন্ধান ও মাটির নমুনা সংগ্রহ 

আপডেট সময় ০৫:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ব্যাপক আলোচিত সেই সোনার খনি খ্যাত আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তুপে সোনা পাওয়ার প্রচারিত সংবাদ ও হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর একটি টিম সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছেন। মঙ্গলবার ও বুধবার ৪ ও ৫ জুন সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকদের নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, এবং যে স্থান থেকে মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল সেই শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন।
অনুসন্ধান শেষে টিমের সদস্যরা এদিন দুপুরে এ প্রতিবেদনকে জানান, আমরা এ এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং চোখে দেখে এ মাটি পরীক্ষা করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে  পরীক্ষার জন্য জমা দেবো।
সংগৃহীত মাটি অনুযায়ী এসব স্থানে সোনা থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে সোনা ইত্যাদি থাকতে পারে। বিষয়টি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত: গত একমাস ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার মোহরসহ বিভিন্ন স্বর্ণের জিনিষ পেয়েছিল বলে অনেক মাধ্যমে জানা গেছে। বর্তমানে ওই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
আরো পড়ুন : রাণীশংকৈলে সেই স্বর্ণের মাটি পরীক্ষার জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন