ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী ৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে তরুণদের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্থান অনেকেই দেখেছেন, কিন্তু হাতে গোনা কিছু নেতাই দেশের বৃহত্তর রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঠিক এমনই একজন নেতা হলেন  চারঘাট  বাঘা গণমানুষের আস্থাভাজন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাহসী মুখ, জনাব ইকবাল হোসেন। তাঁর সংগ্রামী রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে, যার প্রভাব আজ ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যবাহী হাবিবুর রহমান শাখা ছাত্রদল-এর একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। খুব অল্প সময়েই সততা, নেতৃত্বগুণ ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হাবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন দক্ষ সংগঠক ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
তাঁর প্রতিভা ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় যুবদলেরএবং পরে সহ-সভাপতির দায়িত্বে আসীন হন। এ সময় তিনি দেশজুড়ে বিএনপির ছাত্র আন্দোলনকে শক্তিশালী ও কার্যকর রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজশাহী  ৬ আসনে বাঘা চারঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত আগামী- নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক ছাত্র রাজনীতিক।
৫ই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে রাজশাহী ৩আসনে তার  বাঘা চারঘাট উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার সময় মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করে এলাকায় একজন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তিনি দলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে তিনি ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বিএনপির ডাকা প্রথম অবরোধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ছাত্রি জনতার গণঅভ্যুত্থানে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন।
গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলনে তিনি বহুবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। কোনো রক্তচক্ষু তাকে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন থেকে থামাতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে জড়িত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী।
জনগণের সেবক হওয়ার স্বপ্নঃ
রাজশাহী  ৬ আসনে বিএনপি থেকে  আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল সহ নিজ দল ও অন্য দলের প্রায় অর্ধ ডজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। তার মানবিক কাজের মাধ্যমে শার্শা উপজেলা বাসীর মন জয় করে একজন জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবান আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি, তাই জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য বিলীন করেছি। স্বপ্ন দেখেছি মানুষের সেবা করার।” তিনি আরও বলেন, “আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যাণে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেই কাজ করার মানসিকতা রাখি। আমার নেতাই সিদ্ধান্ত নেবেন কে প্রার্থী হবেন! তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় সরাসরি প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসেন বলেন- এই অঞ্চলের মানুষ কী চায়, তার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। তারা যদি শাসক চায় তাহলে আমি সেটা হতে পারবো না। আমি এই অঞ্চলের কাদা লেপ্টে বড় হয়েছি। আমার গায়ে এই জনপদের মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে। আমি তাদের সেবক হতে চাই। যদি তারা চায়, আর আমার দল সেইটা অনুভব করে! আমি কখনোই নেতা নই, একজন রাজনৈতিক কর্মী মাত্র।
 পবা মোহনপুর উপজেলা মাটি ও মানুষের ভালোবাসার.সাবেক ছাএনেতা ও যুবদলের ইতিবাচক ছিলেন ইকবাল হোসেন মনোনয়ন পেলে এই এলাকার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে একটি মানবিক সমাজ গড়বেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাজশাহী ৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল

আপডেট সময় ০৯:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে তরুণদের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্থান অনেকেই দেখেছেন, কিন্তু হাতে গোনা কিছু নেতাই দেশের বৃহত্তর রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঠিক এমনই একজন নেতা হলেন  চারঘাট  বাঘা গণমানুষের আস্থাভাজন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাহসী মুখ, জনাব ইকবাল হোসেন। তাঁর সংগ্রামী রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে, যার প্রভাব আজ ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যবাহী হাবিবুর রহমান শাখা ছাত্রদল-এর একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। খুব অল্প সময়েই সততা, নেতৃত্বগুণ ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হাবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন দক্ষ সংগঠক ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
তাঁর প্রতিভা ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় যুবদলেরএবং পরে সহ-সভাপতির দায়িত্বে আসীন হন। এ সময় তিনি দেশজুড়ে বিএনপির ছাত্র আন্দোলনকে শক্তিশালী ও কার্যকর রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজশাহী  ৬ আসনে বাঘা চারঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত আগামী- নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক ছাত্র রাজনীতিক।
৫ই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে রাজশাহী ৩আসনে তার  বাঘা চারঘাট উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার সময় মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করে এলাকায় একজন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তিনি দলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে তিনি ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বিএনপির ডাকা প্রথম অবরোধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ছাত্রি জনতার গণঅভ্যুত্থানে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন।
গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলনে তিনি বহুবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। কোনো রক্তচক্ষু তাকে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন থেকে থামাতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে জড়িত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী।
জনগণের সেবক হওয়ার স্বপ্নঃ
রাজশাহী  ৬ আসনে বিএনপি থেকে  আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল সহ নিজ দল ও অন্য দলের প্রায় অর্ধ ডজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। তার মানবিক কাজের মাধ্যমে শার্শা উপজেলা বাসীর মন জয় করে একজন জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবান আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি, তাই জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য বিলীন করেছি। স্বপ্ন দেখেছি মানুষের সেবা করার।” তিনি আরও বলেন, “আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যাণে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেই কাজ করার মানসিকতা রাখি। আমার নেতাই সিদ্ধান্ত নেবেন কে প্রার্থী হবেন! তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় সরাসরি প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসেন বলেন- এই অঞ্চলের মানুষ কী চায়, তার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। তারা যদি শাসক চায় তাহলে আমি সেটা হতে পারবো না। আমি এই অঞ্চলের কাদা লেপ্টে বড় হয়েছি। আমার গায়ে এই জনপদের মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে। আমি তাদের সেবক হতে চাই। যদি তারা চায়, আর আমার দল সেইটা অনুভব করে! আমি কখনোই নেতা নই, একজন রাজনৈতিক কর্মী মাত্র।
 পবা মোহনপুর উপজেলা মাটি ও মানুষের ভালোবাসার.সাবেক ছাএনেতা ও যুবদলের ইতিবাচক ছিলেন ইকবাল হোসেন মনোনয়ন পেলে এই এলাকার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে একটি মানবিক সমাজ গড়বেন।