ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে কাজ করতে পারছে না হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান

হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ চান মিয়া সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার রংপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জুয়েল রানা। তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চান মিয়াকে ওই প্রকল্পটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন।

ইকবাল হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন চান মিয়া। গত ২০ জুন ২০২৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করার পর “হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ” প্রকল্পের বরাদ্দ ৫.৫৬৩ মেট্রিক টন চালের সমমূল্য ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা ২৯ জুন  উত্তোলন করেন চান মিয়া। এরপর জুলাই মাস শুরু হয়।

বিশ্বনাথপুরের ওই রাস্তায় কাজ করতে গেলে স্থানীয় জনগণ তাকে বলেন ‘‘ এলায় তোমরা এই কাচা রাস্তাত মাটি দেন না। বৃষ্টি হয়চোল মামরাতো হাইটপার পাবার নই”। তিনি জনগণের কথাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ বন্ধ করে ২০জন শ্রমিকের মজুরী প্রদান করেন। বৃষ্টি কমে গেলে আগষ্ট মাস শুরু হয়। সরকার পরিবর্তন ও সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে মাটির কাজটি তিনি করতে পারেননি।

গত ২০ আগষ্ট ওই এলাকায় কাজটি করতে গেলে বাঁধা প্রদান করা হয়। ওই এলাকার জনগণকে বরাদ্দ  ওই রাস্তার কাজে ১৭ লাখ টাকা বলে মিথ্য তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে উস্কে দেন। অনেকেই জানতে চান বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ এই প্রকল্পটির বরাদ্দ কত? তিনি বরাদ্দ ৫.৫৬৩ মেট্রিক টন চাল বললে অনেকেই বলেন- না, আমরা শুনেছি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ, ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে বিভ্রান্তির মধ্যে এখন পর্যন্ত কাজটি শুরু করতে পারেননি চান মিয়া।

হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ চান মিয়ার দাবি আমি কাজটি করতে চাই। মাটির কাজ নয়, আমি ইটের সলিং করে দেব।

এ ব্যাপারে কথা হলে হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম জানান, সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করা অন্যায়।

স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের জানান, সরকারের টাকা, সরকারের রাস্তা। কাজটি হওয়া উচিত। কারণ বরাদ্দ একবার ফেরত গেলে কাজটি আর হবে না।

স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা শফিক জানান, সরকারী কাজ বন্ধ করা হবে কেন? এটি আমার প্রশ্ন।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা একরামুল হক জানান, আমি বিষয়টি আপনার মুখে শুনলাম। এলাকাটি আমার বাড়ীর পাশে। তবে রাস্তার কাজটি হওয়া প্রয়োজন।

সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হামিদুর রহমান লিমন বলেন, সরকারের টাকা, সরকারের রাস্তা উন্নয়ন কাজ হবে। যারা বাধা দিচ্ছে তারা ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এটি চরমতম অন্যায়। তিনি এ ব্যাপারে স্থাণীয় জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আরো পড়ুন : অপসারণ আতঙ্কে সদর উপজেলার প্রধান শিক্ষকরা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

কয়রায় যৌথ অভিযানে ধারালো অস্ত্রসহ নাশকতারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে কাজ করতে পারছে না হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৫:২৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ চান মিয়া সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার রংপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জুয়েল রানা। তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চান মিয়াকে ওই প্রকল্পটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন।

ইকবাল হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন চান মিয়া। গত ২০ জুন ২০২৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করার পর “হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ” প্রকল্পের বরাদ্দ ৫.৫৬৩ মেট্রিক টন চালের সমমূল্য ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা ২৯ জুন  উত্তোলন করেন চান মিয়া। এরপর জুলাই মাস শুরু হয়।

বিশ্বনাথপুরের ওই রাস্তায় কাজ করতে গেলে স্থানীয় জনগণ তাকে বলেন ‘‘ এলায় তোমরা এই কাচা রাস্তাত মাটি দেন না। বৃষ্টি হয়চোল মামরাতো হাইটপার পাবার নই”। তিনি জনগণের কথাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ বন্ধ করে ২০জন শ্রমিকের মজুরী প্রদান করেন। বৃষ্টি কমে গেলে আগষ্ট মাস শুরু হয়। সরকার পরিবর্তন ও সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে মাটির কাজটি তিনি করতে পারেননি।

গত ২০ আগষ্ট ওই এলাকায় কাজটি করতে গেলে বাঁধা প্রদান করা হয়। ওই এলাকার জনগণকে বরাদ্দ  ওই রাস্তার কাজে ১৭ লাখ টাকা বলে মিথ্য তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে উস্কে দেন। অনেকেই জানতে চান বিশ্বনাথপুর বট পাকুড়ের মোড় থেকে গোপালের বাড়ী পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করণ এই প্রকল্পটির বরাদ্দ কত? তিনি বরাদ্দ ৫.৫৬৩ মেট্রিক টন চাল বললে অনেকেই বলেন- না, আমরা শুনেছি ১৭ লাখ টাকার বরাদ্দ, ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে বিভ্রান্তির মধ্যে এখন পর্যন্ত কাজটি শুরু করতে পারেননি চান মিয়া।

হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ চান মিয়ার দাবি আমি কাজটি করতে চাই। মাটির কাজ নয়, আমি ইটের সলিং করে দেব।

এ ব্যাপারে কথা হলে হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম জানান, সরকারী রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করা অন্যায়।

স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের জানান, সরকারের টাকা, সরকারের রাস্তা। কাজটি হওয়া উচিত। কারণ বরাদ্দ একবার ফেরত গেলে কাজটি আর হবে না।

স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা শফিক জানান, সরকারী কাজ বন্ধ করা হবে কেন? এটি আমার প্রশ্ন।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা একরামুল হক জানান, আমি বিষয়টি আপনার মুখে শুনলাম। এলাকাটি আমার বাড়ীর পাশে। তবে রাস্তার কাজটি হওয়া প্রয়োজন।

সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হামিদুর রহমান লিমন বলেন, সরকারের টাকা, সরকারের রাস্তা উন্নয়ন কাজ হবে। যারা বাধা দিচ্ছে তারা ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এটি চরমতম অন্যায়। তিনি এ ব্যাপারে স্থাণীয় জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আরো পড়ুন : অপসারণ আতঙ্কে সদর উপজেলার প্রধান শিক্ষকরা