ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী সপ্তাহ থেকে আবারো শুরু হচ্ছে তাপপ্রবাহ

আসছে সপ্তাহে আবারো শুরু হতে যাচ্ছে দুঃসহ তাপপ্রবাহ। এখনকার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা খুব শিগগিরই হ্রাস পাবে। অর্থাৎ চলতি মে মাসের বাকি দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। অবশ্য জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সময়মতো পৌঁছে গেলে তখন হয়তো আবারো ঠাণ্ডার পরশ পাওয়া যাবে। অতীতে কোনো কোনো বছর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে পৌঁছাতে জুন মাসের অর্ধেকের বেশি চলে যায়।

এ দিকে আমেরিকা প্রবাসী জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিজ্ঞানী ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে এল নিনো শেষ হওয়ার পথে। এই কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সেখানে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পূর্ব দিক থেকে যে বাতাস পশ্চিম দিকে এতদিন প্রবাহিত হচ্ছিল সেটা দুর্বল হয়ে গেছে। এই দুর্বল বাতাসের প্রবাহ বর্তমানে এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে, তা বিপরীতমুখী বাতাসের কারণে উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। কিন্তু এর বাইরে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের ঊর্র্ধ্বাকাশে বয়ে যাওয়া জেট স্ট্রিম। এবার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলসহ আরো কিছু অঞ্চলে জেট স্ট্রিম অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। জেট স্ট্রিমে সাধারণত বাতাস গরম হয়ে গেলে মেরু অঞ্চলের ঠাণ্ডা বাতাস গরম বাতাসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার গরম বাতাস ওপরে উঠছে না এবং ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নামছে না। এই কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে। ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, এই জেট স্ট্রিমটা এবারের মতো আর কখনো থেমে বা স্থবির হয়ে থাকেনি।

আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বাংলাদেশে এর আগের দিনের (৯ মে) তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ২৩ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে আরো যে ১১ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে বেশির ভাগ স্থানে ১ থেকে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে সার্বিক তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মংলায় ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপর দিকে ৮ মে বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়, দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কারণে সারা দেশই গত এক সপ্তাহ কিছুটা ঠাণ্ডা ছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ ও ১৩ মে দেশের তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আগামী ১৫ মে পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরো পড়ুন : মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমার লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মঠবাড়িয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আগামী সপ্তাহ থেকে আবারো শুরু হচ্ছে তাপপ্রবাহ

আপডেট সময় ০১:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

আসছে সপ্তাহে আবারো শুরু হতে যাচ্ছে দুঃসহ তাপপ্রবাহ। এখনকার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা খুব শিগগিরই হ্রাস পাবে। অর্থাৎ চলতি মে মাসের বাকি দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। অবশ্য জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সময়মতো পৌঁছে গেলে তখন হয়তো আবারো ঠাণ্ডার পরশ পাওয়া যাবে। অতীতে কোনো কোনো বছর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে পৌঁছাতে জুন মাসের অর্ধেকের বেশি চলে যায়।

এ দিকে আমেরিকা প্রবাসী জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিজ্ঞানী ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে এল নিনো শেষ হওয়ার পথে। এই কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সেখানে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পূর্ব দিক থেকে যে বাতাস পশ্চিম দিকে এতদিন প্রবাহিত হচ্ছিল সেটা দুর্বল হয়ে গেছে। এই দুর্বল বাতাসের প্রবাহ বর্তমানে এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে, তা বিপরীতমুখী বাতাসের কারণে উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। কিন্তু এর বাইরে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের ঊর্র্ধ্বাকাশে বয়ে যাওয়া জেট স্ট্রিম। এবার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলসহ আরো কিছু অঞ্চলে জেট স্ট্রিম অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। জেট স্ট্রিমে সাধারণত বাতাস গরম হয়ে গেলে মেরু অঞ্চলের ঠাণ্ডা বাতাস গরম বাতাসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার গরম বাতাস ওপরে উঠছে না এবং ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নামছে না। এই কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে। ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, এই জেট স্ট্রিমটা এবারের মতো আর কখনো থেমে বা স্থবির হয়ে থাকেনি।

আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বাংলাদেশে এর আগের দিনের (৯ মে) তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ২৩ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে আরো যে ১১ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে বেশির ভাগ স্থানে ১ থেকে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে সার্বিক তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মংলায় ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপর দিকে ৮ মে বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়, দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কারণে সারা দেশই গত এক সপ্তাহ কিছুটা ঠাণ্ডা ছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ ও ১৩ মে দেশের তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আগামী ১৫ মে পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরো পড়ুন : মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমার লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী