ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে পরকীয়ায় ধরা, অত:পর বিয়ে!

আবু হাশেম

 হারুনর রশীদ, সদর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাগবাটি পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের পিএস ও মহিলা চৌকিদারের পরকীয়া অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আটক করে তাদের কে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ে দেওয়ার ফলে উভয়ের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছে তাদের পাঁচ সন্তানের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের এই ধরনের কার্যকলাপে ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই নিয়ে চলছে পুরো ইউনিয়ন পরিষদে নানান আলোচনা সমালোচনা। দুইজনাকেই আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার প্রত্যাশা করছেন ইউনিয়নবাসি।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বাদবাটি ইউনিয়ন পরিষদে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ২ নং বাগবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এর ব্যক্তিগত পিএস ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাশেম ও ২নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মোছা; ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া করে আসছিল। পরকীয়ার জেরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে এবং পরিষদের ভবনেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো।এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি আবু হাসেম ও চৌকিদার ফাতেমা খাতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা আগত জনসাধারণ দুইজনকে আটক করে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেয়। ফাতেমা খাতুনের স্বামী তাজুল ইসলামকে প্রথমে ডিভোর্স দেয় ও পরবর্তীতে আবু হাসেম ও চৌকিদার ফাতেমার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। দুই জনার বিয়ে হওয়ার ফলে আবু হাশেমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ফাতেমা খাতুনের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পরে।
এ বিষয়ে আবু হাশেম বলেন, আমরা দুজন দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে ভালোবাসায় জড়িয়ে গিয়েছি। আমরা কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহে আবদ্ধ হয়েছি।  তবে পরিষদের জনতার হাতে আটকের বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।
চৌকিদার ফাতেমা খাতুনের স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চাকুরি করার সুবাদে আমি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতাম। বসবাস করা অবস্থায় আমি শ্বশুরবাড়িতে ঘর বাড়ী এবং অনেক সম্পত্তি করেছি।  বর্তমানে আমার স্ত্রী অন্যথায় বিয়ে করায় আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে আমি নিঃস্ব হয়েগিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থনা করছি।
ইউপি সদস্য সজল বলেন আবু হাশেম ও চৌকিদার ফাতেমা খাতুনের বিয়ের বিষয়ে সত্যতা, এই বিয়ে বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বারবার মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর পূর্বে আবু হাসেম তার সুমন্দি বউকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে আবু হাশেম বড় স্ত্রী নাজমা খাতুন এর বিনা অনুমতিতে এযাবত  দুইটি বিয়ে  করলেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সিরাজগঞ্জে পরকীয়ায় ধরা, অত:পর বিয়ে!

আপডেট সময় ১০:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
 হারুনর রশীদ, সদর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাগবাটি পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের পিএস ও মহিলা চৌকিদারের পরকীয়া অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আটক করে তাদের কে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ে দেওয়ার ফলে উভয়ের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছে তাদের পাঁচ সন্তানের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের এই ধরনের কার্যকলাপে ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই নিয়ে চলছে পুরো ইউনিয়ন পরিষদে নানান আলোচনা সমালোচনা। দুইজনাকেই আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার প্রত্যাশা করছেন ইউনিয়নবাসি।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বাদবাটি ইউনিয়ন পরিষদে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ২ নং বাগবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এর ব্যক্তিগত পিএস ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাশেম ও ২নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মোছা; ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া করে আসছিল। পরকীয়ার জেরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে এবং পরিষদের ভবনেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো।এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি আবু হাসেম ও চৌকিদার ফাতেমা খাতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা আগত জনসাধারণ দুইজনকে আটক করে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেয়। ফাতেমা খাতুনের স্বামী তাজুল ইসলামকে প্রথমে ডিভোর্স দেয় ও পরবর্তীতে আবু হাসেম ও চৌকিদার ফাতেমার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। দুই জনার বিয়ে হওয়ার ফলে আবু হাশেমের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ফাতেমা খাতুনের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পরে।
এ বিষয়ে আবু হাশেম বলেন, আমরা দুজন দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে ভালোবাসায় জড়িয়ে গিয়েছি। আমরা কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহে আবদ্ধ হয়েছি।  তবে পরিষদের জনতার হাতে আটকের বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।
চৌকিদার ফাতেমা খাতুনের স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চাকুরি করার সুবাদে আমি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতাম। বসবাস করা অবস্থায় আমি শ্বশুরবাড়িতে ঘর বাড়ী এবং অনেক সম্পত্তি করেছি।  বর্তমানে আমার স্ত্রী অন্যথায় বিয়ে করায় আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে আমি নিঃস্ব হয়েগিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থনা করছি।
ইউপি সদস্য সজল বলেন আবু হাশেম ও চৌকিদার ফাতেমা খাতুনের বিয়ের বিষয়ে সত্যতা, এই বিয়ে বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বারবার মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর পূর্বে আবু হাসেম তার সুমন্দি বউকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে আবু হাশেম বড় স্ত্রী নাজমা খাতুন এর বিনা অনুমতিতে এযাবত  দুইটি বিয়ে  করলেন।
আরো পড়ুন : ইছামতি নদী খননে স্বস্তির দেখা মিলেছে কালিন্জাবাসীর