ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাড়া চাওয়ায় বিএনপি কর্মীদের হাতে দোকান মালিক খুন, আতঙ্কে মৃতের পরিবার মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের গাজা সফর রুশ সাবেক প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের জুলাই পদযাত্রায় কতটা সাড়া ফেললো এনসিপি? মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু আটক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা

ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ইরানের রাজস্ব প্রবাহ থামাতে ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের পথ বন্ধ করার’ অংশ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

এদিন মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি ও ক্রয়ের মাধ্যমে মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর লঙ্ঘন করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানি শাসনব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়ানোর জন্য এবং দেশের জনগণকে দমন করতে যে অর্থ ব্যবহার করছে, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় কোম্পানিগুলো:
১. অ্যালকেমিক্যাল সলুশন্স প্রাইভেট লিমিটেড: ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানির অভিযোগ।
২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড: ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৫১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির অভিযোগ।
৩. জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড: ইরানি টলুইনসহ অন্যান্য পণ্যের ৪৯ মিলিয়ন ডলারের আমদানির অভিযোগ।
৪. রামনিক্লাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি: একই সময়কালে ২২ মিলিয়ন ডলারের মিথানল ও টলুইন আমদানির অভিযোগ।
৫. পারসিসটেন্স পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড: সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বাব আল বারসা থেকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির অভিযোগ।
৬. কাঞ্চন পলিমারস: টানাইস ট্রেডিং থেকে ১৩ লাখ ডলারের ইরানি পলিথিন আমদানির অভিযোগ।

নিষেধাজ্ঞার প্রভাব:
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এই কোম্পানিগুলোর সব সম্পদ ও স্বার্থ অবরুদ্ধ থাকবে। কোনো মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসব কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক বা পণ্য সংক্রান্ত লেনদেন করা নিষিদ্ধ হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাদের আচরণে পরিবর্তন আনা।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর অতিরিক্ত জরিমানার কথা ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন।

ইরানের পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই চার ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।

সূত্র: ইউএনবি

বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

‘বন্ধু’ ভারতের ওপর আবারো চড়াও যুক্তরাষ্ট্র, আরও ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৬:১৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ইরানের রাজস্ব প্রবাহ থামাতে ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের পথ বন্ধ করার’ অংশ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

এদিন মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি ও ক্রয়ের মাধ্যমে মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর লঙ্ঘন করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানি শাসনব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়ানোর জন্য এবং দেশের জনগণকে দমন করতে যে অর্থ ব্যবহার করছে, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় কোম্পানিগুলো:
১. অ্যালকেমিক্যাল সলুশন্স প্রাইভেট লিমিটেড: ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানির অভিযোগ।
২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড: ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৫১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির অভিযোগ।
৩. জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড: ইরানি টলুইনসহ অন্যান্য পণ্যের ৪৯ মিলিয়ন ডলারের আমদানির অভিযোগ।
৪. রামনিক্লাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি: একই সময়কালে ২২ মিলিয়ন ডলারের মিথানল ও টলুইন আমদানির অভিযোগ।
৫. পারসিসটেন্স পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড: সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বাব আল বারসা থেকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির অভিযোগ।
৬. কাঞ্চন পলিমারস: টানাইস ট্রেডিং থেকে ১৩ লাখ ডলারের ইরানি পলিথিন আমদানির অভিযোগ।

নিষেধাজ্ঞার প্রভাব:
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এই কোম্পানিগুলোর সব সম্পদ ও স্বার্থ অবরুদ্ধ থাকবে। কোনো মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসব কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক বা পণ্য সংক্রান্ত লেনদেন করা নিষিদ্ধ হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাদের আচরণে পরিবর্তন আনা।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ‘বন্ধু’ ভারতের ওপর অতিরিক্ত জরিমানার কথা ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন।

ইরানের পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই চার ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।

সূত্র: ইউএনবি

বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র