পঞ্চগড় জেলায় এলপিজি পাম্প ব্যবসায় একক আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ। নতুন করে এলপিজি পাম্প স্থাপনে বাধা দিচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ীক ক্ষতির কারনে পরিবেশ আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে তিনি বাধা দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় শহরে নেই কোন এলপিজি পাম্প। যার কারনে জেলার মাইক্রোবাস মালিকেরা এলপিজি সুবিধা বঞ্চিত। জেলা শহরের প্রায় ৫ কি.মি দূরে একটি এলপিজি পাম্প থাকলেও জেলা শহরের কার, মাইক্রো ও মোটর মালিকদের যেতে হয় ৫ কি.মি দূরে। এ যেন খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী।
এলপিজি গ্যাস গাড়িতে ভরার আগেই ১শ টাকা দূরত্বের কারণে বাড়তি খরচ হয়। আবার অন্যদিকে একাধিক পাম্প না থাকায় কখনো লোড কম, নানা টালবাহানায় দিতে হয় বাড়তি জরিমানা।
জেলা শহরের মাইক্রোবাস চালকরা জানায়, জেলা শহরে কোন এলজিপি পাম্প না থাকায় আমরা লোকসান গুনতে বাধ্য হচ্ছি।
পঞ্চগড়ের স্থানীয় এক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী জেলা শহরের পাশে একটি এলজি পি পাম্প বসানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তিনি ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ ছাড়পত্র, পৌরসভা, জেলা প্রশাসনসহ সকল দপ্তরের অনুমোদনের কাগজপত্র সম্পন্ন করেছেন।
কিন্তু ব্যবসায় আধিপত্য ও লোকসানের আশায় ৫ কিমি দুরে এলপিজি পাম্প মালিক সে জায়গায় পাম্প স্থাপন করতে বাধা দিচ্ছেন।
সুত্রে জানা জায় জেলা শহরে পাম্প নির্মাণ হলে জেলা শহরের পাম্প মালিককে লোকসান গুনতে হবে। তাই কৌশলে পঞ্চগড় জেলা শহরে এলপিজি পাম্প নির্মাণ হলে পাম্প ব্লাষ্ট হয়ে হতে পারে অনকে জীবন নষ্টের কারন। কিন্তু জেলার প্রতিটি ঘরেই প্রায় রয়েছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। যা যে কোন সময় ব্লাষ্ট হয়ে হতে পারে, জীবননাশের মহাদূর্ঘটনা।
সম্প্রতি ঢাকার মাইলষ্টোন স্কুলে যুদ্ধ বিমান বিধ্বংসী ঘটনা পরিকল্পিত ছিলনা। উত্তরার ডিয়াবারী এলাকার সব স্কুল,কলেজ বাড়ি সরাতে বলা যাবে না। এতে রাষ্ট্র ও জনগন হবে মহা ক্ষতির সম্মুখীন। ঠিক একি ভাবে জেলা শহরে এলজিপি পাম্প বসালে বাষ্ট হয়ে জনজীবনে ক্ষতি হবে এ কাল্পনি অজুহাত মুলত অভিযোগ কারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের এক অভিনব কৌশল। তথ্য প্রযুক্তি ও উন্নয়নের যুগে আরো বেশি সুবিধা, আরো কম খরচে জীবন অতিবাহিত হয়।
অভিজ্ঞ মহলের দাবি পেট্রোল, অকটেন ডিজেলের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে, কম মুল্যের জ্বালানি এলজিপি পাম্প জেলা শহরে একাধিক বসানো প্রয়োজন।