ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’, গ্রেপ্তার ২২, এক সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম

স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। ছবি : সংগৃহীত

টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় এ বছর স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। গতকাল বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি।

মেরিনা তাবাসসুমের ব্যক্তিত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়, সাধারণত পুরস্কার অর্জনকারী স্থপতিদের বেলায় পরার্থবাদিতার প্রসঙ্গটিকে তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না, তবে এটি এমন একটি পেশা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অনন্য হয়ে ওঠা একটি সাধারণ বিষয়। তবে মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি চর্চার ক্ষেত্রে এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে এই ধরণী যে বিপদাপন্ন পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনা করে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।

মেরিনা তাবাসসুমের পরার্থবাদ তার সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সৃষ্টির জন্য আমাদের পৃথিবীর যে সম্পদ রয়েছে তার বিষয়ে খুবই যত্নবান। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত তাঁর বাইত উর রউফ মসজিদ হয়ে আছে এক অনন্য উদাহরণ; যার জন্য তিনি মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার পেয়েছেন। মেরিনার ভাষায়- একটি স্থাপনাকে কোনো কৃত্রিমতা ছাড়াই নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

জলবায়ু সংকটের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি কম খরচে ও সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এমন বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁর মতে একটি বাড়িকে কেবল নিঃশ্বাসই নিতে দিতে হবে না বরং তাকে তার পা যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

যদিও তিনি স্থানীয়ভাবে তার কাজের চর্চা করেন, শেখান, বক্তৃতা দেন কিন্তু তারপরেও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর এর মূল কথাই হলো স্থাপত্যবিদ্যার প্রয়োগ কোনো একক ও অনন্য বিষয় নয় বরং তা সম্মিলিত ও বৈশ্বিক ভাষার বহিঃপ্রকাশ।

আরো পড়ুন : দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম

আপডেট সময় ০২:১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় এ বছর স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। গতকাল বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি।

মেরিনা তাবাসসুমের ব্যক্তিত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়, সাধারণত পুরস্কার অর্জনকারী স্থপতিদের বেলায় পরার্থবাদিতার প্রসঙ্গটিকে তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না, তবে এটি এমন একটি পেশা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অনন্য হয়ে ওঠা একটি সাধারণ বিষয়। তবে মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি চর্চার ক্ষেত্রে এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে এই ধরণী যে বিপদাপন্ন পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনা করে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।

মেরিনা তাবাসসুমের পরার্থবাদ তার সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সৃষ্টির জন্য আমাদের পৃথিবীর যে সম্পদ রয়েছে তার বিষয়ে খুবই যত্নবান। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত তাঁর বাইত উর রউফ মসজিদ হয়ে আছে এক অনন্য উদাহরণ; যার জন্য তিনি মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার পেয়েছেন। মেরিনার ভাষায়- একটি স্থাপনাকে কোনো কৃত্রিমতা ছাড়াই নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

জলবায়ু সংকটের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি কম খরচে ও সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এমন বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁর মতে একটি বাড়িকে কেবল নিঃশ্বাসই নিতে দিতে হবে না বরং তাকে তার পা যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

যদিও তিনি স্থানীয়ভাবে তার কাজের চর্চা করেন, শেখান, বক্তৃতা দেন কিন্তু তারপরেও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর এর মূল কথাই হলো স্থাপত্যবিদ্যার প্রয়োগ কোনো একক ও অনন্য বিষয় নয় বরং তা সম্মিলিত ও বৈশ্বিক ভাষার বহিঃপ্রকাশ।

আরো পড়ুন : দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী