ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় পশুর নদীতে ট্রলার ডুবিতে এখনও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নাবিকের লাশ

মাসুদ রানা, মোংলা
মোংলায় ঝড়ের কবলে পরে ইট বোঝাই একটি ট্রালার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ লস্কর মোকছেদ হাওলাদারের লাশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুড়ি দল। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গর বিদ্যারবাহন এলাকায় পশুর নদীর মাঝ খানে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন সাঁতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও টাকা সহ মুল্যবান মালামাল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মোকছেদ হাওলাদার (৬০)। তবে সকাল থেকেই উদ্দার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্বিসের দুটি ইউনিট, নৌ-পুলিশ, ও কোস্টগার্ড।

ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট জেলা উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী জানায়, ২৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যার রাতে খুলনার ১ নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে ৩০ হাজার ইট বোঝাই করে মটবাড়িয়ার শাপলা বাজারের উদ্দোশ্যে রওয়ানা হয় “এমভি মোকামিয়া দরবার শরিফ” নামের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ওখানে চালক সহ মোঃ গফ্ফার ব্যাপারীর ছেলে হাসিব ব্যাপারী (২৬),ভান্ডারিয়ার চলখালী এলাকার মোঃ ছিদ্দিক ও খুলনার রুপসা থানার রহিমনগর এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোকছেদ হাওলাদার ৪ জন নাবিক ছিল। এদিন গভীররাতে পশুর নদীর মোংলা বুড়িরডাঙ্গা বিদ্যারবাহন এলাকার পৌছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৩ নাবিক সাতারকেটে কিনারে উঠতে পারলেও মোকছেদ হাওলাদার নামের এক নাবিক এখনও নিখোজ রয়েছে। ঘটনার পর পরই মোংলা ইপিজেড ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ২টি ইউনিট, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিখোজ নাবিকের সন্ধান করতে না পারলেও ট্রালারটি ডুবন্ত স্থান নির্ধারিত করতে পেরেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ট্রলার ডুবিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রানে বেচে আসা অন্য নাবিকরা।

সার্ভিসের জেলা উপ-সহকারী পরিচালক আরো জানায়, খবর পাওয়া মাত্রই মোংলা ইপিজেড’র একটি ইউনিটের ডুবুড়ি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে দুপুরের দিকে বাগেরহাট থেকে আরো একটি ইউনিট যোগ দেয় নিখোজ নাবিক উদ্ধার অভিযানে। তবে নদীর পানির প্রচন্ড স্রোতের কারনে গভীরে যাওয়া খুবই কষ্টকর, তাই উদ্ধার কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে যতক্ষন পর্যন্ত ডুবন ট্রলার উদ্ধার ও নিখোজ নাবিতেকর সন্ধ্যান না হয় ততক্ষন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন : মোংলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য সহ ২জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় পশুর নদীতে ট্রলার ডুবিতে এখনও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নাবিকের লাশ

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা
মোংলায় ঝড়ের কবলে পরে ইট বোঝাই একটি ট্রালার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ লস্কর মোকছেদ হাওলাদারের লাশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুড়ি দল। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গর বিদ্যারবাহন এলাকায় পশুর নদীর মাঝ খানে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন সাঁতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও টাকা সহ মুল্যবান মালামাল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মোকছেদ হাওলাদার (৬০)। তবে সকাল থেকেই উদ্দার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্বিসের দুটি ইউনিট, নৌ-পুলিশ, ও কোস্টগার্ড।

ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট জেলা উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী জানায়, ২৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যার রাতে খুলনার ১ নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে ৩০ হাজার ইট বোঝাই করে মটবাড়িয়ার শাপলা বাজারের উদ্দোশ্যে রওয়ানা হয় “এমভি মোকামিয়া দরবার শরিফ” নামের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ওখানে চালক সহ মোঃ গফ্ফার ব্যাপারীর ছেলে হাসিব ব্যাপারী (২৬),ভান্ডারিয়ার চলখালী এলাকার মোঃ ছিদ্দিক ও খুলনার রুপসা থানার রহিমনগর এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোকছেদ হাওলাদার ৪ জন নাবিক ছিল। এদিন গভীররাতে পশুর নদীর মোংলা বুড়িরডাঙ্গা বিদ্যারবাহন এলাকার পৌছালে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৩ নাবিক সাতারকেটে কিনারে উঠতে পারলেও মোকছেদ হাওলাদার নামের এক নাবিক এখনও নিখোজ রয়েছে। ঘটনার পর পরই মোংলা ইপিজেড ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ২টি ইউনিট, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত নিখোজ নাবিকের সন্ধান করতে না পারলেও ট্রালারটি ডুবন্ত স্থান নির্ধারিত করতে পেরেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ট্রলার ডুবিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রানে বেচে আসা অন্য নাবিকরা।

সার্ভিসের জেলা উপ-সহকারী পরিচালক আরো জানায়, খবর পাওয়া মাত্রই মোংলা ইপিজেড’র একটি ইউনিটের ডুবুড়ি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে দুপুরের দিকে বাগেরহাট থেকে আরো একটি ইউনিট যোগ দেয় নিখোজ নাবিক উদ্ধার অভিযানে। তবে নদীর পানির প্রচন্ড স্রোতের কারনে গভীরে যাওয়া খুবই কষ্টকর, তাই উদ্ধার কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে যতক্ষন পর্যন্ত ডুবন ট্রলার উদ্ধার ও নিখোজ নাবিতেকর সন্ধ্যান না হয় ততক্ষন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন : মোংলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য সহ ২জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম