ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের মৎস্য রক্ষায় কোস্ট গার্ডের অভিযান

মাসুদ রানা, মোংলা
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সুন্দরবন সহ পাশবার্তী নদী-খালের অভয়ারন্য এলাকায় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অভিযান শুরু করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদস্যরা। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বনের নন্দবালা ও হারবাড়িয়া সহ অন্যান্য অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে অভিযান চালান তারা। এসময় জেলেদের এসকল এলাকা থেকে বের করে দেয়া সহ নিষিদ্ধ সময়ের সরকারী লিফলেট বিতারণও করা হয়।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা লে. ইকবাল জানায়, পুর্ব সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা ও এর আশপাশের নদী ও খালে সকল প্রকারের মাছ ধরা পরিবহন ও নৌযান চলাচল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। তাই ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এসকল স্থানে জেলেরা যাতে প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে, পর্যটকবাহী বোট যাওয়া এবং সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়। চলমান এ দুই মাস মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম, তাই ডিম থেকে বাচ্চা বড় হওয়া সহ মাছের বংশ বৃদ্ধির নিরাপদ স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছে বনের অভয়ারণ্য এলাকা। এই সময় যাতে জেলে নামধারী দুবৃত্তরা এসকল এলাকায় মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্যই কোস্ট গার্ডের এ অভিযান। এসময় জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে রোধে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের চার ভাগের ৩ ভাগ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় কোস্ট গার্ডের ১টি বেইস ও ১৪টি স্টেশন, আউটপোস্ট নিয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এছাড়াও মোংলা বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সময় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ, ট্রলার এবং বোটের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্থানীয় জেলে, মাঝি ও পেশাজীবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক বক্তব্য ও দিন-রাত টহলরত রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের সদস্যরা।

আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা ১২ জেলেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সুন্দরবনের মৎস্য রক্ষায় কোস্ট গার্ডের অভিযান

আপডেট সময় ০৪:১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সুন্দরবন সহ পাশবার্তী নদী-খালের অভয়ারন্য এলাকায় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অভিযান শুরু করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদস্যরা। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বনের নন্দবালা ও হারবাড়িয়া সহ অন্যান্য অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে অভিযান চালান তারা। এসময় জেলেদের এসকল এলাকা থেকে বের করে দেয়া সহ নিষিদ্ধ সময়ের সরকারী লিফলেট বিতারণও করা হয়।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা লে. ইকবাল জানায়, পুর্ব সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা ও এর আশপাশের নদী ও খালে সকল প্রকারের মাছ ধরা পরিবহন ও নৌযান চলাচল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। তাই ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এসকল স্থানে জেলেরা যাতে প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে, পর্যটকবাহী বোট যাওয়া এবং সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়। চলমান এ দুই মাস মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম, তাই ডিম থেকে বাচ্চা বড় হওয়া সহ মাছের বংশ বৃদ্ধির নিরাপদ স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছে বনের অভয়ারণ্য এলাকা। এই সময় যাতে জেলে নামধারী দুবৃত্তরা এসকল এলাকায় মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্যই কোস্ট গার্ডের এ অভিযান। এসময় জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে রোধে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের চার ভাগের ৩ ভাগ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় কোস্ট গার্ডের ১টি বেইস ও ১৪টি স্টেশন, আউটপোস্ট নিয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এছাড়াও মোংলা বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সময় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ, ট্রলার এবং বোটের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্থানীয় জেলে, মাঝি ও পেশাজীবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক বক্তব্য ও দিন-রাত টহলরত রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের সদস্যরা।

আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা ১২ জেলেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর