ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ডুবন্ত সরকারী চাল উত্তোলন

মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরের পশুর নদীর ত্রিমোহনায় ১৭৫ মেট্রিক টন সরকারী চাল নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে চাল ইত্তোলনের কাজ। ৬ হাজার ১৮০ বস্তা ডুবন্ত চালের মধ্য থেকে ডুবুড়ি দলের সদস্যরা দুই দিনের প্রায় ২ হাজার ৬০০শ বস্তা চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। পানিতে চটের বস্তা পচে নষ্ট হওয়ার ফলে চাল উঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে ডুবুড়ি দলের। তবে পাইপের মাধ্যমে চাল উঠানো পরিকল্পনা উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খানজাহান স্যালভেস কোম্পানীর। ডুবন্ত চাল ও কার্গো উঠাতে সময় লাগবে আরো ৩ থেকে ৪ দিন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে খুলনা বিভাগী পর্যায় বঠৈকও হয়েছে বলে জানা গেছে।

মোংলা নৌপুলিশের অফিস ইনচার্জ সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, মোংলা পোর্ট পৌর সভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রত্যান্ত এলাকার দুঃস্থ গরিব ও অসহায় লোকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্ধের চাল খুলনার মানিকতলা বিভাগীয় খাদ্যগুদাম থেকে ১৭৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ৩১ মার্চ মোংলা খাদ্যগুদামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমভি সুফিয়া নামের একটি বাল্কহেড। মোংলা পশুর নদীর ত্রিমমোহনায় পৌছালে পিছন থেকে এমভি শাহাজাদা-৬ নামের একটি বড় লাইটার জাহাজ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ডুবে যায় চাল বোঝাই বাল্কহেড এমভি সুফিয়া। বন্দরের পশুর ও ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেল রক্ষার্থে দ্রুত চাল ও বাল্কহেড উত্তোলন শুরু কার জন্য মেসার্স খানজাহান আলী স্যাভেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে দায়ীত্ব দেয়া হয়। তাদের ১০ সদস্যের ডুবুড়ি দল ও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের শ্রমিক নিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনের প্রায় ২ হাজার ৬০০শ বস্তা চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। ডুবন্ত বাল্কহেড থেকে বাকি চাল উত্তোলন করতে আরো দুই দিন সময় লাগবে বলেও জানায় এর স্যালভেস কোম্পানীর প্রদিনিধিরা।

এদিকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোন তদন্ত কমিটি বা থানায় কোন মামলাও কার হয়নী। তবে বাল্কহেডটির পিছন থেকে ধাক্কা দেয়া লাইটার জাহাজ এমভি শাহাজাদ-৬ এখও সন্নাসী নৌপুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানায় যায়। ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও সরকারী চাল নিয়ে কোন মামলা বা সুরহা না হওয়ায় চিন্তিত নৌপুলিশ কর্তৃপক্ষ। কারণ, লাইটার জাহাজ তাদের হেফাজতে এবং আইনী ভাবে তাদের তাতে কোন প্রমানাধি না থাকায় বিরম্ভনায় পরতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে ডুবন্ত সরকারী চালের কে নিবে এর দায়বার তা নিয়েও রয়েছে দ্বিধ-দন্ধ।

মোংলা নৌপুলিশের অফিস ইনচার্জ সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, মোংলা পশুর নদীর ত্রিমোহনায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় এখও কোন মামলা বা সাধারন ডায়রী হয়নী। এদিকে আটক লাইটার জাহাজ শাহাজাদা-৬ তাদের হেফাজতে রয়েছে। রাইটার কর্তৃপক্ষও কোন যোগাযোগ করছেনা বা এর কোন ফয়সালাও হয়নী তবে বিভাগীয় পর্যায় এ নিয়ে আলোচনা চলছে বরেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন : মোংলায় বিপূল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক-৬

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ডুবন্ত সরকারী চাল উত্তোলন

আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরের পশুর নদীর ত্রিমোহনায় ১৭৫ মেট্রিক টন সরকারী চাল নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে চাল ইত্তোলনের কাজ। ৬ হাজার ১৮০ বস্তা ডুবন্ত চালের মধ্য থেকে ডুবুড়ি দলের সদস্যরা দুই দিনের প্রায় ২ হাজার ৬০০শ বস্তা চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। পানিতে চটের বস্তা পচে নষ্ট হওয়ার ফলে চাল উঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে ডুবুড়ি দলের। তবে পাইপের মাধ্যমে চাল উঠানো পরিকল্পনা উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খানজাহান স্যালভেস কোম্পানীর। ডুবন্ত চাল ও কার্গো উঠাতে সময় লাগবে আরো ৩ থেকে ৪ দিন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে খুলনা বিভাগী পর্যায় বঠৈকও হয়েছে বলে জানা গেছে।

মোংলা নৌপুলিশের অফিস ইনচার্জ সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, মোংলা পোর্ট পৌর সভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রত্যান্ত এলাকার দুঃস্থ গরিব ও অসহায় লোকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্ধের চাল খুলনার মানিকতলা বিভাগীয় খাদ্যগুদাম থেকে ১৭৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ৩১ মার্চ মোংলা খাদ্যগুদামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমভি সুফিয়া নামের একটি বাল্কহেড। মোংলা পশুর নদীর ত্রিমমোহনায় পৌছালে পিছন থেকে এমভি শাহাজাদা-৬ নামের একটি বড় লাইটার জাহাজ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ডুবে যায় চাল বোঝাই বাল্কহেড এমভি সুফিয়া। বন্দরের পশুর ও ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেল রক্ষার্থে দ্রুত চাল ও বাল্কহেড উত্তোলন শুরু কার জন্য মেসার্স খানজাহান আলী স্যাভেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে দায়ীত্ব দেয়া হয়। তাদের ১০ সদস্যের ডুবুড়ি দল ও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের শ্রমিক নিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনের প্রায় ২ হাজার ৬০০শ বস্তা চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। ডুবন্ত বাল্কহেড থেকে বাকি চাল উত্তোলন করতে আরো দুই দিন সময় লাগবে বলেও জানায় এর স্যালভেস কোম্পানীর প্রদিনিধিরা।

এদিকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোন তদন্ত কমিটি বা থানায় কোন মামলাও কার হয়নী। তবে বাল্কহেডটির পিছন থেকে ধাক্কা দেয়া লাইটার জাহাজ এমভি শাহাজাদ-৬ এখও সন্নাসী নৌপুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানায় যায়। ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও সরকারী চাল নিয়ে কোন মামলা বা সুরহা না হওয়ায় চিন্তিত নৌপুলিশ কর্তৃপক্ষ। কারণ, লাইটার জাহাজ তাদের হেফাজতে এবং আইনী ভাবে তাদের তাতে কোন প্রমানাধি না থাকায় বিরম্ভনায় পরতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে ডুবন্ত সরকারী চালের কে নিবে এর দায়বার তা নিয়েও রয়েছে দ্বিধ-দন্ধ।

মোংলা নৌপুলিশের অফিস ইনচার্জ সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, মোংলা পশুর নদীর ত্রিমোহনায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় এখও কোন মামলা বা সাধারন ডায়রী হয়নী। এদিকে আটক লাইটার জাহাজ শাহাজাদা-৬ তাদের হেফাজতে রয়েছে। রাইটার কর্তৃপক্ষও কোন যোগাযোগ করছেনা বা এর কোন ফয়সালাও হয়নী তবে বিভাগীয় পর্যায় এ নিয়ে আলোচনা চলছে বরেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন : মোংলায় বিপূল পরিমাণ গাঁজাসহ আটক-৬