ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’, গ্রেপ্তার ২২, এক সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন

সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : মাহবুবুর রহমান মানিক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মোংলা পৌর শাখার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন পরিকল্পিতভাবে এটি করেছে। এটি বাগেরহাট-৩ আসন তথা জেলাবাসি এটি কোনভাবেই মেনে নেবে না। সরকারের নীল নকশা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। বিশেষ করে বাগেরহাট-৩ আসন ভাঙ্গার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন এই নেতা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মোংলা পৌর শাখার আয়োজনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক (বাগেরহাট-৪) সংসদীয় আসন বিলুপ্তি করা এবং মোংলা-রামপাল পৃথক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমানোকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করছি। সুন্দরবন, মোংলা বন্দর, ষাট গম্বুজের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাটাকে দুর্বল করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এটাকে অন্যায় মনে করছি, আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার দাবি জানাচ্ছি। বাগেরহাটের জন্য একটি অপমানিত ব্যাপার। এটি একটি প্রাচীন শহর, এখানে দিন দিন আরো আসন বাড়ানো উচিত। সামনে সংসদ নির্বাচন আছে, এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। এই দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর আগে মোংলা পৌর মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মোংলা পৌর মার্কেট চত্বরের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চারটি আসন করার দাবি জানান। তারা বলেন নির্বাচন কমিশন চারটি আসন পুন:বহাল না করলে দোকান পাট সহ প্রয়োজনে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়া হবে।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম খোকন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো: খোরশেদ আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি শেখ আবু হানিফ, নব-নির্বাচিত পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মো. নাসির উদ্দিন, মো. গোলাম নুর জনি, উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ রুস্তম আলী, পৌর বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান টুটুল, পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সহ পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১১৯-১২৪ ধারা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। বাগেরহাট-২ ও বাগেরহাট-৩ আসনের সীমানা নতুন করে নির্ধারণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। নতুন বিন্যাসে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল) এবং বাগেরহাট-৩ (মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা)।
‎জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থানের যুক্তি ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাগেরহাট জেলার আয়তন ৩,৯৫৯.১১ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ ১৩ হাজার। জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বিস্তৃতি বিবেচনায় এই জেলা এখনো চারটি আসন রাখার যোগ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : মাহবুবুর রহমান মানিক

আপডেট সময় ০৬:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মোংলা পৌর শাখার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন পরিকল্পিতভাবে এটি করেছে। এটি বাগেরহাট-৩ আসন তথা জেলাবাসি এটি কোনভাবেই মেনে নেবে না। সরকারের নীল নকশা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। বিশেষ করে বাগেরহাট-৩ আসন ভাঙ্গার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন এই নেতা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মোংলা পৌর শাখার আয়োজনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক (বাগেরহাট-৪) সংসদীয় আসন বিলুপ্তি করা এবং মোংলা-রামপাল পৃথক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমানোকে আমরা ষড়যন্ত্র মনে করছি। সুন্দরবন, মোংলা বন্দর, ষাট গম্বুজের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাটাকে দুর্বল করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এটাকে অন্যায় মনে করছি, আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার দাবি জানাচ্ছি। বাগেরহাটের জন্য একটি অপমানিত ব্যাপার। এটি একটি প্রাচীন শহর, এখানে দিন দিন আরো আসন বাড়ানো উচিত। সামনে সংসদ নির্বাচন আছে, এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে। এই দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর আগে মোংলা পৌর মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মোংলা পৌর মার্কেট চত্বরের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চারটি আসন করার দাবি জানান। তারা বলেন নির্বাচন কমিশন চারটি আসন পুন:বহাল না করলে দোকান পাট সহ প্রয়োজনে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়া হবে।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম খোকন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো: খোরশেদ আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি শেখ আবু হানিফ, নব-নির্বাচিত পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মো. নাসির উদ্দিন, মো. গোলাম নুর জনি, উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ রুস্তম আলী, পৌর বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান টুটুল, পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সহ পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১১৯-১২৪ ধারা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। বাগেরহাট-২ ও বাগেরহাট-৩ আসনের সীমানা নতুন করে নির্ধারণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। নতুন বিন্যাসে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল) এবং বাগেরহাট-৩ (মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা)।
‎জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থানের যুক্তি ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাগেরহাট জেলার আয়তন ৩,৯৫৯.১১ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ ১৩ হাজার। জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বিস্তৃতি বিবেচনায় এই জেলা এখনো চারটি আসন রাখার যোগ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।