ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থিদের অবস্থান। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে তা যেন শান্তিপূর্ণ হয় সে লক্ষ্যে আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত কয়েক সপ্তাহে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ ২৭৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর হোয়াইট হাউস থেকে এই বার্তা এলো। খবর এএফপির।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য এবিসি গণমাধ্যমের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রতি সম্মান জানাই।’

জন কিরবি বলেন, ‘তবে আমরা ইহুদি বিদ্বেষী ভাষার নিন্দা জানাই যা আমাদের কানে এসেছে। আমারা সেখানে সবধরনের ঘৃণাসূচক উক্তি ও সহিংসতার হুমকির নিন্দা জানাই।’

নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সটিতে সবার আগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে তা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। অধিকাংশ ক্যাম্পাসে পরিবেশ শান্ত থাকলেও কিছু ক্যাম্পাস থেকে প্রতিবাদকারীদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশকে দাঙ্গা দমনের পোশাক পরে যন্ত্রনাদায়ী রাসায়নিক পদার্থ ও টেসার বুলেট ব্যবহার করতে দেখা যায়।

বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ১০০ জন, সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে ৮০ জন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ৭২ জন এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদে মধ্যে ছিলেন গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল পদপ্রার্থী জিল স্টেইন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সমস্যা প্রশমনের চেয়ে উসকে দিতে বেশি কাজ করেছে।

জিল স্টেইন এ বিষয়ে সিএনএনকে বলেন, ‘এটা একটি জটিল ইস্যুতে বাকস্বাধীনতার বিষয়। আর সেখানে তারা দাঙ্গা পুলিশ পাঠাচ্ছে মূলত দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য।’

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রতিবাদকারীরা একটি নতুন শিবির গড়ে তোলে ক্যাম্পাসে। এর আগে পুলিশ বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের তৈরি একটি শিবির উচ্ছেদ করে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

এদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি।

ক্যাম্পাসে অুষ্ঠিত হওয়া এসব বিক্ষোভ থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কলেজগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৪৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।

আরো পড়ুন : গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতার দায়ে ইসরাইলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ঝুলে আছে বেসরকারি খাতে ১০ গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র আহ্বান

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আহ্বান

আপডেট সময় ১০:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে তা যেন শান্তিপূর্ণ হয় সে লক্ষ্যে আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত কয়েক সপ্তাহে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ ২৭৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর হোয়াইট হাউস থেকে এই বার্তা এলো। খবর এএফপির।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য এবিসি গণমাধ্যমের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রতি সম্মান জানাই।’

জন কিরবি বলেন, ‘তবে আমরা ইহুদি বিদ্বেষী ভাষার নিন্দা জানাই যা আমাদের কানে এসেছে। আমারা সেখানে সবধরনের ঘৃণাসূচক উক্তি ও সহিংসতার হুমকির নিন্দা জানাই।’

নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সটিতে সবার আগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে তা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। অধিকাংশ ক্যাম্পাসে পরিবেশ শান্ত থাকলেও কিছু ক্যাম্পাস থেকে প্রতিবাদকারীদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশকে দাঙ্গা দমনের পোশাক পরে যন্ত্রনাদায়ী রাসায়নিক পদার্থ ও টেসার বুলেট ব্যবহার করতে দেখা যায়।

বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ১০০ জন, সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে ৮০ জন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ৭২ জন এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদে মধ্যে ছিলেন গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল পদপ্রার্থী জিল স্টেইন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সমস্যা প্রশমনের চেয়ে উসকে দিতে বেশি কাজ করেছে।

জিল স্টেইন এ বিষয়ে সিএনএনকে বলেন, ‘এটা একটি জটিল ইস্যুতে বাকস্বাধীনতার বিষয়। আর সেখানে তারা দাঙ্গা পুলিশ পাঠাচ্ছে মূলত দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য।’

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রতিবাদকারীরা একটি নতুন শিবির গড়ে তোলে ক্যাম্পাসে। এর আগে পুলিশ বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের তৈরি একটি শিবির উচ্ছেদ করে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

এদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি।

ক্যাম্পাসে অুষ্ঠিত হওয়া এসব বিক্ষোভ থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কলেজগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৪৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।

আরো পড়ুন : গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতার দায়ে ইসরাইলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ