ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনজিও থেকে বিভিন্ন নামে টাকা তুলে প্রতারণা: ধ্বংসের মুখে কয়েকটি পরিবার

শামসুল হক মামুন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামের মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া তার স্ত্রী মাহবুববা এবং মৃত সোহবান মিয়ার ছেলে সামসু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিনের আত্মীয়তার সুবাধে মানিক মিয়া প্রায়ই তাদের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। এই সম্পর্ককে পুজি করে প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫ হাজার টাকা দিবেন এর পরির্বতে এনজিও থেকে টাকা তুলে দিতে হবে নিজের নামে। কিস্তি পরিশোধ করবেন অভিযুক্তরা।

সেই লোভে রোজিনা আক্তার তার নিজের নামে আশা এনজিও সদস্য নং—২১, গত বছরের ৯ এপ্রিল ১২ লাখ টাকা এবং বীজ এনজিও সদস্য নং ১৪০০৮৪৫ হইতে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে এবং তার দেবর রাশিদ মিয়ার নামে গত বছরের ১৯ জুলাই, আশা এনজিও সদস্য নং ৬ হইতে ৪ লাখ টাকা এবং ব্র্যাক এনজিও সদস্য নং ১৩৭ বই হইতে গত বছরের ৫ জানুয়ারী ৮ লাখ টাকা, তার দেবরের স্ত্রী তানিয়ার নামে বীজ এনজিও সদস্য নং ১৪০০৮৫৩ হইতে ৩ লাখ টাকা ও তার মেয়ে জিপার নামে ব্র্যাক এনজিও সদস্য নং ১৪১ হইতে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ৭ লাখ টাকা, তার মা রেহেনা বেগমের নামে ব্র্যাক এনজিও যাহার সদস্য নং ১৯২ হইতে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রয়ারী ১৮ লাখ টাকা। শুধুমাত্র ৩টি এনজিও (আশা,ব্র্যাক,বীজ) থেকে সর্বমোট ৫৬ লাখ টাকা লোন গ্রহন করেন । টাকা তুলে দিতেন মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা যাদের নামে টাকা তুলেন তাদেরকে ৫ হাজার লাখ প্রতি হিসেব করে টাকা দেন । বাকি টাকা নিজে রাখেন শর্ত ছিল মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী উত্তোলনকৃত সকল টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করবে।এর মধ্যে মোট ১৮ লাখ টাকার কিস্তি মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা কিছুদিন এনজিও গুলোকে কিস্তি পরিশোধ করেন।পরর্বতিতে আর কিস্তি দেন না। মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবা কর্তৃক নিয়মিতভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার কারণে এনজিও কতৃর্পক্ষ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ঋণ গ্রহিতাদের।

পরবতীর্তে মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবাকে বার বার কিস্তি পরিশোধ করার কথা বললে বাকী কিস্তির টাকা দেম দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করতে থাকে। মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবা লোন উত্তোলনের সময় লোন গ্রহিতাদের কাছ থেকে ২টি করে চেক লাগবে বলে নেন । এর মধ্যে ১ টি করে চেক এনজিওতে জমা দেন আরেকটি করে চেক নিজের কাছে রেখে দেন । পরর্বতী সময় কিস্তি পরিশোধের জন্য চাপ দিলে দুটি চেকে ৫০ লাখ করে ১কোটি টাকার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। লোন গ্রহনকারীর নামে উত্তোলন করা টাকাও পরিশোধ করছেন না বরং এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা মানিক ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়। প্রতারক মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা এবং তার বড় ভাই সামসু মিয়ার প্রত্যারণার ফাঁদে গ্রামের সহজ সরল বহু পরিবার আজ প্রায় নিঃস্ব। মানুষের নামে টাকা তুলে এসব টাকা কড়া সুদে গ্রামের মানুষদের কাছে সুদে টাকা দিতেন। ভুক্তভোগি রোজিনা আক্তার সহ তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরের দিন মানববন্ধন করেন আগানগরে এলাকাবাসি প্রতারক থেকে মুক্তির দাবি নিয়ে । আইন প্রসাশনের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে।

আরো পড়ুন : ভৈরবে হাসপাতালে ডাক্তার ভিজিটে নিষেধাজ্ঞায় ঔষধ সরবরাহ বন্ধ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

এনজিও থেকে বিভিন্ন নামে টাকা তুলে প্রতারণা: ধ্বংসের মুখে কয়েকটি পরিবার

আপডেট সময় ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

শামসুল হক মামুন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামের মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া তার স্ত্রী মাহবুববা এবং মৃত সোহবান মিয়ার ছেলে সামসু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিনের আত্মীয়তার সুবাধে মানিক মিয়া প্রায়ই তাদের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। এই সম্পর্ককে পুজি করে প্রতি ১ লাখ টাকায় ৫ হাজার টাকা দিবেন এর পরির্বতে এনজিও থেকে টাকা তুলে দিতে হবে নিজের নামে। কিস্তি পরিশোধ করবেন অভিযুক্তরা।

সেই লোভে রোজিনা আক্তার তার নিজের নামে আশা এনজিও সদস্য নং—২১, গত বছরের ৯ এপ্রিল ১২ লাখ টাকা এবং বীজ এনজিও সদস্য নং ১৪০০৮৪৫ হইতে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে এবং তার দেবর রাশিদ মিয়ার নামে গত বছরের ১৯ জুলাই, আশা এনজিও সদস্য নং ৬ হইতে ৪ লাখ টাকা এবং ব্র্যাক এনজিও সদস্য নং ১৩৭ বই হইতে গত বছরের ৫ জানুয়ারী ৮ লাখ টাকা, তার দেবরের স্ত্রী তানিয়ার নামে বীজ এনজিও সদস্য নং ১৪০০৮৫৩ হইতে ৩ লাখ টাকা ও তার মেয়ে জিপার নামে ব্র্যাক এনজিও সদস্য নং ১৪১ হইতে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ৭ লাখ টাকা, তার মা রেহেনা বেগমের নামে ব্র্যাক এনজিও যাহার সদস্য নং ১৯২ হইতে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রয়ারী ১৮ লাখ টাকা। শুধুমাত্র ৩টি এনজিও (আশা,ব্র্যাক,বীজ) থেকে সর্বমোট ৫৬ লাখ টাকা লোন গ্রহন করেন । টাকা তুলে দিতেন মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা যাদের নামে টাকা তুলেন তাদেরকে ৫ হাজার লাখ প্রতি হিসেব করে টাকা দেন । বাকি টাকা নিজে রাখেন শর্ত ছিল মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী উত্তোলনকৃত সকল টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করবে।এর মধ্যে মোট ১৮ লাখ টাকার কিস্তি মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা কিছুদিন এনজিও গুলোকে কিস্তি পরিশোধ করেন।পরর্বতিতে আর কিস্তি দেন না। মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবা কর্তৃক নিয়মিতভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার কারণে এনজিও কতৃর্পক্ষ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ঋণ গ্রহিতাদের।

পরবতীর্তে মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবাকে বার বার কিস্তি পরিশোধ করার কথা বললে বাকী কিস্তির টাকা দেম দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করতে থাকে। মানিক ও তার স্ত্রী মাহবুবা লোন উত্তোলনের সময় লোন গ্রহিতাদের কাছ থেকে ২টি করে চেক লাগবে বলে নেন । এর মধ্যে ১ টি করে চেক এনজিওতে জমা দেন আরেকটি করে চেক নিজের কাছে রেখে দেন । পরর্বতী সময় কিস্তি পরিশোধের জন্য চাপ দিলে দুটি চেকে ৫০ লাখ করে ১কোটি টাকার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। লোন গ্রহনকারীর নামে উত্তোলন করা টাকাও পরিশোধ করছেন না বরং এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা মানিক ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়। প্রতারক মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহবুবা এবং তার বড় ভাই সামসু মিয়ার প্রত্যারণার ফাঁদে গ্রামের সহজ সরল বহু পরিবার আজ প্রায় নিঃস্ব। মানুষের নামে টাকা তুলে এসব টাকা কড়া সুদে গ্রামের মানুষদের কাছে সুদে টাকা দিতেন। ভুক্তভোগি রোজিনা আক্তার সহ তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরের দিন মানববন্ধন করেন আগানগরে এলাকাবাসি প্রতারক থেকে মুক্তির দাবি নিয়ে । আইন প্রসাশনের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে।

আরো পড়ুন : ভৈরবে হাসপাতালে ডাক্তার ভিজিটে নিষেধাজ্ঞায় ঔষধ সরবরাহ বন্ধ